alt

সম্পাদকীয়

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

: বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বোর্ড ঘোষিত সর্বনিম্ন মজুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা নিম্নতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গাজীপুরে আন্দোলন করে। আন্দোলন-বিক্ষোভ এখনো চলছে। গত বুধবার আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতে একজন নারী পোশাককর্মী মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শ্রমিকদের আন্দোলন-বিক্ষোভ দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের কাছে সরকার নির্ধারিত এই মজুরি গ্রহণযোগ্য হয়নি। অনেক শ্রমিক বলেছেন, তারা এই মজুরি মানেন না। সরকার যে মজুরি ঠিক করে দিয়েছে সেটা তাদের চাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করা দুরূহ।

মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মজুরি নির্ধারণের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। তাদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা বলতে চাই, শ্রমিক বিক্ষোভে নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ কোনো সমাধান নয়। কোনো আন্দোলন-বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে ব্যবস্থা নেয়া বা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করারও আইনসিদ্ধ পদ্ধতি রয়েছে। গাজীপুরে সেটা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তা জানা দরকার।

শ্রমিকদের প্রতিবাদ করবার সুযোগও দিতে হয়। তাদের স্বাভাবিকভাবে প্রতিবাদ করতে দিতে হবে। মানুষ যখন স্বাভাবিকভাবে তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে না তখন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। গাজীপুরের ঘটনায় একজন নারী পোশাককর্মী মারা গেছেন। কারখানা বন্ধ থাকায় তিনি বাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি টিয়ারশেলের আঘাতে আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কারও কোনো বাড়াবাড়ি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

বলা হচ্ছে, পোশাক শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, মজুরি বোর্ডের একজন শ্রমিক প্রতিনিধি মেনে নিয়েছেন, কিন্তু শ্রমিকরা ঘোষিত মজুরি মানেননি। তাহলে যিনি ঘোষিত মজুরি মানলেন তিনি কার প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেটা একটা প্রশ্ন। মজুরি কত নির্ধারণ করা হলে তা মানা হবে সে বিষয়ে তিনি কি শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছিলেন? আলাপ করলে তো এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়।

আমরা আশা করব, পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি বিতর্কের অবসান হবে এবং এর মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ক্ষোভের নিরসন হবে। মজুরি নিয়ে আর কোনো দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে না সেটা আমাদের আশা। মজুরি নিয়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে দ্রুত তার সমাধান করা জরুরি। কারণ তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত। এই খাতে অসন্তোষ বাড়লে জাতীয় অর্থনীতির জন্য তা ভালো হবে না। তাই শ্রমিকদের অসন্তোষ দূর করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। কাজেই সমাধানের সুযোগ আছে। সুযোগটি সংশ্লিষ্টরা গ্রহণ করবে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান বের করা হবে সেটাই আমরা চাই।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

বৃহস্পতিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৩

তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা মজুরি বোর্ড ঘোষিত সর্বনিম্ন মজুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তারা নিম্নতম মজুরি ২৩ হাজার টাকা করার দাবিতে গাজীপুরে আন্দোলন করে। আন্দোলন-বিক্ষোভ এখনো চলছে। গত বুধবার আন্দোলন চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছোড়া টিয়ারশেলের আঘাতে একজন নারী পোশাককর্মী মারা গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

শ্রমিকদের আন্দোলন-বিক্ষোভ দেখে বোঝা যাচ্ছে তাদের কাছে সরকার নির্ধারিত এই মজুরি গ্রহণযোগ্য হয়নি। অনেক শ্রমিক বলেছেন, তারা এই মজুরি মানেন না। সরকার যে মজুরি ঠিক করে দিয়েছে সেটা তাদের চাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই টাকা দিয়ে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে জীবনযাপন করা দুরূহ।

মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মজুরি নির্ধারণের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। তাদের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলপ্রয়োগ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমরা বলতে চাই, শ্রমিক বিক্ষোভে নিয়ন্ত্রণে বলপ্রয়োগ কোনো সমাধান নয়। কোনো আন্দোলন-বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে পারে। তবে ব্যবস্থা নেয়া বা বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণ করারও আইনসিদ্ধ পদ্ধতি রয়েছে। গাজীপুরে সেটা অনুসরণ করা হয়েছে কিনা তা জানা দরকার।

শ্রমিকদের প্রতিবাদ করবার সুযোগও দিতে হয়। তাদের স্বাভাবিকভাবে প্রতিবাদ করতে দিতে হবে। মানুষ যখন স্বাভাবিকভাবে তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে পারে না তখন অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়। গাজীপুরের ঘটনায় একজন নারী পোশাককর্মী মারা গেছেন। কারখানা বন্ধ থাকায় তিনি বাসায় ফিরে যাচ্ছিলেন। সে সময় তিনি টিয়ারশেলের আঘাতে আহত হন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কারও কোনো বাড়াবাড়ি আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে।

বলা হচ্ছে, পোশাক শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন মজুরি ঘোষণা করা হয়েছে। আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে, মজুরি বোর্ডের একজন শ্রমিক প্রতিনিধি মেনে নিয়েছেন, কিন্তু শ্রমিকরা ঘোষিত মজুরি মানেননি। তাহলে যিনি ঘোষিত মজুরি মানলেন তিনি কার প্রতিনিধিত্ব করেছেন সেটা একটা প্রশ্ন। মজুরি কত নির্ধারণ করা হলে তা মানা হবে সে বিষয়ে তিনি কি শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছিলেন? আলাপ করলে তো এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার কথা নয়।

আমরা আশা করব, পোশাক খাতে ন্যূনতম মজুরি বিতর্কের অবসান হবে এবং এর মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ক্ষোভের নিরসন হবে। মজুরি নিয়ে আর কোনো দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে না সেটা আমাদের আশা। মজুরি নিয়ে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে দ্রুত তার সমাধান করা জরুরি। কারণ তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত। এই খাতে অসন্তোষ বাড়লে জাতীয় অর্থনীতির জন্য তা ভালো হবে না। তাই শ্রমিকদের অসন্তোষ দূর করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এখনো প্রজ্ঞাপন জারি হয়নি। কাজেই সমাধানের সুযোগ আছে। সুযোগটি সংশ্লিষ্টরা গ্রহণ করবে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান বের করা হবে সেটাই আমরা চাই।

back to top