alt

সম্পাদকীয়

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

: মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে রোগীদের খাবার সরবরাহ করছে। একই ঠিকানায় পৃথক চারটি নাম ব্যবহার করে ঠিকাদার এই কাজ করছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, একই ঠিকানায় চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে অংশ নেন ঠিকাদার। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাজ নিয়েছেন তারা। টেন্ডারে খাবারের দ্বিগুণ-তিনগুণ দামের লিস্ট দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি বাজারদর যাচাই না করেই এসব প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছে।

ঠিকাদাররা শুধু খাবারের দাম বেশি নিচ্ছেন তা নয়। রোগীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে ও খাদ্য সরবরাহ না করেও বিল নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তারা আবার কাজ পাচ্ছে কিভাবে সেটা এক রহস্য।

শুধু রংপুর হাসপাতালে নয়, দেশের অন্যান্য হাসপাতালেও রোগীদের খাবার সরবরাহ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। আর এর সঙ্গে জড়িত থাকে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুদকের অনুসন্ধানে এর আগে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। কিন্তু সেসব অনিয়ম আর বন্ধ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারাই এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ কারণে প্রশাসনও নীরব হয়ে যায়।

প্রশাসনকে বোকা বানাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর কৌশলে নাম পাল্টায়। কবে, কখন টেন্ডার আহ্বান করা হয়, সেটা হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ছাড়া কেউ জানে না। কী প্রক্রিয়ায় পুনরায় অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবার কাজ পেয়ে যায়, তা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নাকি জানেন না। আবার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে খাবার কেন কিনছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-তারও সদুত্তর দিতে পারছেন না হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, বেশি মূল্যে খাবার কেনার বিষয়ে তার জানা নেই। আমরা বলতে চাই, শুধু জানা নেই বললেই তো হবে না। জানার ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্ত করতে হবে। মাত্র একটি কিংবা দুটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে সব সময় টেন্ডার পায় সেটা খতিয়ে দেখা হোক। যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই

tab

সম্পাদকীয়

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশি মূল্যে খাবার কিনছে কেন

মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের খাবার সরবরাহ করে চারটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা বাজারদরের চেয়ে বেশি দামে রোগীদের খাবার সরবরাহ করছে। একই ঠিকানায় পৃথক চারটি নাম ব্যবহার করে ঠিকাদার এই কাজ করছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, একই ঠিকানায় চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে টেন্ডারে অংশ নেন ঠিকাদার। অভিযোগ আছে, হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে কাজ নিয়েছেন তারা। টেন্ডারে খাবারের দ্বিগুণ-তিনগুণ দামের লিস্ট দেয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রশ্ন হচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কি বাজারদর যাচাই না করেই এসব প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিয়েছে।

ঠিকাদাররা শুধু খাবারের দাম বেশি নিচ্ছেন তা নয়। রোগীর সংখ্যা বেশি দেখিয়ে ও খাদ্য সরবরাহ না করেও বিল নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তারা আবার কাজ পাচ্ছে কিভাবে সেটা এক রহস্য।

শুধু রংপুর হাসপাতালে নয়, দেশের অন্যান্য হাসপাতালেও রোগীদের খাবার সরবরাহ নিয়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ মেলে। আর এর সঙ্গে জড়িত থাকে হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। দুদকের অনুসন্ধানে এর আগে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির সন্ধান মিলেছে। কিন্তু সেসব অনিয়ম আর বন্ধ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতারাই এসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক। এ কারণে প্রশাসনও নীরব হয়ে যায়।

প্রশাসনকে বোকা বানাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর কৌশলে নাম পাল্টায়। কবে, কখন টেন্ডার আহ্বান করা হয়, সেটা হাসপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ছাড়া কেউ জানে না। কী প্রক্রিয়ায় পুনরায় অভিযুক্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আবার কাজ পেয়ে যায়, তা হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নাকি জানেন না। আবার বাজার মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি দামে খাবার কেন কিনছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-তারও সদুত্তর দিতে পারছেন না হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, বেশি মূল্যে খাবার কেনার বিষয়ে তার জানা নেই। আমরা বলতে চাই, শুধু জানা নেই বললেই তো হবে না। জানার ব্যবস্থা করতে হবে। তদন্ত করতে হবে। মাত্র একটি কিংবা দুটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে সব সময় টেন্ডার পায় সেটা খতিয়ে দেখা হোক। যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top