alt

সম্পাদকীয়

যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা কোথায়

: শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

খুলনায় তিনটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। প্রকল্প নেয়ার সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯৫ কোটি টাকা; কিন্তু এখনো প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে এরই মধ্যে সময় বাড়ানো হয়েছে দুই দফা। ব্যয়ও বেড়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু খুলনার এই একটি প্রকল্পেই নয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের বেশিরভাগ সংস্থার মধ্যে সময় ও ব্যয় বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। আমাদের মনে আছে, এর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন; কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। বাস্তবে একদিকে প্রকল্পের সময় বাড়ে, ব্যয় বাড়ে, কাজের মানও আশানুরূপ হয় না, কিন্তু জনদুর্ভোগ ঠিকই হয়।

জনগণের কল্যাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তবে প্রকল্প যদি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না করা যায়, বা কাজই শুরু না হয়, তাহলে জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। জনগণের মঙ্গলের জন্য নীতিনির্ধারকরা পরিকল্পনা করে, ভেবেচিন্তে প্রকল্প গ্রহণ করে; কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের প্রায় ক্ষেত্রেই উদাসীনতা ও অবহেলা দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা না গেলে বহুবিদ ক্ষতি সাধান হয়। নির্মাণসামগ্রীসহ শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য সেবার দাম বাড়ে। যে কারণে প্রকল্পের ব্যয়ও বাড়ে। এতে রাষ্ট্রের উন্নয়ন শৃঙ্খলা বিনষ্ট নয়।

আমরা বলতে চাই, প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। খেয়ালখুশিমতো মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করা জরুরি। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রকল্প শেষ করতে না পারলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।

ঠিকাদাররা যাতে যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করার প্রতি মনোযোগী হন, কেবল আনুষঙ্গিক কাজ ও নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত না থাকেন সেজন্য তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নে বাধা কোথায়

শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

খুলনায় তিনটি সংযোগ সড়ক নির্মাণের কথা রয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে প্রকল্পও অনুমোদন করা হয়। প্রকল্প নেয়ার সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৯৫ কোটি টাকা; কিন্তু এখনো প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। তবে এরই মধ্যে সময় বাড়ানো হয়েছে দুই দফা। ব্যয়ও বেড়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

শুধু খুলনার এই একটি প্রকল্পেই নয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকারের বেশিরভাগ সংস্থার মধ্যে সময় ও ব্যয় বাড়ার প্রবণতা দেখা যায়। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা একটি অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়েছে। আমাদের মনে আছে, এর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন; কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়েছে বলে মনে হয় না। বাস্তবে একদিকে প্রকল্পের সময় বাড়ে, ব্যয় বাড়ে, কাজের মানও আশানুরূপ হয় না, কিন্তু জনদুর্ভোগ ঠিকই হয়।

জনগণের কল্যাণের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। তবে প্রকল্প যদি যথাসময়ে বাস্তবায়ন না করা যায়, বা কাজই শুরু না হয়, তাহলে জনগণকে কাক্সিক্ষত সেবা দেয়া সম্ভব হয় না। জনগণের মঙ্গলের জন্য নীতিনির্ধারকরা পরিকল্পনা করে, ভেবেচিন্তে প্রকল্প গ্রহণ করে; কিন্তু এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের প্রায় ক্ষেত্রেই উদাসীনতা ও অবহেলা দেখা যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কোন প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা না গেলে বহুবিদ ক্ষতি সাধান হয়। নির্মাণসামগ্রীসহ শ্রমিকের মজুরি ও অন্যান্য সেবার দাম বাড়ে। যে কারণে প্রকল্পের ব্যয়ও বাড়ে। এতে রাষ্ট্রের উন্নয়ন শৃঙ্খলা বিনষ্ট নয়।

আমরা বলতে চাই, প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় বাড়ানোর অপসংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। খেয়ালখুশিমতো মেয়াদ বা ব্যয় বাড়ানোর আগে প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি আদায় করা জরুরি। প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদে প্রকল্প শেষ করতে না পারলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। তাদের কাজে স্বচ্ছতা থাকা জরুরি।

ঠিকাদাররা যাতে যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করার প্রতি মনোযোগী হন, কেবল আনুষঙ্গিক কাজ ও নিজেদের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত না থাকেন সেজন্য তদারকির ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

back to top