alt

সম্পাদকীয়

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

: বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যুগে যুগে মানুষের খাদ্যাভাস বদলেছে। এখন মানুষ অল্পসময়ে মুখরোচক খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টিকর খাবারের জায়গা দখল করেছে বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রির মতো ফাস্টফুড বা জাংকফুড।

সমস্যা হচ্ছে- জাংকফুড তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ফাস্টফুড খেলে স্থূলতা বৃদ্ধির মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস, বিষণ্নতা, স্ট্রোক, ক্যানসারের মতো অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

কেবল কর্মব্যস্ত শহুরে মানুষই যে জাংকফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন তা নয়; অনেক শিশুও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এর ফলে তাদের নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ম্যাটর্নাল অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট নিউট্রিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ফাস্টফুড খাওয়ার প্রভাবে শিশুদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে তাদের অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রভৃতিতে ভুগছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

দ্রুত নগরায়ণ ও খাদ্য শিল্পের সম্প্রসারণের কারণে প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রচার ও প্রসার বাড়ছে। আধুনিক যুগে মানুষের খাদ্যে নতুন বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাংকফুড। শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্বব্যাপী এসব খাবার খেয়ে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। শিল্পোন্নত অনেক দেশ ইতোমধ্যে জাংকফুডের ঝুঁকিতে পড়েছে। জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের গলদ্ঘর্ম হতে হচ্ছে।

জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানাতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। নাগরিকরা স্বাস্থ্যসচেতন হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

সুস্থ খাদ্যাভাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন করার কাজে হেলাফেলা করা যাবে না। খাদ্যাভ্যাস সুস্থ না হলে মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হবে। আর অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। দেশের সিংহভাগ মানুষেরই এই ব্যয়ভার বহনের সামর্থ নেই। কাজেই কোন কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটলে এর দায়ভার শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের কাঁধেই চাপবে।

বটতলী সড়কের কালভার্ট সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

হৃদরোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

রাণীশংকৈলে বনের বেদখল জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় টেকসই ব্যবস্থা নিতে হবে

পরিবেশবান্ধব ইট ব্যবহারে চাই সচেতনতা

প্লাস্টিক কারখানার অবৈধ গ্যাসলাইন, ব্যবস্থা নিন

স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যালাইনের সরবরাহ নিশ্চিত করুন

চালতাবুনিয়ায় পাকা রাস্তা চাই

মানসিক অসুস্থতা প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ ভবন সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

রাজধানীতে বৃষ্টি কেন এত ভোগান্তি বয়ে আনল

কৃষিযন্ত্র বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

নিত্যপণ্যের বেঁধে দেয়া দর কার্যকর করতে হবে

রেল যাত্রীদের সেবার মান বাড়ান

সড়কে চালকদের হয়রানির অভিযোগ আমলে নিন

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসন সমস্যা দূর করুন

অনুমোদনহীন তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান সেকশন বন্ধ করতে হবে

নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস গাছ বিক্রি বন্ধ হচ্ছে না কেন

ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু রোধে চাই সচেতনতা

ওজোন স্তরের ক্ষয় প্রসঙ্গে

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

বেদে শিশুদের শিক্ষা অর্জনের পথে বাধা দূর করুন

সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হবে

সিসা দূষণ মোকাবিলায় ব্যবস্থা নিন

কম উচ্চতার সেতু বানানোর হেতু কী

কৃষক কেন পাটের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না

নন্দীগ্রামে নকল কীটনাশক বিক্রি বন্ধ করুন

বনভূমি রক্ষায় সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে

অবৈধ বালু তোলা বন্ধ করুন

গাইড-কোচিং নির্ভরতা কমানো যাচ্ছে না কেন

সংরক্ষিত বন রক্ষা করুন

মরক্কোতে ভয়াবহ ভূমিকম্প

শতভাগ সাক্ষরতা অর্জনে পাড়ি দিতে হবে অনেক পথ

ডেঙ্গু রোগ : মশারি ব্যবহারে অনীহা নয়

tab

সম্পাদকীয়

জাংকফুডে স্বাস্থ্যঝুঁকি : মানুষকে সচেতন হতে হবে

বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যুগে যুগে মানুষের খাদ্যাভাস বদলেছে। এখন মানুষ অল্পসময়ে মুখরোচক খাবারে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। যে কারণে পুষ্টিকর খাবারের জায়গা দখল করেছে বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, ফ্রায়েড চিকেন, স্যান্ডউইচ, পেস্ট্রির মতো ফাস্টফুড বা জাংকফুড।

সমস্যা হচ্ছে- জাংকফুড তৈরিতে যেসব উপাদান ব্যবহার করা হয় তা মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ফাস্টফুড খেলে স্থূলতা বৃদ্ধির মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ডায়াবেটিস, বিষণ্নতা, স্ট্রোক, ক্যানসারের মতো অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

কেবল কর্মব্যস্ত শহুরে মানুষই যে জাংকফুডে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন তা নয়; অনেক শিশুও এতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এর ফলে তাদের নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভুগতে হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স অন ম্যাটর্নাল অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্ট নিউট্রিশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ফাস্টফুড খাওয়ার প্রভাবে শিশুদের ওজন বেড়ে যাচ্ছে। এর প্রভাবে তাদের অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস প্রভৃতিতে ভুগছে। এ বিষয়ে অভিভাবকদের নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

দ্রুত নগরায়ণ ও খাদ্য শিল্পের সম্প্রসারণের কারণে প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রচার ও প্রসার বাড়ছে। আধুনিক যুগে মানুষের খাদ্যে নতুন বিপদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জাংকফুড। শুধু আমাদের দেশ নয়, বিশ্বব্যাপী এসব খাবার খেয়ে মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে। শিল্পোন্নত অনেক দেশ ইতোমধ্যে জাংকফুডের ঝুঁকিতে পড়েছে। জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় তাদের গলদ্ঘর্ম হতে হচ্ছে।

জাংকফুডজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে আমাদের এখনই সচেতন হতে হবে। প্রক্রিয়াজাত খাবারের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে ব্যাপকভাবে জানাতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবারের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। নাগরিকরা স্বাস্থ্যসচেতন হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

সুস্থ খাদ্যাভাস গড়ে তোলার লক্ষ্যে নাগরিকদের সচেতন করার কাজে হেলাফেলা করা যাবে না। খাদ্যাভ্যাস সুস্থ না হলে মানুষ অসংক্রামক রোগে আক্রান্ত হবে। আর অসংক্রামক রোগের চিকিৎসা সময় ও ব্যয়সাপেক্ষ বিষয়। দেশের সিংহভাগ মানুষেরই এই ব্যয়ভার বহনের সামর্থ নেই। কাজেই কোন কারণে নাগরিকদের স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটলে এর দায়ভার শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রের কাঁধেই চাপবে।

back to top