alt

সম্পাদকীয়

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

: শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের প্রায় ২৩ দশমিক ২ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর। দেশে সাত বছরের বেশি বয়সের তিন কোটিরও বেশি মানুষ এখনও নিরক্ষর। গত বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস। সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন এ তথ্য। এবারের সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’।

যিনি পড়তে, অনুধাবন করতে, মৌখিক ও লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে, যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং গণনা করতে পারেন- তাকেই প্রায়োগিক সাক্ষরতার আওতায় হিসাব করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সাক্ষরতার হার যাচাইয়ে নির্বাচিত প্রত্যেক ব্যক্তির ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। যিনি ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেয়েছেন। তাকেই প্রায়োগিকভাবে সাক্ষর হিসেবে ধরা হয়েছে। জরিপে দেখো গেছে দেশের ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭। এছাড়া ১৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ হার ৬০ দশমিক ৭৭।

জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ‘বিবিএস’ জানাচ্ছে, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে এখনও এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ নিরক্ষর। কিন্তু দেশের জনগণকে নিরক্ষরতামুক্ত করার লক্ষ্যের চিত্র যদি এমনই হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়। সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে, ব্যয় হয়েছে অনেক অর্থ। কিন্তু সাক্ষরতার হার কেন এখনো এত কম সেই প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য গণশিক্ষা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাসহ নানা উদ্যোগকে আরও ফলপ্রসূ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও নিতে হবে। তিন কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতার আওতায় আনতে হবে। মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫০ লাখ নতুন সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেয়া ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে কার্যকর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, দেশে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জিত হোক। কারণ দেশ নিরক্ষরতামুক্ত না হলে টেকসই উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হবে।

দেশে যদি দারিদ্র্যের হার বেশি হয়, তাহলে নিরক্ষরতার হার কমানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ দুটো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। যেসব মানুষকে পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ করতে রাতদিন খাটতে হয়, তারা সন্তানকে স্কুলে না পাঠিয়ে কাজে লাগিয়ে দেয়। তাই সরকারকে যে কোনো মূল্যে দারিদ্র্যের হার কমাতে হবে। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

শনিবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের প্রায় ২৩ দশমিক ২ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর। দেশে সাত বছরের বেশি বয়সের তিন কোটিরও বেশি মানুষ এখনও নিরক্ষর। গত বৃহস্পতিবার ছিল বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস। সেদিন এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন এ তথ্য। এবারের সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্যের বিষয় ছিল ‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’।

যিনি পড়তে, অনুধাবন করতে, মৌখিক ও লিখিতভাবে বিভিন্ন বিষয় ব্যাখ্যা করতে, যোগাযোগ স্থাপন করতে এবং গণনা করতে পারেন- তাকেই প্রায়োগিক সাক্ষরতার আওতায় হিসাব করা হয়েছে। ২০২৩ সালে সাক্ষরতার হার যাচাইয়ে নির্বাচিত প্রত্যেক ব্যক্তির ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। যিনি ন্যূনতম ৫০ নম্বর পেয়েছেন। তাকেই প্রায়োগিকভাবে সাক্ষর হিসেবে ধরা হয়েছে। জরিপে দেখো গেছে দেশের ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯৭। এছাড়া ১৫ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের ক্ষেত্রে এ হার ৬০ দশমিক ৭৭।

জাতিসংঘ ঘোষিত এসডিজিতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করবে বলে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ‘বিবিএস’ জানাচ্ছে, দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ দেশে এখনও এক-চতুর্থাংশের বেশি মানুষ নিরক্ষর। কিন্তু দেশের জনগণকে নিরক্ষরতামুক্ত করার লক্ষ্যের চিত্র যদি এমনই হয়, তাহলে নির্ধারিত সময়ে লক্ষ্য পূরণ করা সম্ভব হবে কিনা সেটা ভাববার বিষয়। সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য অনেক প্রকল্প নেয়া হয়েছে, ব্যয় হয়েছে অনেক অর্থ। কিন্তু সাক্ষরতার হার কেন এখনো এত কম সেই প্রশ্ন উঠেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাক্ষরতার হার বাড়ানোর জন্য গণশিক্ষা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষাসহ নানা উদ্যোগকে আরও ফলপ্রসূ করার ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও নিতে হবে। তিন কোটি ৩৭ লাখ ৯০ হাজার কিশোর-কিশোরী ও বয়স্ক নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে মৌলিক সাক্ষরতার আওতায় আনতে হবে। মৌলিক সাক্ষরতা অর্জনকারী ৫০ লাখ নতুন সাক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তিকে কার্যকর দক্ষতা প্রশিক্ষণ দেয়া ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ডকে কার্যকর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, দেশে শতভাগ সাক্ষরতা অর্জিত হোক। কারণ দেশ নিরক্ষরতামুক্ত না হলে টেকসই উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হবে।

দেশে যদি দারিদ্র্যের হার বেশি হয়, তাহলে নিরক্ষরতার হার কমানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এ দুটো পরস্পর সম্পর্কযুক্ত। যেসব মানুষকে পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ করতে রাতদিন খাটতে হয়, তারা সন্তানকে স্কুলে না পাঠিয়ে কাজে লাগিয়ে দেয়। তাই সরকারকে যে কোনো মূল্যে দারিদ্র্যের হার কমাতে হবে। দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে সরকারকে দীর্ঘস্থায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এক্ষেত্রে জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।

back to top