alt

সম্পাদকীয়

বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, ‘কারসাজির’ বিরুদ্ধে আর কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে

: মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। গত মাসেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের আয় বাড়েনি। বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি। মানুষ সঞ্চয় করতে পারছে না। বরং জমানো টাকা ভেঙে বা ধারদেনা করে জীবন অতিবাহিত করছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে অনেকে মনে করেন প্রকৃত অবস্থা বিবিএসের দেয়া তথ্যের চেয়ে খারাপ।

নানান কারণেই মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে। ধীরলয়ে মূল্যস্ফীতি ঘটলে মানুষ তার সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারে। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের রোজগার সাধারণত বছর বছর বাড়ে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। খাদ্যপণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।

নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানার জন্য সরকার বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়লে তা আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এর দাম বেড়েই চলেছে। আলুর কোনো ঘাটতি দেশে আছে বলে জানা যায় না। তারপরও এর দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আলু আমদানির পর এর দাম কমেছে। ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সামান্য। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাতে টেকসই সমাধান মেলেনি।

সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম কেন কমছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সরকার প্রধান বলেছেন, প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে ‘চক্রান্ত’ চলছে।

আমরা বলতে চাই, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ‘কারসাজির’ অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। কারা কারসাজি করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে স্বস্তি পাক, তাদের ব্যয়ের বোঝা কমুক।

যাদের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাদেরকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা আশা করব তার নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, ‘কারসাজির’ বিরুদ্ধে আর কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে

মঙ্গলবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৩

বেড়েই চলেছে নিত্যপণ্যের দাম। গত মাসেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। সাধারণ মানুষকে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করতে আগের চেয়ে বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের আয় বাড়েনি। বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি। মানুষ সঞ্চয় করতে পারছে না। বরং জমানো টাকা ভেঙে বা ধারদেনা করে জীবন অতিবাহিত করছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল। সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। আর গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। তবে অনেকে মনে করেন প্রকৃত অবস্থা বিবিএসের দেয়া তথ্যের চেয়ে খারাপ।

নানান কারণেই মূল্যস্ফীতি ঘটতে পারে। ধীরলয়ে মূল্যস্ফীতি ঘটলে মানুষ তার সঙ্গে ধীরে ধীরে মানিয়ে নিতে পারে। নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের রোজগার সাধারণত বছর বছর বাড়ে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি গত প্রায় এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। খাদ্যপণ্যের দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই।

নিত্যপণ্যের দামে লাগাম টানার জন্য সরকার বিভিন্ন সময় কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়লে তা আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এর দাম বেড়েই চলেছে। আলুর কোনো ঘাটতি দেশে আছে বলে জানা যায় না। তারপরও এর দাম বেড়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। আলু আমদানির পর এর দাম কমেছে। ডিম আমদানি শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে সামান্য। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সময় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে তাতে টেকসই সমাধান মেলেনি।

সরকারের কিছু পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দাম কেন কমছে না সেটা একটা প্রশ্ন। সরকার প্রধান বলেছেন, প্রতিটি পণ্যের উৎপাদন বেড়েছে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিকতা নিয়ে তিনিও প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে ‘চক্রান্ত’ চলছে।

আমরা বলতে চাই, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে ‘কারসাজির’ অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছে। কারা কারসাজি করছে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা চাই, সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যের বাজারে গিয়ে স্বস্তি পাক, তাদের ব্যয়ের বোঝা কমুক।

যাদের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাদেরকে খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আমরা আশা করব তার নির্দেশনা মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত যথাযথভাবে ব্যবস্থা নেবে।

back to top