alt

সম্পাদকীয়

বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করুন

: শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সরকারি নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তিতে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক; কিন্তু গত এক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। তারা সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করাতে পারছেন না। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্যই জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে নগরীর জনসাধারণ অভিযোগ করেছেন।

জন্ম সনদ হলো একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবেই। পাসপোর্ট ইস্যু, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, টিআইএন প্রাপ্তি, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির মতো জরুরি কাজগুলো করা যায় না জন্ম সনদ না থাকলে।

নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় তৃতীয় শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। শিশু শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধনের অভাবে ভর্তি হতে না পেরে বিরস মুখে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর অসংখ্য নাগরিক জন্ম নিবন্ধনের অভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ত্রুটি সংশোধনীসহ ভিসা আবেদনও করতে পারছেন না।

জন্ম নিবন্ধন করতে না পেরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম থমকে গেছে। নিবন্ধনের কাজ কবে নাগাদ চালু হবে তাও কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না। যদি আরও বিলম্ব হয়, তাহলে এ শিক্ষার্থীরা আসন্ন বছরে ভর্তি সমস্যায় পড়বে। তখন এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে।

নিয়ম হলো সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলদের দপ্তর সচিবরা স্থানীয় সরকার শাখা থেকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবেন; কিন্তু ১৫ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করেননি। এ ব্যাপারে নগর ভবনের প্রশাসনিক শাখা থেকে সচিবদের বেশ কয়েকবার তাগাদাও দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলাই করেছেন। যার জন্য নগরীর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

ওয়ার্ড সচিবরা যদি কাজের প্রতি দায়িত্ববান হয়ে সময়মতো পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতেন, তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সচল থাকত এবং নগরীর মানুষদের এমন ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হতো না। যতদূর জানা যাচ্ছে, শুধু পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করলেই কাজটা হয়ে যায়। তাহলে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে সচিবদের এত অনীহা কেন- এ প্রশ্ন এসে যায়।

দ্রুত পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হোক। সেখানকার নাগরিকদের ভোগান্তি দূর করতে হবে, এটা আমরা চাই। ইতোমধ্যে সেখানকার মানুষদের বহুরকমের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এটা যেন আরও দীর্ঘায়িত না হয়, সেদিকটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম চালু করুন

শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩

সরকারি নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তিতে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক; কিন্তু গত এক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। তারা সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করাতে পারছেন না। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্যই জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে নগরীর জনসাধারণ অভিযোগ করেছেন।

জন্ম সনদ হলো একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবেই। পাসপোর্ট ইস্যু, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, টিআইএন প্রাপ্তি, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির মতো জরুরি কাজগুলো করা যায় না জন্ম সনদ না থাকলে।

নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় তৃতীয় শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। শিশু শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধনের অভাবে ভর্তি হতে না পেরে বিরস মুখে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর অসংখ্য নাগরিক জন্ম নিবন্ধনের অভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ত্রুটি সংশোধনীসহ ভিসা আবেদনও করতে পারছেন না।

জন্ম নিবন্ধন করতে না পেরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম থমকে গেছে। নিবন্ধনের কাজ কবে নাগাদ চালু হবে তাও কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না। যদি আরও বিলম্ব হয়, তাহলে এ শিক্ষার্থীরা আসন্ন বছরে ভর্তি সমস্যায় পড়বে। তখন এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে।

নিয়ম হলো সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলদের দপ্তর সচিবরা স্থানীয় সরকার শাখা থেকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবেন; কিন্তু ১৫ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করেননি। এ ব্যাপারে নগর ভবনের প্রশাসনিক শাখা থেকে সচিবদের বেশ কয়েকবার তাগাদাও দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলাই করেছেন। যার জন্য নগরীর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

ওয়ার্ড সচিবরা যদি কাজের প্রতি দায়িত্ববান হয়ে সময়মতো পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতেন, তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সচল থাকত এবং নগরীর মানুষদের এমন ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হতো না। যতদূর জানা যাচ্ছে, শুধু পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করলেই কাজটা হয়ে যায়। তাহলে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে সচিবদের এত অনীহা কেন- এ প্রশ্ন এসে যায়।

দ্রুত পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হোক। সেখানকার নাগরিকদের ভোগান্তি দূর করতে হবে, এটা আমরা চাই। ইতোমধ্যে সেখানকার মানুষদের বহুরকমের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এটা যেন আরও দীর্ঘায়িত না হয়, সেদিকটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।

back to top