alt

সম্পাদকীয়

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

: মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বনভূমি বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

বন বিভাগের করা ‘বাংলাদেশের বনভূমি ও বৃক্ষ সম্পদ সমীক্ষা প্রতিবেদন-২০১৯’ অনুযায়ী দেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। অবশ্য এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ।

বনভূমির আয়তন বাড়বে কী, বরং কমছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্লাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের তথ্যমতে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪৯ লাখ সাড়ে ৯৬ হাজার একর (২০ লাখ ২২ হাজার হেক্টর) বনভূমি ছিল; কিন্তু প্রতি বছরই সেই বনভূমি কমে আসছে। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় চার লাখ ৯৪ হাজার ২১১ একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে।

দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে যে পরিমাণ বন রয়েছে তা রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা কতটুকু সক্ষম। কার্যকর তদারকির ব্যবস্থা করা না গেলে বনভূমি রক্ষা করার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে; কিন্তু প্রায়ই শোনা যায়, বন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক লোকবল নেই।

কক্সবাজারের উখিয়া ৪২ হাজার একরের বেশি বনভূমি রয়েছে। বিপুলায়তনের বনভূমি দেখভালের জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন সাকুল্যে ৪০ জন। সেখানকার বনভূমি দেখভালের কাজের জন্য এ জনবল যথেষ্ট কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জনবলের এ সংকট যে শুধু একটি এলাকাতেই তা নয়; অন্যান্য জায়গাতেও জনবল সংকট রয়েছে।

দেশে বছরে গড়ে ২ হাজার ৬০০ হেক্টর বন উজাড় হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ২০০০-২০১৫ সময়কালে প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বন উজাড় হয়েছে। বাংলাদেশে তা ২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের বনজ সম্পদ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ-২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর সমপরিমাণ এলাকার বনভূমি উজাড় হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে জনবলের ঘাটতি দূর করাও জরুরি। পাশাপাশি যে জনবল আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

গ্রামগঞ্জেও বিস্তৃত হচ্ছে ডেঙ্গু, সতর্ক থাকতে হবে

নিত্যপণ্যের দামে স্বস্তি মিলছে না

স্টিয়ারিং নয়, এসব শিশু-কিশোরে হাতে বই-খাতা দেখতে চাই

শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হোক

নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করুন

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরে নামছে কেন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বনভূমি বৃদ্ধি, সংরক্ষণ ও পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বনভূমির পরিমাণ ২৫ শতাংশে উন্নীত করতে হবে।

বন বিভাগের করা ‘বাংলাদেশের বনভূমি ও বৃক্ষ সম্পদ সমীক্ষা প্রতিবেদন-২০১৯’ অনুযায়ী দেশে বন আচ্ছাদিত এলাকার পরিমাণ মোট ভূমির ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। অবশ্য এর আগে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) তথ্য অনুযায়ী, দেশে এ পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এখনো পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ।

বনভূমির আয়তন বাড়বে কী, বরং কমছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট পরিচালিত প্লাটফর্ম গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের তথ্যমতে, ২০১০ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৪৯ লাখ সাড়ে ৯৬ হাজার একর (২০ লাখ ২২ হাজার হেক্টর) বনভূমি ছিল; কিন্তু প্রতি বছরই সেই বনভূমি কমে আসছে। ২০০১ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রায় চার লাখ ৯৪ হাজার ২১১ একর বৃক্ষ আচ্ছাদিত এলাকা কমেছে।

দেশের পরিবেশ রক্ষা করতে হলে বন বাঁচাতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, দেশে যে পরিমাণ বন রয়েছে তা রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা কতটুকু সক্ষম। কার্যকর তদারকির ব্যবস্থা করা না গেলে বনভূমি রক্ষা করার কাজ কঠিন হয়ে পড়বে; কিন্তু প্রায়ই শোনা যায়, বন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যথেষ্ট সংখ্যক লোকবল নেই।

কক্সবাজারের উখিয়া ৪২ হাজার একরের বেশি বনভূমি রয়েছে। বিপুলায়তনের বনভূমি দেখভালের জন্য বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন সাকুল্যে ৪০ জন। সেখানকার বনভূমি দেখভালের কাজের জন্য এ জনবল যথেষ্ট কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। জনবলের এ সংকট যে শুধু একটি এলাকাতেই তা নয়; অন্যান্য জায়গাতেও জনবল সংকট রয়েছে।

দেশে বছরে গড়ে ২ হাজার ৬০০ হেক্টর বন উজাড় হয়। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ২০০০-২০১৫ সময়কালে প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বন উজাড় হয়েছে। বাংলাদেশে তা ২ দশমিক ৬ শতাংশ। বিশ্বের বনজ সম্পদ পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচ-২০১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০০১ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর সমপরিমাণ এলাকার বনভূমি উজাড় হয়েছে।

আমরা বলতে চাই, বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এক্ষেত্রে জনবলের ঘাটতি দূর করাও জরুরি। পাশাপাশি যে জনবল আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

back to top