রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। সেখানে ছিল না প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থা। ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
দেশের কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে জানা যায়, সেখানে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া একটি মার্কেট এতদিন কার্যক্রম চালাচ্ছে কীভাবে। এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা দাবি করছেন, ওই মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানা হয়নি।
আমরা জানতে চাইব, নির্দেশনা দেয়াই কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একমাত্র দায়িত্ব। কেউ নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পথে বাধা কোথায় সেটা জানা দরকার।
দেশে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অনেকেই অগ্নিকান্ডকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ। তারা মনে করেন, এটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। কারণ বেশির ভাগ অগ্নিকান্ডই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোরও দায় রয়েছে। বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে একে একে নানা অবহেলা আর অনিয়মের কথা প্রকাশ পায়।
অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকলে তা আগাম চিহ্নিত করা জরুরি। ঝুঁকি মোকাবিলায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থাও নিতে হবে। কেউ যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনীহা দেখায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কিন্তু এ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও সেটাকে ডিএনসিসির অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট-ভবনের তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।
আমরা বলতে চাই, অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা মার্কেট বা ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। অগ্নিঝুঁকি প্রশমনে সংশ্লিষ্ট কেউ যেন দায়িত্ব-কর্তব্যে অবেহলা না করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
যেসব মার্কেট বা ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারো গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে সেটা কাম্য নয়।
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। সেখানে ছিল না প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থা। ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।
দেশের কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে জানা যায়, সেখানে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া একটি মার্কেট এতদিন কার্যক্রম চালাচ্ছে কীভাবে। এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা দাবি করছেন, ওই মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানা হয়নি।
আমরা জানতে চাইব, নির্দেশনা দেয়াই কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একমাত্র দায়িত্ব। কেউ নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পথে বাধা কোথায় সেটা জানা দরকার।
দেশে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অনেকেই অগ্নিকান্ডকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ। তারা মনে করেন, এটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। কারণ বেশির ভাগ অগ্নিকান্ডই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোরও দায় রয়েছে। বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে একে একে নানা অবহেলা আর অনিয়মের কথা প্রকাশ পায়।
অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকলে তা আগাম চিহ্নিত করা জরুরি। ঝুঁকি মোকাবিলায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থাও নিতে হবে। কেউ যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনীহা দেখায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কিন্তু এ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও সেটাকে ডিএনসিসির অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট-ভবনের তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।
আমরা বলতে চাই, অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা মার্কেট বা ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। অগ্নিঝুঁকি প্রশমনে সংশ্লিষ্ট কেউ যেন দায়িত্ব-কর্তব্যে অবেহলা না করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।
যেসব মার্কেট বা ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারো গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে সেটা কাম্য নয়।