মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা স্থানীয় বাজার থেকে ‘জেনিকার্ব-২৫ ডপ্লিউপি’ কীটনাশক কিনে খেতে ছড়ান; কিন্তু কীটনাশকে একটি পোকাও মরেনি। কীটনাশকের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, নকল কীটনাশক বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
গাটের টাকা খরচ করে কীটনাশক কিনলেও কৃষক ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। শুধু যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য গড়ে উঠেছে তা নয়। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য হয় বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নকল কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানাও করে থাকে। তবে এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
নন্দীগ্রামের কৃষকরা অনেক দিন ধরে নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। কোন স্তরে প্রতারণাটা হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অসাধু চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেনিকার্ব-২৫ নামের কীটনাশকটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরীক্ষায় নকল বা ভেজাল প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আশা করব, আশ্বাস অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুধু কীটনাশকের ক্ষেত্রে নয়, কৃষকরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রতারিত হন। প্রায়ই শোনা যায়, পরিপুষ্ট বীজ দেয়ার কথা বলে পোকা খাওয়া বীজ সরবরাহ করা হয়। সারের গুণগতমান থাকে না। ভেজাল সার গছিয়ে দেয়া হয়। এভাবে কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন বারবার।
এমনিতেই কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে শস্য উৎপাদন করতে হয়। বহু কষ্টে উৎপাদন করা ফসল বিক্রি করে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। তার ওপর আবার এরকম নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে কৃষক যদি প্রতারিত হন, তাহলে তাদের ভোগান্তির আর শেষ থাকবে না।
আমরা বলতে চাই, কৃষকদের এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে হবে। কীটনাশক তো বটেই, বীজ ও সার কেনার ক্ষেত্রেও কৃষক যেন আর প্রতারিত না হন, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।
মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মাজরা পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষার জন্য বগুড়ার নন্দীগ্রামের কৃষকরা স্থানীয় বাজার থেকে ‘জেনিকার্ব-২৫ ডপ্লিউপি’ কীটনাশক কিনে খেতে ছড়ান; কিন্তু কীটনাশকে একটি পোকাও মরেনি। কীটনাশকের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, নকল কীটনাশক বিক্রি করছেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।
গাটের টাকা খরচ করে কীটনাশক কিনলেও কৃষক ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। শুধু যে বগুড়ার নন্দীগ্রামে ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য গড়ে উঠেছে তা নয়। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও ভেজাল কীটনাশকের বাণিজ্য হয় বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নকল কীটনাশকের বিরুদ্ধে প্রশাসন মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে জেল-জরিমানাও করে থাকে। তবে এটা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
নন্দীগ্রামের কৃষকরা অনেক দিন ধরে নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে প্রতারিত হচ্ছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আমলে নিতে হবে। কোন স্তরে প্রতারণাটা হচ্ছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অসাধু চক্রকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জেনিকার্ব-২৫ নামের কীটনাশকটি পরীক্ষা করে দেখা হবে। পরীক্ষায় নকল বা ভেজাল প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা আশা করব, আশ্বাস অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শুধু কীটনাশকের ক্ষেত্রে নয়, কৃষকরা অন্যান্য ক্ষেত্রেও প্রতারিত হন। প্রায়ই শোনা যায়, পরিপুষ্ট বীজ দেয়ার কথা বলে পোকা খাওয়া বীজ সরবরাহ করা হয়। সারের গুণগতমান থাকে না। ভেজাল সার গছিয়ে দেয়া হয়। এভাবে কৃষকরা প্রতারিত হয়ে থাকেন বারবার।
এমনিতেই কৃষকদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যদিয়ে শস্য উৎপাদন করতে হয়। বহু কষ্টে উৎপাদন করা ফসল বিক্রি করে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন কিনা সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকে। তার ওপর আবার এরকম নকল বা ভেজাল কীটনাশক কিনে কৃষক যদি প্রতারিত হন, তাহলে তাদের ভোগান্তির আর শেষ থাকবে না।
আমরা বলতে চাই, কৃষকদের এই ভোগান্তির অবসান ঘটাতে হবে। কীটনাশক তো বটেই, বীজ ও সার কেনার ক্ষেত্রেও কৃষক যেন আর প্রতারিত না হন, সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নিশ্চিত করতে হবে।