বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। গত মাসেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের আয় বাড়েনি। বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি। মানুষ সঞ্চয় করতে পারছে না। বরং জমানো টাকা ভেঙে বা ধারদেনা করে জীবন অতিবাহিত করছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে অনেকে মনে করেন প্রকৃত অবস্থা বিবিএসের দেয়া তথ্যের চেয়ে খারাপ।
নানান কারণেই মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে। ধীরলয়ে মূল্যস্ফীতি ঘটলে মানুষ তার সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারে। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের রোজগার সাধারণত বছর বছর বাড়ে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। খাদ্যপণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানার জন্য সরকার বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়লে তা আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এর দাম বেড়েই চলেছে। আলুর কোনো ঘাটতি দেশে আছে বলে জানা যায় না। তারপরও এর দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আলু আমদানির পর এর দাম কমেছে। ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সামান্য। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাতে টেকসই সমাধান মেলেনি।
সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম কেন কমছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সরকার প্রধান বলেছেন, প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে ‘চক্রান্ত’ চলছে।
আমরা বলতে চাই, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ‘কারসাজির’ অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। কারা কারসাজি করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে স্বস্তি পাক, তাদের ব্যয়ের বোঝা কমুক।
যাদের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাদেরকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা আশা করব তার নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেবে।
মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩
বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। গত মাসেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের আয় বাড়েনি। বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি। মানুষ সঞ্চয় করতে পারছে না। বরং জমানো টাকা ভেঙে বা ধারদেনা করে জীবন অতিবাহিত করছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে অনেকে মনে করেন প্রকৃত অবস্থা বিবিএসের দেয়া তথ্যের চেয়ে খারাপ।
নানান কারণেই মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে। ধীরলয়ে মূল্যস্ফীতি ঘটলে মানুষ তার সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারে। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের রোজগার সাধারণত বছর বছর বাড়ে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। খাদ্যপণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।
নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানার জন্য সরকার বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়লে তা আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এর দাম বেড়েই চলেছে। আলুর কোনো ঘাটতি দেশে আছে বলে জানা যায় না। তারপরও এর দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আলু আমদানির পর এর দাম কমেছে। ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সামান্য। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাতে টেকসই সমাধান মেলেনি।
সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম কেন কমছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সরকার প্রধান বলেছেন, প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে ‘চক্রান্ত’ চলছে।
আমরা বলতে চাই, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ‘কারসাজির’ অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। কারা কারসাজি করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে স্বস্তি পাক, তাদের ব্যয়ের বোঝা কমুক।
যাদের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাদেরকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা আশা করব তার নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেবে।