alt

সম্পাদকীয়

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

: রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষ প্রয়োগের কারণে কেবল মাছই নয়, কচ্ছপসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী ও সরীসৃপও মারা পড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি শুষ্ক মৌসুমে নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের একটি অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে। নদী বা জলাশয়ে বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। অন্যান্য জলজপ্রাণীও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খাদ্যচক্রের ওপর। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।

প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ দিয়ে মাছ ধরছে কারা। অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্যই অনেকে এমনটা করছে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে নদী বা জলাশয়ের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে ব্যাহত হয়।

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তার করে। অনেক সময় মামলাও দেয়া হয়। তারপরও বিষ দিয়ে মাছ ধরা কেন বন্ধ হচ্ছে না- সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, কেবল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা বা মামলা দেয়াই যথেষ্ট নয়। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শক্ত চার্জশিট দিতে হবে। তাদের অপরাধ প্রমাণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে হয়তো বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অপসংস্কৃতির অবসান হবে।

নদী বা জলাশয় থেকে মাছ শিকারের জন্য দুস্কৃতকারীরা বিষ বা কীটনাশক পাচ্ছে কোথা থেকে সেটা একটা প্রশ্ন। বিষ বা কীটনাশক সহজলভ্য হলে বা যে কেউই যদি এসব বিক্রি করতে বা কিনতে পারে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। দেশে নিয়ম মেনে যেন কীটনাশক বিক্রি হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নেয়া হলে বিষ দিয়ে মাছ নিধন কার্যকরভাবে বন্ধ করা যেতে পারে বলে আমরা আশা করতে চাই।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

রোববার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

খাগড়াছড়ির রামগড়ে ফেনী নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষ প্রয়োগের কারণে কেবল মাছই নয়, কচ্ছপসহ নানা ধরনের জলজ প্রাণী ও সরীসৃপও মারা পড়ছে। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতি শুষ্ক মৌসুমে নদীতে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করা হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

দেশে বিষ দিয়ে মাছ শিকারের একটি অপসংস্কৃতি চালু হয়েছে। নদী বা জলাশয়ে বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে। অন্যান্য জলজপ্রাণীও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে খাদ্যচক্রের ওপর। বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।

প্রশ্ন হচ্ছে, বিষ দিয়ে মাছ ধরছে কারা। অল্প সময়ে বেশি মাছ ধরার জন্যই অনেকে এমনটা করছে। এতে করে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হলেও ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের। বিষ দিয়ে মাছ ধরার কারণে নদী বা জলাশয়ের বিভিন্ন প্রজাতির মাছের প্রজনন আশঙ্কাজনক হারে ব্যাহত হয়।

বিষ দিয়ে মাছ ধরা কঠোরভাবে বন্ধ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন সময় অনেককে গ্রেপ্তার করে। অনেক সময় মামলাও দেয়া হয়। তারপরও বিষ দিয়ে মাছ ধরা কেন বন্ধ হচ্ছে না- সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, কেবল অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা বা মামলা দেয়াই যথেষ্ট নয়। অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শক্ত চার্জশিট দিতে হবে। তাদের অপরাধ প্রমাণ করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলে হয়তো বিষ দিয়ে মাছ শিকারের অপসংস্কৃতির অবসান হবে।

নদী বা জলাশয় থেকে মাছ শিকারের জন্য দুস্কৃতকারীরা বিষ বা কীটনাশক পাচ্ছে কোথা থেকে সেটা একটা প্রশ্ন। বিষ বা কীটনাশক সহজলভ্য হলে বা যে কেউই যদি এসব বিক্রি করতে বা কিনতে পারে তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে। দেশে নিয়ম মেনে যেন কীটনাশক বিক্রি হয় সেটা নিশ্চিত করা দরকার। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নেয়া হলে বিষ দিয়ে মাছ নিধন কার্যকরভাবে বন্ধ করা যেতে পারে বলে আমরা আশা করতে চাই।

back to top