alt

সম্পাদকীয়

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

: শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। সেখানে ছিল না প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থা। ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

দেশের কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে জানা যায়, সেখানে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া একটি মার্কেট এতদিন কার্যক্রম চালাচ্ছে কীভাবে। এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা দাবি করছেন, ওই মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানা হয়নি।

আমরা জানতে চাইব, নির্দেশনা দেয়াই কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একমাত্র দায়িত্ব। কেউ নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পথে বাধা কোথায় সেটা জানা দরকার।

দেশে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অনেকেই অগ্নিকান্ডকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ। তারা মনে করেন, এটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। কারণ বেশির ভাগ অগ্নিকান্ডই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোরও দায় রয়েছে। বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে একে একে নানা অবহেলা আর অনিয়মের কথা প্রকাশ পায়।

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকলে তা আগাম চিহ্নিত করা জরুরি। ঝুঁকি মোকাবিলায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থাও নিতে হবে। কেউ যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনীহা দেখায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কিন্তু এ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও সেটাকে ডিএনসিসির অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট-ভবনের তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।

আমরা বলতে চাই, অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা মার্কেট বা ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। অগ্নিঝুঁকি প্রশমনে সংশ্লিষ্ট কেউ যেন দায়িত্ব-কর্তব্যে অবেহলা না করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

যেসব মার্কেট বা ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারো গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে সেটা কাম্য নয়।

কয়রায় টেকসই বাঁধ নির্মাণে বিলম্ব কেন

ফেনীর বন্যা : টেকসই সমাধান জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

tab

সম্পাদকীয়

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো ছাড় নয়

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে কোনো নিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। সেখানে ছিল না প্রাথমিক ফায়ার ফাইটিংয়ের কোনো ব্যবস্থা। ফায়ার সার্ভিসের সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য।

দেশের কোথাও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে জানা যায়, সেখানে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছিল না। প্রশ্ন হচ্ছে, অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা ছাড়া একটি মার্কেট এতদিন কার্যক্রম চালাচ্ছে কীভাবে। এর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তিরা দাবি করছেন, ওই মার্কেটের দোকান মালিক সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অগ্নিনিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা মানা হয়নি।

আমরা জানতে চাইব, নির্দেশনা দেয়াই কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একমাত্র দায়িত্ব। কেউ নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার পথে বাধা কোথায় সেটা জানা দরকার।

দেশে প্রতিনিয়তই ছোট-বড় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। অনেকেই অগ্নিকান্ডকে নিছক দুর্ঘটনা হিসেবে মানতে নারাজ। তারা মনে করেন, এটা মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। কারণ বেশির ভাগ অগ্নিকান্ডই ঘটে সংশ্লিষ্টদের অবহেলা আর অসতর্কতার জন্য। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোরও দায় রয়েছে। বড় কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে একে একে নানা অবহেলা আর অনিয়মের কথা প্রকাশ পায়।

অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থায় কোনো ঘাটতি থাকলে তা আগাম চিহ্নিত করা জরুরি। ঝুঁকি মোকাবিলায় তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থাও নিতে হবে। কেউ যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনীহা দেখায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে।

কিন্তু এ কাজে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ভূমিকা রাখে না বলে অভিযোগ রয়েছে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অগ্নিকান্ডের ঝুঁকি রোধে নিরাপত্তাব্যবস্থা না থাকা সত্ত্বেও সেটাকে ডিএনসিসির অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট-ভবনের তালিকায় রাখা হয়নি বলে জানা গেছে।

আমরা বলতে চাই, অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিতে থাকা মার্কেট বা ভবনগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল ভবন পরিদর্শন করে ভবনের ঝুঁকি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দিয়ে দায়িত্ব সারলে চলবে না। অগ্নিঝুঁকি প্রশমনে সংশ্লিষ্ট কেউ যেন দায়িত্ব-কর্তব্যে অবেহলা না করে সেটা কঠোরভাবে নিশ্চিত করতে হবে।

যেসব মার্কেট বা ভবন অগ্নিঝুঁকিতে রয়েছে তাদেরকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সময় বেঁধে দিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারো গাফিলতিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটবে, জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হবে সেটা কাম্য নয়।

back to top