রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে রোগীদের খাবার সরবরাহ করছে। একই ঠিকানায় পৃথক চারটি নাম ব্যবহার করে ঠিকাদার এই কাজ করছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, একই ঠিকানায় চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে অংশ নেন ঠিকাদার। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাজ নিয়েছেন তারা। টেন্ডারে খাবারের দ্বিগুণ-তিনগুণ দামের লিস্ট দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি বাজারদর যাচাই না করেই এসব প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছে।
ঠিকাদাররা শুধু খাবারের দাম বেশি নিচ্ছেন তা নয়। রোগীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে ও খাদ্য সরবরাহ না করেও বিল নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তারা আবার কাজ পাচ্ছে কিভাবে সেটা এক রহস্য।
শুধু রংপুর হাসপাতালে নয়, দেশের অন্যান্য হাসপাতালেও রোগীদের খাবার সরবরাহ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। আর এর সঙ্গে জড়িত থাকে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুদকের অনুসন্ধানে এর আগে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। কিন্তু সেসব অনিয়ম আর বন্ধ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারাই এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ কারণে প্রশাসনও নীরব হয়ে যায়।
প্রশাসনকে বোকা বানাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর কৌশলে নাম পাল্টায়। কবে, কখন টেন্ডার আহ্বান করা হয়, সেটা হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ছাড়া কেউ জানে না। কী প্রক্রিয়ায় পুনরায় অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবার কাজ পেয়ে যায়, তা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নাকি জানেন না। আবার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে খাবার কেন কিনছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-তারও সদুত্তর দিতে পারছেন না হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, বেশি মূল্যে খাবার কেনার বিষয়ে তার জানা নেই। আমরা বলতে চাই, শুধু জানা নেই বললেই তো হবে না। জানার ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্ত করতে হবে। মাত্র একটি কিংবা দুটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে সব সময় টেন্ডার পায় সেটা খতিয়ে দেখা হোক। যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে রোগীদের খাবার সরবরাহ করছে। একই ঠিকানায় পৃথক চারটি নাম ব্যবহার করে ঠিকাদার এই কাজ করছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, একই ঠিকানায় চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে অংশ নেন ঠিকাদার। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাজ নিয়েছেন তারা। টেন্ডারে খাবারের দ্বিগুণ-তিনগুণ দামের লিস্ট দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি বাজারদর যাচাই না করেই এসব প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছে।
ঠিকাদাররা শুধু খাবারের দাম বেশি নিচ্ছেন তা নয়। রোগীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে ও খাদ্য সরবরাহ না করেও বিল নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তারা আবার কাজ পাচ্ছে কিভাবে সেটা এক রহস্য।
শুধু রংপুর হাসপাতালে নয়, দেশের অন্যান্য হাসপাতালেও রোগীদের খাবার সরবরাহ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। আর এর সঙ্গে জড়িত থাকে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুদকের অনুসন্ধানে এর আগে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। কিন্তু সেসব অনিয়ম আর বন্ধ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারাই এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ কারণে প্রশাসনও নীরব হয়ে যায়।
প্রশাসনকে বোকা বানাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর কৌশলে নাম পাল্টায়। কবে, কখন টেন্ডার আহ্বান করা হয়, সেটা হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ছাড়া কেউ জানে না। কী প্রক্রিয়ায় পুনরায় অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবার কাজ পেয়ে যায়, তা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নাকি জানেন না। আবার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে খাবার কেন কিনছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-তারও সদুত্তর দিতে পারছেন না হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, বেশি মূল্যে খাবার কেনার বিষয়ে তার জানা নেই। আমরা বলতে চাই, শুধু জানা নেই বললেই তো হবে না। জানার ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্ত করতে হবে। মাত্র একটি কিংবা দুটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে সব সময় টেন্ডার পায় সেটা খতিয়ে দেখা হোক। যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।