alt

মতামত » সম্পাদকীয়

উপকূলীয় অঞ্চলের জমির লবণাক্ততা হ্রাসে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

: শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে লবণাক্ততার মাত্রা বাড়ছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জমিগুলোতে। জমি হয়ে পড়ছে অনাবাদি। এতে ফলন কমছে। বাড়ছে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের হতাশা। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে এবং সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে উপকূলীয় অঞ্চলের সার্বিকভাবে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাগেরহাটের উপকূলীয় অঞ্চল মোরেলগঞ্জেও পড়েছে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ফসলিজমিতে ১৮ শতাংশ লবণাক্ততা বেড়েছে। তাই বছরে একটি ফসল উৎপাদন করতে পারছেন কৃষকরা। আমন ধানের উৎপাদন কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতি বিঘায় ধান হতো প্রায় ৩০ মণ। এখন হয় বিঘাপ্রতি মাত্র ১০ মণ। লবণাক্ততার কারণেই প্রতি বছর উপকূলীয় জেলাগুলো খাদ্যশস্য উৎপাদনবঞ্চিত হচ্ছে ৩০ লাখ টন। এমন তথ্য জানাচ্ছে মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

স্বাধীনতার পর উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত জমি ছিল ৮ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর। এখন ১০ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে। চার যুগে লবণাক্ত জমি বেড়েছে ২৭ শতাংশ। আবাদি জমি ২৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য ২১ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর। চাষযোগ্য জমির অর্ধেকই লবণাক্ত। প্রতি বছর পাঁচ লাখ হেক্টরের বেশি জমি অনাবাদি থেকে যায়।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে। বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। তাই উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মিশে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততা বাড়ছে। জলোচ্ছ্বাসের সময় সমুদ্রের নোনাপানি এসে জমছে কৃষিজমিতে। এ পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে কৃষিজমির স্বাভাবিক উৎপাদনক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সরকারসংশ্লিষ্টরা যদি পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা নিতেন তাহলে অনেকাংশে লবণাক্ততা কমত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে অণুজীব সক্রিয় থাকতে পারছে না। যে কারণে মাটিতে জৈব পদার্থ, নাইট্রোজেন ও ফসফরাস কমে যাচ্ছে। বিপরীতে বাড়ছে কপার ও জিংকের মাত্রা। ফলে কৃষকের ধানের ফলন ঠিকমতো হচ্ছে না। লবণাক্ততায় মাটির উর্বরতা কমছে বলে গাছের উৎপাদন ক্ষমতাও কমছে।

প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে শুকনো মৌসুমে লবণাক্ত পানির প্রবেশদ্বারে পর্যাপ্ত স্লুইসগেট নির্মাণ করতে হবে। সজন পদ্ধতিতে জমি কেটে উঁচু করে চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে হবে। লবণাক্ত পানি প্রবেশ ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে হবে, লবণাক্ততাসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে ও আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষিবিদরা। আমরা আশা করব, এসব পরামর্শ আমলে নেয়া হবে।

চরাঞ্চলের বিদ্যালয়ে নিয়মিত পাঠদান নিশ্চিত করুন

অসহিষ্ণুতার সংস্কৃতি থামাতে হবে

কাঠ পাচার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

ফিরে এল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা

বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে জিও ব্যাগ ব্যবহারে অনিয়মের অভিযোগ

দুই দফা ভূমিকম্প: এখনই প্রস্তুতির সময়

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি

গভীর রাতে সাংবাদিককে তুলে নেয়ার প্রকৃত কারণ উদঘাটন করতে হবে

সাময়িকী কবিতা

ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ

স্কুল ফিডিং কর্মসূচিতে অনিয়ম কাম্য নয়

ছবি

শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে চাই সচেতনতা

গাজনার বিলে জলাবদ্ধতা দূর করতে ব্যবস্থা নিন

বাল্যবিয়ে: সংকট এখনো গভীর

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়: সব প্রশ্নের কি মীমাংসা হলো?

কুষ্টিয়ায় গাছ কাটার ‘গোপন টেন্ডার’ নিয়ে বিতর্কের অবসান হোক

ধান কেনায় অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

লালমনিরহাটের বিসিক শিল্পনগরীর দুরবস্থা

তৃণমূলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা, ব্যবস্থা নিন

শ্রীপুরের মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে ক্লাস, পদক্ষেপ জরুরি

শিশু ধর্ষণচেষ্টা: সালিসের নামে প্রহসন কাম্য নয়

বিশুদ্ধ পানির প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ আমলে নিন

সুপেয় পানির জন্য মোরেলগঞ্জের মানুষের অপেক্ষার অবসান হবে কবে

কেন একজন নিরপরাধ মানুষকে কিসের আগুনে পুড়ে মরতে হলো

জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ সুরাহা করুন

রাজধানীতে প্রকাশ্যে হত্যা: আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগ

নলবিলা খাল খনন করুন

অগ্নি-নিরাপত্তায় উদাসীনতা কাম্য নয়

কারেন্ট পোকা দমনে কৃষককে সহায়তা দিন

আলুর বাজারে নীরব বিপর্যয়

বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করুন

টিলায় পাথর লুট : কার্যকর ব্যবস্থা নিন

ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

ডেঙ্গু মোকাবিলায় দায়িত্বহীনতা আর নয়

সার সংকট সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ দরকার

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

উপকূলীয় অঞ্চলের জমির লবণাক্ততা হ্রাসে পরিকল্পিত পদক্ষেপ নিন

শনিবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৩

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে লবণাক্ততার মাত্রা বাড়ছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জমিগুলোতে। জমি হয়ে পড়ছে অনাবাদি। এতে ফলন কমছে। বাড়ছে উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকদের হতাশা। জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমন্বিত পরিকল্পনা নিতে হবে এবং সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। না হলে উপকূলীয় অঞ্চলের সার্বিকভাবে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাগেরহাটের উপকূলীয় অঞ্চল মোরেলগঞ্জেও পড়েছে। সেখানে জলবায়ু পরিবর্তনে কারণে ফসলিজমিতে ১৮ শতাংশ লবণাক্ততা বেড়েছে। তাই বছরে একটি ফসল উৎপাদন করতে পারছেন কৃষকরা। আমন ধানের উৎপাদন কমে গেছে। আগে যেখানে প্রতি বিঘায় ধান হতো প্রায় ৩০ মণ। এখন হয় বিঘাপ্রতি মাত্র ১০ মণ। লবণাক্ততার কারণেই প্রতি বছর উপকূলীয় জেলাগুলো খাদ্যশস্য উৎপাদনবঞ্চিত হচ্ছে ৩০ লাখ টন। এমন তথ্য জানাচ্ছে মৃত্তিকা সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান।

স্বাধীনতার পর উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত জমি ছিল ৮ লাখ ৩৩ হাজার হেক্টর। এখন ১০ লাখ ৬০ হাজার হেক্টরে। চার যুগে লবণাক্ত জমি বেড়েছে ২৭ শতাংশ। আবাদি জমি ২৮ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে চাষযোগ্য ২১ লাখ ৬২ হাজার হেক্টর। চাষযোগ্য জমির অর্ধেকই লবণাক্ত। প্রতি বছর পাঁচ লাখ হেক্টরের বেশি জমি অনাবাদি থেকে যায়।

বৈশ্বিক উষ্ণতা বেড়েছে। বেড়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা। তাই উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে সমুদ্রের লবণাক্ত পানি মিশে যাচ্ছে। পাশাপাশি ভূগর্ভস্থ পানিতেও লবণাক্ততা বাড়ছে। জলোচ্ছ্বাসের সময় সমুদ্রের নোনাপানি এসে জমছে কৃষিজমিতে। এ পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে কৃষিজমির স্বাভাবিক উৎপাদনক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সরকারসংশ্লিষ্টরা যদি পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা নিতেন তাহলে অনেকাংশে লবণাক্ততা কমত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের মাটিতে অণুজীব সক্রিয় থাকতে পারছে না। যে কারণে মাটিতে জৈব পদার্থ, নাইট্রোজেন ও ফসফরাস কমে যাচ্ছে। বিপরীতে বাড়ছে কপার ও জিংকের মাত্রা। ফলে কৃষকের ধানের ফলন ঠিকমতো হচ্ছে না। লবণাক্ততায় মাটির উর্বরতা কমছে বলে গাছের উৎপাদন ক্ষমতাও কমছে।

প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে শুকনো মৌসুমে লবণাক্ত পানির প্রবেশদ্বারে পর্যাপ্ত স্লুইসগেট নির্মাণ করতে হবে। সজন পদ্ধতিতে জমি কেটে উঁচু করে চাষাবাদের ব্যবস্থা করতে হবে। লবণাক্ত পানি প্রবেশ ঠেকানোর ব্যবস্থা নিতে হবে, লবণাক্ততাসহিষ্ণু ফসলের জাত উদ্ভাবন করতে হবে ও আধুনিক উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষিবিদরা। আমরা আশা করব, এসব পরামর্শ আমলে নেয়া হবে।

back to top