alt

সম্পাদকীয়

এইডস প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

: শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস-এসটিডির সমীক্ষা জানাচ্ছে দেশে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২ সালে দেশে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জনে। চলতি বছর মৃত্যু হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ জনের। আর ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছিল ২৩২ জনের।

‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে গত শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে- এ কথা বক্তারা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

২০০০ সালে এইচআইভি রোগী ছিল ৩২ জন। আর ২০০৯ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় বলা হয়েছে দেশে ৯১৯ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইডস রোগ একেবারে সেরে যাবে না। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন যে কোনো ইনফেকশনে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো তেমন কোনো প্রতিকার নেই। তবে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির কারণে রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

দেশের ২৩টি জেলা বেশি এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন রাখতে হবে। কোনো ব্যক্তি সন্দেহজনক হলে দ্রুত শনাক্তের আওতায় আনতে হবে। এইডস রোগ নিয়ে যে কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করা হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন। এ রোগ নির্মূলে সরকার পরিকল্পনাও নিয়েছে। প্রতি জেলায় সব হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু পরিকল্পনা নিলেই এইডস নির্মূল করা সম্ভব হবে না। এইডস প্রতিরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে একত্রে কাজ করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন তাদের ভেতর এইডস সংক্রমণ ঘটেছে কিনা সেটাও জানতে হবে।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

এইডস প্রতিরোধে সমন্বিত প্রয়াস চালাতে হবে

শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস-এসটিডির সমীক্ষা জানাচ্ছে দেশে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২ সালে দেশে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জনে। চলতি বছর মৃত্যু হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ জনের। আর ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছিল ২৩২ জনের।

‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে গত শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে- এ কথা বক্তারা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।

২০০০ সালে এইচআইভি রোগী ছিল ৩২ জন। আর ২০০৯ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় বলা হয়েছে দেশে ৯১৯ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইডস রোগ একেবারে সেরে যাবে না। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন যে কোনো ইনফেকশনে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো তেমন কোনো প্রতিকার নেই। তবে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির কারণে রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

দেশের ২৩টি জেলা বেশি এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন রাখতে হবে। কোনো ব্যক্তি সন্দেহজনক হলে দ্রুত শনাক্তের আওতায় আনতে হবে। এইডস রোগ নিয়ে যে কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করা হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন। এ রোগ নির্মূলে সরকার পরিকল্পনাও নিয়েছে। প্রতি জেলায় সব হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু পরিকল্পনা নিলেই এইডস নির্মূল করা সম্ভব হবে না। এইডস প্রতিরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে একত্রে কাজ করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন তাদের ভেতর এইডস সংক্রমণ ঘটেছে কিনা সেটাও জানতে হবে।

back to top