alt

সম্পাদকীয়

ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যু ও আদালতের নির্দেশনা

: বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের পৃথক দুটি ঘটনায় ১০৪টি শিশুর মৃত্যুতে ওষুধ প্রশাসনের ‘কঠিন দায়’ রয়েছে। হাইকোর্টের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে এই কথা। শিশুমৃত্যুর উক্ত দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ২ জুন রিট পিটিশনের রায় ঘোষণা করে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে আদালত।

১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যায়। এর আট বছর পর ২০০৯ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে তখন অনেক সমালোচনা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে, যেই সিরাপ খেয়ে শিশুগুলো মারা গেছে সেসব সিরাপ রীড ফার্মা নামক কোম্পানির তৈরি। এই অভিযোগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। যে কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে গিয়েছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছিল যে, শিশুমৃত্যুর দায় তাহলে কার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারো না কারো গাফিলতির কারণে এতগুলো শিশু মারা গেছে। কোন স্তরে কাদের দায়ে ভেজাল সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সেটা প্রমাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। তদন্তে দুর্বলতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার কাজে ব্যবহারের জন্য আলামত হিসেবে যেসব সিরাপ উপস্থাপন করা হয়েছিল সেগুলো সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কারখানা থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। এজন্য ওষুধ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের দায় রয়েছে। আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণেও বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এজন্য ওষুধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা।

আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আট দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে সব প্রকার চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং এ অধিকার তার বেঁচে থাকার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। একটি স্বাধীন ‘জাতীয় ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করব আদালতের নির্দেশনা পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

কৃষিঋণ বিতরণে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নিন

গোয়ালন্দে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করার অভিযোগ আমলে নিন

বনভূমি দখল বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে

উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

ছবি

মার্কেজের নিঃসঙ্গতা ও সংহতি

ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ট্রমা সেন্টার দ্রুত চালু করুন

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

আর্সেনিক দূষণ মোকাবিলায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

তাজরীন ট্র্যাজেডি : বিচার পেতে আর কত অপেক্ষা

সওজের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ আমলে নিন

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

কুতুবপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করুন

পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

শিক্ষা আইন প্রণয়ন করা গেল না কেন

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবার রক্ত ঝরল

বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তা চাই

নারী ফায়ার ফাইটার : সমাজের সব স্তরে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করতে হবে

মদনে বর্ণি নদীর সেতুর কাজে বিলম্ব কেন

খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

কুমারখালীর বিল দখলমুক্ত করুন

বন্যপ্রাণীদের খাবারের সংকট

পৌর নাগরিকদের দুর্ভোগের অবসান ঘটাতে চাই আন্তরিকতা

ডেঙ্গুর প্রকোপ কেন কমছে না

এসএসসির ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিআরএম প্রকল্প : ক্ষতিপূরণের টাকা কবে মিলবে

সমস্যা-সংকটে কৃষকদের পাশে থাকতে হবে

খাল ব্যবস্থাপনায় আধুনিকায়ন ঘটাতে হবে

পোশাক শ্রমিকদের ক্ষোভ আমলে নিন, তাদের অসন্তোষ দূর করুন

রাজধানীতে সুষ্ঠু বর্জ্যব্যবস্থাপনা গড়ে তুলুন

ইভটিজিং বন্ধে ব্যবস্থা নিন

নদী থেকে অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, ‘কারসাজির’ বিরুদ্ধে আর কবে ব্যবস্থা নেয়া হবে

রাজনীতি : সংঘাত, সহিংসতা সমাধান নয়, বিপদ বাড়াবে

তারাকান্দায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওয়ার্ডসেবা চালু করুন

গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ও শক্তিমানের দ্বিচারিতা

tab

সম্পাদকীয়

ভেজাল প্যারাসিটামলে শিশুমৃত্যু ও আদালতের নির্দেশনা

বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৩

ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ সেবনের পৃথক দুটি ঘটনায় ১০৪টি শিশুর মৃত্যুতে ওষুধ প্রশাসনের ‘কঠিন দায়’ রয়েছে। হাইকোর্টের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে এই কথা। শিশুমৃত্যুর উক্ত দুই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছর ২ জুন রিট পিটিশনের রায় ঘোষণা করে। গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ রায়ে কিছু নির্দেশনাও দিয়েছে আদালত।

১৯৯১ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ৭৬ শিশু মারা যায়। এর আট বছর পর ২০০৯ সালে ভেজাল প্যারাসিটামল সেবন করে ২৮ শিশুর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দেশে তখন অনেক সমালোচনা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছিল যে, যেই সিরাপ খেয়ে শিশুগুলো মারা গেছে সেসব সিরাপ রীড ফার্মা নামক কোম্পানির তৈরি। এই অভিযোগে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছিল তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি। যে কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে গিয়েছিল। এতে প্রশ্ন উঠেছিল যে, শিশুমৃত্যুর দায় তাহলে কার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারো না কারো গাফিলতির কারণে এতগুলো শিশু মারা গেছে। কোন স্তরে কাদের দায়ে ভেজাল সিরাপ খেয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটল সেটা প্রমাণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যর্থ হয়েছে। তদন্তে দুর্বলতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। মামলার কাজে ব্যবহারের জন্য আলামত হিসেবে যেসব সিরাপ উপস্থাপন করা হয়েছিল সেগুলো সংশ্লিষ্ট কোম্পানির কারখানা থেকে সংগ্রহ করা হয়নি। এজন্য ওষুধ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের দায় রয়েছে। আদালতের রায়ের পর্যবেক্ষণেও বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এজন্য ওষুধ প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা।

আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায়ে আট দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিনামূল্যে সব প্রকার চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া প্রত্যেক ব্যক্তির সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকার এবং এ অধিকার তার বেঁচে থাকার অধিকারের অন্তর্ভুক্ত ঘোষণা করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। একটি স্বাধীন ‘জাতীয় ভেজাল ওষুধ প্রতিরোধ কমিটি’ গঠন করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করব আদালতের নির্দেশনা পালনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

back to top