alt

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

: শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরকারি হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা গত ২৪ বছরের সব রেকর্ড ভেঙেছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা সাতশ’ অতিক্রম করেছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বাংলাদেশে এবার ডেঙ্গু সংক্রমণ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। দেশে ডেঙ্গু রোগ কেন এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করল সেটা নিয়ে নানা বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। এর জন্য কেউ জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন তো কেউ মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থার ব্যর্থতার কথা বলছেন।

কোনো একক কারণে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই রোগের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করা যেত কিনা। আমরা মনে করি, যার যার স্থান থেকে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হলে এর ভয়াবহ বিস্তৃতি হয়তো রোধ করা সম্ভব হতো। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেক কিছুই করা যায়। একটি সহজ ও মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে মশারি। নাগরিকরা যদি মশারি ব্যবহারে মনোযোগী হন তাহলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বা এর বিস্তৃতির আশঙ্কা কমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ মানুষকে তো বটেই, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও মশারি ব্যবহার করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, কারও কারও মধ্যে মশারি ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়। এমনও খবর পাওয়া যায় যে, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকে মশারি ব্যবহার করছেন না। হাসপাতালে চিকীৎসাধীন ব্যক্তিদের মশারি সরবরাহ করা হলেও অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া হাসপাতালে মশারি ছাড়াই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৪ ডেঙ্গু রোগী। এসব রোগীদের অনেকে মশারি টানানো সত্ত্বেও তা ব্যবহার করেন না। তারা মশারির বাইরে শুয়ে-বসে থাকেন।

ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষা পেতে বা এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে মশারি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বা উপকারিতা সম্পর্কে মানুষ যে জানে না তা নয়। মশারি শুধু ডেঙ্গু রোগ থেকেই মানুষকে রক্ষা করে না। মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকেও রক্ষা করে। অথচ অনেকেই মশারি ব্যবহারে অনীহা দেখান। এই অনীহার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেসব যুক্তি দেখান তা ধোপে টেকে না।

মশারি ব্যবহারে নাগরিকদের উদাসীনতা ডেঙ্গুর ভয়াবহতাকে আরও বিস্তৃত করতে পারে। কারণ মশা যদি কোনো রোগীকে কামড় দেয়ার পর সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায় তাহলে সেই ব্যক্তিও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো স্বজনই হয়তো সংক্রমিত হতে পারেন। মশারির উপযোগিতা সম্পর্কে ধারণা থাকাই যথেষ্ট নয়। নাগরিকদেরকে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

বটতলী সড়কের কালভার্ট সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

হৃদরোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

রাণীশংকৈলে বনের বেদখল জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে

পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারে চাই সচেতনতা

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

tab

সম্পাদকীয়

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সরকারি হিসাব অনুযায়ী চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা গত ২৪ বছরের সব রেকর্ড ভেঙেছে। চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা সাতশ’ অতিক্রম করেছে। এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, বাংলাদেশে এবার ডেঙ্গু সংক্রমণ পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। দেশে ডেঙ্গু রোগ কেন এত ভয়াবহ রূপ ধারণ করল সেটা নিয়ে নানা বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। এর জন্য কেউ জলবায়ু পরিবর্তনকে দায়ী করছেন তো কেউ মশা নিয়ন্ত্রণে সরকারি সংস্থার ব্যর্থতার কথা বলছেন।

কোনো একক কারণে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। প্রশ্ন হচ্ছে, এই রোগের ভয়াবহতা প্রতিরোধ করা যেত কিনা। আমরা মনে করি, যার যার স্থান থেকে প্রত্যেকে দায়িত্বশীল ও সচেতন হলে এর ভয়াবহ বিস্তৃতি হয়তো রোধ করা সম্ভব হতো। ডেঙ্গু প্রতিরোধে অনেক কিছুই করা যায়। একটি সহজ ও মোক্ষম হাতিয়ার হচ্ছে মশারি। নাগরিকরা যদি মশারি ব্যবহারে মনোযোগী হন তাহলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া বা এর বিস্তৃতির আশঙ্কা কমে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুস্থ মানুষকে তো বটেই, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও মশারি ব্যবহার করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক বিষয় হচ্ছে, কারও কারও মধ্যে মশারি ব্যবহারে অনীহা দেখা যায়। এমনও খবর পাওয়া যায় যে, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরও অনেকে মশারি ব্যবহার করছেন না। হাসপাতালে চিকীৎসাধীন ব্যক্তিদের মশারি সরবরাহ করা হলেও অনেকেই তা ব্যবহার করেন না। আজ সংবাদ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া হাসপাতালে মশারি ছাড়াই চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৪ ডেঙ্গু রোগী। এসব রোগীদের অনেকে মশারি টানানো সত্ত্বেও তা ব্যবহার করেন না। তারা মশারির বাইরে শুয়ে-বসে থাকেন।

ডেঙ্গু রোগ থেকে রক্ষা পেতে বা এর সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে মশারি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বা উপকারিতা সম্পর্কে মানুষ যে জানে না তা নয়। মশারি শুধু ডেঙ্গু রোগ থেকেই মানুষকে রক্ষা করে না। মশাবাহিত অন্যান্য রোগ থেকেও রক্ষা করে। অথচ অনেকেই মশারি ব্যবহারে অনীহা দেখান। এই অনীহার কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যেসব যুক্তি দেখান তা ধোপে টেকে না।

মশারি ব্যবহারে নাগরিকদের উদাসীনতা ডেঙ্গুর ভয়াবহতাকে আরও বিস্তৃত করতে পারে। কারণ মশা যদি কোনো রোগীকে কামড় দেয়ার পর সুস্থ ব্যক্তিকে কামড়ায় তাহলে সেই ব্যক্তিও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির কোনো স্বজনই হয়তো সংক্রমিত হতে পারেন। মশারির উপযোগিতা সম্পর্কে ধারণা থাকাই যথেষ্ট নয়। নাগরিকদেরকে অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে।

back to top