হবিগঞ্জের মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, উক্ত কারখানা গড়ে তুলতে নেয়া হয়নি কলকারখানা অধিদপ্তরের অনুমতি। কারখানার না আছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, না আছে ট্রেড লাইসেন্স। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হলেও নেই নিরাপদ চুলা।
সিসা তৈরির কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সেখানে কর্মরতদের কাজের জন্য নেই নিরাপত্তা সরঞ্জাম। কারখানার বর্জ্য, পরিত্যক্ত ব্যাটারি ও বিভিন্ন রাসায়নিকের কারণে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
সিসা সাধারণত পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। এরপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিসাকে বলা হয় নীরব ঘাতক।
এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে। সিসা দূষণের কারণে দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালের’ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। একই কারণে শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেছে বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে সিসার ভয়াবহতার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যাটারি ভাঙা শিল্প দেশে সিসা দূষণের অন্যতম একটি কারণ। গবেষকরা বলছেন, সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। তখন প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে সিসা দূষণে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে সরকারকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদন শিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে।
আমরা বলতে চাই, মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়া পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা গড়ে তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের অন্যত্র অননুমোদিত কোনো সিসা তৈরির কারখানা থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।
সোমবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৩
হবিগঞ্জের মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গেছে, উক্ত কারখানা গড়ে তুলতে নেয়া হয়নি কলকারখানা অধিদপ্তরের অনুমতি। কারখানার না আছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, না আছে ট্রেড লাইসেন্স। ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরি করা হলেও নেই নিরাপদ চুলা।
সিসা তৈরির কারখানা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরাও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে। সেখানে কর্মরতদের কাজের জন্য নেই নিরাপত্তা সরঞ্জাম। কারখানার বর্জ্য, পরিত্যক্ত ব্যাটারি ও বিভিন্ন রাসায়নিকের কারণে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
সিসা সাধারণত পানীয় ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে মানবশরীরে প্রবেশ করে। এরপর রক্তের সঙ্গে মিশে যকৃত, কিডনি, হাড়সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সিসাকে জনস্বাস্থ্যের জন্য অন্যতম ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। সিসাকে বলা হয় নীরব ঘাতক।
এক আন্তর্জাতিক গবেষণা অনুযায়ী, সিসা দূষণের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। এ দেশের মানুষের মধ্যে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে গড়ে প্রায় ৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম সিসা রয়েছে। সিসা দূষণের কারণে দেশে প্রতি বছর ১ লাখ ৩৮ হাজারেরও বেশি মানুষ হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকী ‘দ্য ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথ জার্নালের’ গবেষণা থেকে জানা গেছে এ তথ্য। একই কারণে শিশুদের আইকিউ কমে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা করেছে বিশ্ব ব্যাংকের একদল গবেষক। তাদের গবেষণা প্রতিবেদনে সিসার ভয়াবহতার চিত্র প্রকাশিত হয়েছে।
ব্যাটারি ভাঙা শিল্প দেশে সিসা দূষণের অন্যতম একটি কারণ। গবেষকরা বলছেন, সিসা যদি মাটির সঙ্গে মেশে তাহলে শত শত বছর বিদ্যমান থাকবে। তখন প্রজন্মের পর প্রজন্ম আক্রান্ত হবে সিসা দূষণে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, জাতীয় পর্যায়ে সিসা দূষণ রোধে সরকারকে পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। উৎপাদন শিল্পে নিয়ম এবং সতর্কতা জোরদার করা গেলে সিসা দূষণ অনেকাংশে কমে আসবে।
আমরা বলতে চাই, মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়া পুরোনো ব্যাটারি পুড়িয়ে সিসা তৈরির কারখানা গড়ে তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের অন্যত্র অননুমোদিত কোনো সিসা তৈরির কারখানা থাকলে সেগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে।