ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের পৃথক দুটি ঘটনায় ১০৪টি শিশুর মৃত্যুতে ওষুধ প্রশাসনের ‘কঠিন দায়’ রয়েছে। হাইকোর্টের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে এই কথা। শিশুমৃত্যুর উক্ত দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ২ জুন রিট পিটিশনের রায় ঘোষণা করে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে আদালত।
১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যায়। এর আট বছর পর ২০০৯ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে তখন অনেক সমালোচনা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে, যেই সিরাপ খেয়ে শিশুগুলো মারা গেছে সেসব সিরাপ রীড ফার্মা নামক কোম্পানির তৈরি। এই অভিযোগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। যে কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে গিয়েছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছিল যে, শিশুমৃত্যুর দায় তাহলে কার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারো না কারো গাফিলতির কারণে এতগুলো শিশু মারা গেছে। কোন স্তরে কাদের দায়ে ভেজাল সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সেটা প্রমাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। তদন্তে দুর্বলতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার কাজে ব্যবহারের জন্য আলামত হিসেবে যেসব সিরাপ উপস্থাপন করা হয়েছিল সেগুলো সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কারখানা থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। এজন্য ওষুধ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের দায় রয়েছে। আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণেও বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এজন্য ওষুধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা।
আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আট দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে সব প্রকার চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং এ অধিকার তার বেঁচে থাকার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। একটি স্বাধীন ‘জাতীয় ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করব আদালতের নির্দেশনা পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩
ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের পৃথক দুটি ঘটনায় ১০৪টি শিশুর মৃত্যুতে ওষুধ প্রশাসনের ‘কঠিন দায়’ রয়েছে। হাইকোর্টের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে এই কথা। শিশুমৃত্যুর উক্ত দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ২ জুন রিট পিটিশনের রায় ঘোষণা করে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে আদালত।
১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যায়। এর আট বছর পর ২০০৯ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে তখন অনেক সমালোচনা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে, যেই সিরাপ খেয়ে শিশুগুলো মারা গেছে সেসব সিরাপ রীড ফার্মা নামক কোম্পানির তৈরি। এই অভিযোগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। যে কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে গিয়েছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছিল যে, শিশুমৃত্যুর দায় তাহলে কার।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারো না কারো গাফিলতির কারণে এতগুলো শিশু মারা গেছে। কোন স্তরে কাদের দায়ে ভেজাল সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সেটা প্রমাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। তদন্তে দুর্বলতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার কাজে ব্যবহারের জন্য আলামত হিসেবে যেসব সিরাপ উপস্থাপন করা হয়েছিল সেগুলো সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কারখানা থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। এজন্য ওষুধ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের দায় রয়েছে। আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণেও বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এজন্য ওষুধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা।
আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আট দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে সব প্রকার চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং এ অধিকার তার বেঁচে থাকার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। একটি স্বাধীন ‘জাতীয় ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করব আদালতের নির্দেশনা পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।