কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজারে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নয় কৃষকের চার একর জমি জোর দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দখল করা জমিতে ইটভাটাও গড়ে তুলেছেন। কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজারের কৃষকরা ফসলি জমি হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই কৃষি জমি। ভাটা মালিকের ছলচাতুরীর ফাঁদে পড়ে তাদের আবাদ বন্ধ। দিনকয়েক আগে এক কৃষক তার জমিতে আবাদ করতে গেলে ইটভাটার শ্রমিকরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে আইন আছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। একজন ইটভাটা মালিক নয়জন কৃষকের জমি জোরপূর্বক কিভাবে দখলে নিতে পারে সে প্রশ্ন আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে করতে চাই।
কৃষকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি জমি দখল নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি আমলে নিতে হবে। দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটা আমরা দেখতে চাই। কৃষকদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। কৃষকরা যাতে তাদের জমি ফিরে পান, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষকের ফসলি জমি ক্ষমতার জোরে দখলে নিয়ে প্রভাবশালীর ইটভাটা গড়ে তোলার ঘটনা শুধু মুরাদনগরেই ঘটেছে তা নয়। অতীতেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরকম ঘটনা ঘটেছে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ইটভাটার দৌরাত্ম্যে কৃষি জমি দিন দিন কমতে শুরু করেছে। মৃত্তিকা গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৫০ হাজার একর আবাদি জমি ইটভাটাগুলোর দখলে রয়েছে। ইটভাটাগুলোয় বছরে গড়ে ৭৫ হাজার করে ইট তৈরি হয়। মাটি লাগে ১৫ কোটি টন। এ কারণে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
প্রতিবছর অসংখ্য আবাদি জমি ইটভাটা গ্রাস করছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। কৃষিজমি রক্ষায় এখনই টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিজমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে। যে সব ইটভাটা মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি দখল করে মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইটের দরকার আছে। আবার কৃষি জমিরও দরকার আছে। বাস্তবতার নিরিখে এ দুটোর সমম্বয় করতে হবে। কৃষি জমি রক্ষা করে এবং প্রকৃতি-পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে কিভাবে ইট তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।
মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৩
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরাবাজারে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি নয় কৃষকের চার একর জমি জোর দখল করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দখল করা জমিতে ইটভাটাও গড়ে তুলেছেন। কৃষকরা তাদের জমি ফিরে পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
মুরাদনগরের বাঙ্গরাবাজারের কৃষকরা ফসলি জমি হারিয়ে এখন দিশেহারা। তাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন ছিল এই কৃষি জমি। ভাটা মালিকের ছলচাতুরীর ফাঁদে পড়ে তাদের আবাদ বন্ধ। দিনকয়েক আগে এক কৃষক তার জমিতে আবাদ করতে গেলে ইটভাটার শ্রমিকরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দেশে আইন আছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা আছে। একজন ইটভাটা মালিক নয়জন কৃষকের জমি জোরপূর্বক কিভাবে দখলে নিতে পারে সে প্রশ্ন আমরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে করতে চাই।
কৃষকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি জমি দখল নিয়েছেন বলে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি আমলে নিতে হবে। দখলদারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটা আমরা দেখতে চাই। কৃষকদের জমি অবৈধ দখলমুক্ত করতে হবে। কৃষকরা যাতে তাদের জমি ফিরে পান, সে ব্যবস্থা করতে হবে।
কৃষকের ফসলি জমি ক্ষমতার জোরে দখলে নিয়ে প্রভাবশালীর ইটভাটা গড়ে তোলার ঘটনা শুধু মুরাদনগরেই ঘটেছে তা নয়। অতীতেও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এরকম ঘটনা ঘটেছে। যা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
ইটভাটার দৌরাত্ম্যে কৃষি জমি দিন দিন কমতে শুরু করেছে। মৃত্তিকা গবেষকরা বলছেন, প্রায় ৫০ হাজার একর আবাদি জমি ইটভাটাগুলোর দখলে রয়েছে। ইটভাটাগুলোয় বছরে গড়ে ৭৫ হাজার করে ইট তৈরি হয়। মাটি লাগে ১৫ কোটি টন। এ কারণে সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়।
প্রতিবছর অসংখ্য আবাদি জমি ইটভাটা গ্রাস করছে। এভাবে চলতে থাকলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত হবে। কৃষিজমি রক্ষায় এখনই টেকসই পরিকল্পনা নিতে হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কৃষিজমি উদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে। যে সব ইটভাটা মালিক আইনের তোয়াক্কা না করে ফসলি জমি দখল করে মাটি কেটে ইটভাটায় ব্যবহার করছেন, তাদের আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ইটের দরকার আছে। আবার কৃষি জমিরও দরকার আছে। বাস্তবতার নিরিখে এ দুটোর সমম্বয় করতে হবে। কৃষি জমি রক্ষা করে এবং প্রকৃতি-পরিবেশের ক্ষতি কমিয়ে কিভাবে ইট তৈরি করা যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে।