নেত্রকোনার পূর্বধলায় স্টেশনবাজার থেকে পূর্বধলাবাজার পর্যন্ত ১২৮৫ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা; কিন্তু নির্মাণের পাঁচ মাসের মাথায় সড়কটি ধসে ও দেবে গেছে। সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ।
অভিযোগ উঠেছে, সড়ক নির্মাণে ঠিকমতো তদারকি করা হয়নি। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। তবে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে ও রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় সড়কের পিচ উঠে গেছে।
সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। দেশের কোথাও সড়ক নির্মাণের পর উদ্বোধন হতে না হতেই ভেঙে গেছে, না হয় ধসে গেছে। আবার কোথাও নির্মাণের অল্প কদিনেই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। মানুষ ও যানবাহন চলাচল করার মতো উপায় আর থাকে না।
প্রশ্ন হচ্ছে সড়ক কেন টেকসই হয় না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিটুমিন ব্যবহারের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয় না। ৮০ থেকে ১০০ গ্রেডের বিটুমিন পাতলা। এই বিটুমিন দিয়ে পিচঢালাইয়ের কাজ করা হলে গ্রীষ্মকালের তাপে রাস্তা গলে যাবে। আবার বর্ষাকালের ভারি বৃষ্টিতে পিচ ধুয়ে যাবে। তাই আমাদের দেশে আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সড়কে পিচঢালাইয়ের কাজ করা উচিত। টেকসই সড়ক নির্মাণে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের বিটুমিনই বেশি উপযোগী। এটি ব্যবহার করা হলে সড়ক টেকসই হবে- এমন মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সড়কের পিচঢালাইয়ের কাজে বেশি গাঢ় বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু সেটা অনেকেই অনুসরণ করে না। এজন্য টেকসই সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
পূর্বধলার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করে দেখতে হবে যে সেখানে আসলেও অনিয়ম হয়েছে কিনা এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে বিষয়টিও আমলে নিতে হবে। কোন সড়কে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে তার একটা নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, গ্রামীণ সড়কে ৮ দশমিক ২ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে; কিন্তু পণ্য বহনের ট্রাকগুলো ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ওভার লোড করা হয়। সীমাতিরিক্ত পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সড়ক। কিন্তু এসব নিয়ম কেউ মানে না। সড়কে যানবাহন চলাচলে যদি এসব নিয়ম মানা না হয় তাহলে সড়ক টেকসই হবে না।
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
নেত্রকোনার পূর্বধলায় স্টেশনবাজার থেকে পূর্বধলাবাজার পর্যন্ত ১২৮৫ মিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয় প্রায় ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা; কিন্তু নির্মাণের পাঁচ মাসের মাথায় সড়কটি ধসে ও দেবে গেছে। সড়কে তৈরি হয়েছে খানাখন্দ।
অভিযোগ উঠেছে, সড়ক নির্মাণে ঠিকমতো তদারকি করা হয়নি। সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। তবে সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচল করার কারণে ও রাস্তায় বৃষ্টির পানি জমে যাওয়ায় সড়কের পিচ উঠে গেছে।
সড়ক নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায় প্রায়ই। দেশের কোথাও সড়ক নির্মাণের পর উদ্বোধন হতে না হতেই ভেঙে গেছে, না হয় ধসে গেছে। আবার কোথাও নির্মাণের অল্প কদিনেই সড়কে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। মানুষ ও যানবাহন চলাচল করার মতো উপায় আর থাকে না।
প্রশ্ন হচ্ছে সড়ক কেন টেকসই হয় না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিটুমিন ব্যবহারের নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করা হয় না। ৮০ থেকে ১০০ গ্রেডের বিটুমিন পাতলা। এই বিটুমিন দিয়ে পিচঢালাইয়ের কাজ করা হলে গ্রীষ্মকালের তাপে রাস্তা গলে যাবে। আবার বর্ষাকালের ভারি বৃষ্টিতে পিচ ধুয়ে যাবে। তাই আমাদের দেশে আবহাওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে সড়কে পিচঢালাইয়ের কাজ করা উচিত। টেকসই সড়ক নির্মাণে ৬০ থেকে ৭০ গ্রেডের বিটুমিনই বেশি উপযোগী। এটি ব্যবহার করা হলে সড়ক টেকসই হবে- এমন মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সড়কের পিচঢালাইয়ের কাজে বেশি গাঢ় বিটুমিন ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। কিন্তু সেটা অনেকেই অনুসরণ করে না। এজন্য টেকসই সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে কঠোরভাবে তদারকি করা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
পূর্বধলার সড়ক নির্মাণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া দরকার। তদন্ত করে দেখতে হবে যে সেখানে আসলেও অনিয়ম হয়েছে কিনা এবং নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সে বিষয়টিও আমলে নিতে হবে। কোন সড়কে কোন যানবাহন চলাচল করতে পারবে তার একটা নিয়ম আছে। এক্ষেত্রে বলা হয়েছে, গ্রামীণ সড়কে ৮ দশমিক ২ টন ওজনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে; কিন্তু পণ্য বহনের ট্রাকগুলো ২৫ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত ওভার লোড করা হয়। সীমাতিরিক্ত পণ্য নিয়ে ট্রাক চলাচল করলে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হবে সড়ক। কিন্তু এসব নিয়ম কেউ মানে না। সড়কে যানবাহন চলাচলে যদি এসব নিয়ম মানা না হয় তাহলে সড়ক টেকসই হবে না।