স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস-এসটিডির সমীক্ষা জানাচ্ছে দেশে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২ সালে দেশে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জনে। চলতি বছর মৃত্যু হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ জনের। আর ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছিল ২৩২ জনের।
‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে গত শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে- এ কথা বক্তারা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
২০০০ সালে এইচআইভি রোগী ছিল ৩২ জন। আর ২০০৯ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় বলা হয়েছে দেশে ৯১৯ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইডস রোগ একেবারে সেরে যাবে না। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন যে কোনো ইনফেকশনে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো তেমন কোনো প্রতিকার নেই। তবে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির কারণে রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
দেশের ২৩টি জেলা বেশি এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন রাখতে হবে। কোনো ব্যক্তি সন্দেহজনক হলে দ্রুত শনাক্তের আওতায় আনতে হবে। এইডস রোগ নিয়ে যে কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করা হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন। এ রোগ নির্মূলে সরকার পরিকল্পনাও নিয়েছে। প্রতি জেলায় সব হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু পরিকল্পনা নিলেই এইডস নির্মূল করা সম্ভব হবে না। এইডস প্রতিরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে একত্রে কাজ করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন তাদের ভেতর এইডস সংক্রমণ ঘটেছে কিনা সেটাও জানতে হবে।
শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় এইডস-এসটিডির সমীক্ষা জানাচ্ছে দেশে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ২০২২ সালে দেশে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫১৩ জনে। চলতি বছর মৃত্যু হয়েছে ১২০ থেকে ১৩০ জনের। আর ২০২২ সালে মৃত্যু হয়েছিল ২৩২ জনের।
‘সারা বিশ্বের ঐক্য, এইডস প্রতিরোধে সবাই নিব দায়িত্ব’-এই স্লোগানকে সামনে রেখে সারাদেশে গত শুক্রবার বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানীতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় দেশে এইচআইভি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে- এ কথা বক্তারা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
২০০০ সালে এইচআইভি রোগী ছিল ৩২ জন। আর ২০০৯ সালে এ সংখ্যা বেড়ে ২৫০ জনে দাঁড়ায়। ২০১৯ সালের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমীক্ষায় বলা হয়েছে দেশে ৯১৯ জন এইচআইভি রোগী শনাক্ত করা হয়েছিল।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইডস রোগ একেবারে সেরে যাবে না। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তখন যে কোনো ইনফেকশনে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানাচ্ছে, এইচআইভি সংক্রমণের এখনো তেমন কোনো প্রতিকার নেই। তবে কার্যকর এইচআইভি প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধির কারণে রোগীদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
দেশের ২৩টি জেলা বেশি এইডস ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে এইডস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সেখানে পর্যাপ্ত সংখ্যক এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন রাখতে হবে। কোনো ব্যক্তি সন্দেহজনক হলে দ্রুত শনাক্তের আওতায় আনতে হবে। এইডস রোগ নিয়ে যে কুসংস্কার, ভ্রান্তধারণা ও বৈষম্য রয়েছে তা দূর করতে ব্যবস্থা নিতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে এইডস নির্মূল করা হবে- স্বাস্থ্যমন্ত্রী এমন কথা বলেছেন। এ রোগ নির্মূলে সরকার পরিকল্পনাও নিয়েছে। প্রতি জেলায় সব হাসপাতালে এইচআইভি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন শুধু পরিকল্পনা নিলেই এইডস নির্মূল করা সম্ভব হবে না। এইডস প্রতিরোধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে একত্রে কাজ করতে হবে। যারা বিদেশ থেকে ফিরছেন তাদের ভেতর এইডস সংক্রমণ ঘটেছে কিনা সেটাও জানতে হবে।