ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানা সমস্যা-সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের সমস্যা-সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গ্রামগুলোতে তাদের পাওয়াই যাচ্ছে না।
ভেড়ামারা উপজেলার আমন ধানের খেতে বেড়েই চলেছে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণ। কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। আমন ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাদের এ সংকট দূর করার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে থাকার কথা থাকলেও তারা থাকেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা গ্রামে আসেন ঠিকই কিন্তু মাঠে না গিয়ে সার ও কীটনাশকের দোকানে আড্ডা দেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। কীটনাশক বিক্রেতারাই এখন ভেড়ামারার কৃষকদের পরামর্শদাতা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আমন ধানের আবাদ অত্যন্ত জরুরি। দেশে চালের চাহিদার উল্লেখযোগ্য একটি জোগান আসে আমন থেকে। আগে কার্তিক মাস এলেই অনেক স্থানে অভাব দেখা দিত। এখন আর সেই দিন নেই, বরং কার্তিক-অগ্রহায়ণে কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন দেখা যায় নবান্নের উৎসবের আমেজ। কৃষি খাতে প্রযুক্তির উন্নয়নে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। তবে কীটপতঙ্গের আক্রমণ এখনো একটি বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।
কৃষক লাভের আশায় ফসল চাষে পুঁজি বিনিয়োগ করেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা ফসল ফলান। মৌসুম শেষে যদি তারা কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তুলতে না পারেন, তাহলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। লাভ তো পরের কথা। অনেকে আবার পুঁজি হারিয়ে পথে বসবেন। পোকার আক্রমণে ভেড়ামারার কৃষকরা শঙ্কায় দিন পার করছেন। এ সময় কৃষি কর্মকর্তারা তাদের পাশে থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সেবা থেকে শুধু ভেড়ামারার কৃষকরাই যে বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। এটা দেশের অন্যান্য স্থানেও কমবেশি ঘটে। অভিযোগ আছে, একশ্রেণীর কৃষি কর্মকর্তা তাদের কর্তব্যকর্মে অবহেলা করেন। তবে ভালো কৃষি কর্মকর্তাও আছেন যারা বিপদে কৃষকের পাশে দাঁড়ান। সঠিক সময়ে কৃষককে সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা দেন এমন নজিরও অনেক রয়েছে।
আমরা আশা করব, সব কৃষি কর্মকর্তা তাদের কাজের প্রতি দায়িত্ববান হবেন। যে কাজের জন্য তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে, সে কাজ তারা যথাযথভাবে পালন করবেন। ভেড়ামারার আমন ধান খেতে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণে কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের এ সমস্যা-সংকট দূর করার জন্য যে পরামর্শ ও সহায়তার প্রয়োজন তা কৃষি কর্মকর্তারা দেবেন- এটা আমরা আশা করব।
শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানা সমস্যা-সংকটের মুখোমুখি হতে হয়। তাদের সমস্যা-সংকট দূর করার দায়িত্ব সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গ্রামগুলোতে তাদের পাওয়াই যাচ্ছে না।
ভেড়ামারা উপজেলার আমন ধানের খেতে বেড়েই চলেছে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণ। কৃষকরা কীটনাশক প্রয়োগ করেও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। আমন ধানের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। তাদের এ সংকট দূর করার জন্য কৃষি কর্মকর্তাদের পাশে থাকার কথা থাকলেও তারা থাকেননি বলে অভিযোগ উঠেছে। তারা গ্রামে আসেন ঠিকই কিন্তু মাঠে না গিয়ে সার ও কীটনাশকের দোকানে আড্ডা দেন বলে অভিযোগ করেছেন কৃষকরা। কীটনাশক বিক্রেতারাই এখন ভেড়ামারার কৃষকদের পরামর্শদাতা। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আমন ধানের আবাদ অত্যন্ত জরুরি। দেশে চালের চাহিদার উল্লেখযোগ্য একটি জোগান আসে আমন থেকে। আগে কার্তিক মাস এলেই অনেক স্থানে অভাব দেখা দিত। এখন আর সেই দিন নেই, বরং কার্তিক-অগ্রহায়ণে কৃষকদের ঘরে ঘরে এখন দেখা যায় নবান্নের উৎসবের আমেজ। কৃষি খাতে প্রযুক্তির উন্নয়নে ধানের উৎপাদন বেড়েছে। তবে কীটপতঙ্গের আক্রমণ এখনো একটি বড় দুশ্চিন্তার বিষয়।
কৃষক লাভের আশায় ফসল চাষে পুঁজি বিনিয়োগ করেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তারা ফসল ফলান। মৌসুম শেষে যদি তারা কাক্সিক্ষত ফসল ঘরে তুলতে না পারেন, তাহলে তাদের লোকসান গুনতে হবে। লাভ তো পরের কথা। অনেকে আবার পুঁজি হারিয়ে পথে বসবেন। পোকার আক্রমণে ভেড়ামারার কৃষকরা শঙ্কায় দিন পার করছেন। এ সময় কৃষি কর্মকর্তারা তাদের পাশে থাকবেন সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।
কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সেবা থেকে শুধু ভেড়ামারার কৃষকরাই যে বঞ্চিত হচ্ছেন তা নয়। এটা দেশের অন্যান্য স্থানেও কমবেশি ঘটে। অভিযোগ আছে, একশ্রেণীর কৃষি কর্মকর্তা তাদের কর্তব্যকর্মে অবহেলা করেন। তবে ভালো কৃষি কর্মকর্তাও আছেন যারা বিপদে কৃষকের পাশে দাঁড়ান। সঠিক সময়ে কৃষককে সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা দেন এমন নজিরও অনেক রয়েছে।
আমরা আশা করব, সব কৃষি কর্মকর্তা তাদের কাজের প্রতি দায়িত্ববান হবেন। যে কাজের জন্য তাদের নিয়োজিত করা হয়েছে, সে কাজ তারা যথাযথভাবে পালন করবেন। ভেড়ামারার আমন ধান খেতে মাজরা ও লিফ ফোল্ডার পোকার আক্রমণে কৃষকদের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের এ সমস্যা-সংকট দূর করার জন্য যে পরামর্শ ও সহায়তার প্রয়োজন তা কৃষি কর্মকর্তারা দেবেন- এটা আমরা আশা করব।