alt

সম্পাদকীয়

সিসা তৈরির অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

হবিগঞ্জের মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, উক্ত কারখানা গড়ে তুলতে নেয়া হয়নি কলকারখানা অধিদপ্তরের অনুমতি। কারখানার না আছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, না আছে ট্রেড লাইসেন্স। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হলেও নেই নিরাপদ চুলা।

সিসা তৈরির কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সেখানে কর্মরতদের কাজের জন্য নেই নিরাপত্তা সরঞ্জাম। কারখানার বর্জ্য, পরিত্যক্ত ব্যাটারি ও বিভিন্ন রাসায়নিকের কারণে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সিসা সাধারণত পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। এরপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিসাকে বলা হয় নীরব ঘাতক।

এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে। সিসা দূষণের কারণে দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালের’ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। একই কারণে শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেছে বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে সিসার ভয়াবহতার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।

ব্যাটারি ভাঙা শিল্প দেশে সিসা দূষণের অন্যতম একটি কারণ। গবেষকরা বলছেন, সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। তখন প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে সিসা দূষণে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে সরকারকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদন শিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে।

আমরা বলতে চাই, মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়া পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা গড়ে তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের অন্যত্র অননুমোদিত কোনো সিসা তৈরির কারখানা থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই

নারী ফায়ার ফাইটার : সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে চাই আন্তরিকতা

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যু ও আদালতের নির্দেশনা

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

রাজধানীতে সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, ‘কারসাজির’ বিরুদ্ধে আর কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে

রাজনীতি : সংঘাত, সহিংসতা সমাধান নয়, বিপদ বাড়াবে

তারাকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডসেবা চালু করুন

tab

সম্পাদকীয়

সিসা তৈরির অনুমোদনহীন কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩

হবিগঞ্জের মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, উক্ত কারখানা গড়ে তুলতে নেয়া হয়নি কলকারখানা অধিদপ্তরের অনুমতি। কারখানার না আছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, না আছে ট্রেড লাইসেন্স। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হলেও নেই নিরাপদ চুলা।

সিসা তৈরির কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সেখানে কর্মরতদের কাজের জন্য নেই নিরাপত্তা সরঞ্জাম। কারখানার বর্জ্য, পরিত্যক্ত ব্যাটারি ও বিভিন্ন রাসায়নিকের কারণে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

সিসা সাধারণত পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। এরপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিসাকে বলা হয় নীরব ঘাতক।

এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে। সিসা দূষণের কারণে দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালের’ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। একই কারণে শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেছে বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে সিসার ভয়াবহতার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।

ব্যাটারি ভাঙা শিল্প দেশে সিসা দূষণের অন্যতম একটি কারণ। গবেষকরা বলছেন, সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। তখন প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে সিসা দূষণে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে সরকারকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদন শিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে।

আমরা বলতে চাই, মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়া পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা গড়ে তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের অন্যত্র অননুমোদিত কোনো সিসা তৈরির কারখানা থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top