সরকারি নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তিতে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক; কিন্তু গত এক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। তারা সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করাতে পারছেন না। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্যই জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে নগরীর জনসাধারণ অভিযোগ করেছেন।
জন্ম সনদ হলো একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবেই। পাসপোর্ট ইস্যু, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, টিআইএন প্রাপ্তি, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির মতো জরুরি কাজগুলো করা যায় না জন্ম সনদ না থাকলে।
নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় তৃতীয় শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। শিশু শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধনের অভাবে ভর্তি হতে না পেরে বিরস মুখে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর অসংখ্য নাগরিক জন্ম নিবন্ধনের অভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ত্রুটি সংশোধনীসহ ভিসা আবেদনও করতে পারছেন না।
জন্ম নিবন্ধন করতে না পেরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম থমকে গেছে। নিবন্ধনের কাজ কবে নাগাদ চালু হবে তাও কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না। যদি আরও বিলম্ব হয়, তাহলে এ শিক্ষার্থীরা আসন্ন বছরে ভর্তি সমস্যায় পড়বে। তখন এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে।
নিয়ম হলো সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলদের দপ্তর সচিবরা স্থানীয় সরকার শাখা থেকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবেন; কিন্তু ১৫ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করেননি। এ ব্যাপারে নগর ভবনের প্রশাসনিক শাখা থেকে সচিবদের বেশ কয়েকবার তাগাদাও দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলাই করেছেন। যার জন্য নগরীর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ওয়ার্ড সচিবরা যদি কাজের প্রতি দায়িত্ববান হয়ে সময়মতো পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতেন, তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সচল থাকত এবং নগরীর মানুষদের এমন ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হতো না। যতদূর জানা যাচ্ছে, শুধু পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করলেই কাজটা হয়ে যায়। তাহলে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে সচিবদের এত অনীহা কেন- এ প্রশ্ন এসে যায়।
দ্রুত পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হোক। সেখানকার নাগরিকদের ভোগান্তি দূর করতে হবে, এটা আমরা চাই। ইতোমধ্যে সেখানকার মানুষদের বহুরকমের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এটা যেন আরও দীর্ঘায়িত না হয়, সেদিকটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
সরকারি নিয়মানুযায়ী শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তিতে জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক; কিন্তু গত এক মাস ধরে বরিশাল সিটি করপোরেশনে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরীর বাসিন্দারা। তারা সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন করাতে পারছেন না। সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের উদাসীনতার জন্যই জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে বলে নগরীর জনসাধারণ অভিযোগ করেছেন।
জন্ম সনদ হলো একজন মানুষের জন্ম, বয়স, পরিচয় ও নাগরিকত্বের প্রমাণ। রাষ্ট্রের স্বীকৃত নাগরিকের মর্যাদা ও সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে হলে জন্ম নিবন্ধন সনদ লাগবেই। পাসপোর্ট ইস্যু, বিয়ে নিবন্ধন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, সরকারি-বেসরকারি নিয়োগদান, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, ভোটার তালিকা প্রণয়ন, জমি রেজিস্ট্রেশন, ব্যাংক হিসাব খোলা, আমদানি ও রপ্তানি লাইসেন্স প্রাপ্তি, গ্যাস, পানি, টেলিফোন ও বিদ্যুৎ সংযোগ প্রাপ্তি, টিআইএন প্রাপ্তি, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, শিশুশ্রম প্রতিরোধ ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির মতো জরুরি কাজগুলো করা যায় না জন্ম সনদ না থাকলে।
নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় তৃতীয় শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। শিশু শিক্ষার্থীরা জন্ম নিবন্ধনের অভাবে ভর্তি হতে না পেরে বিরস মুখে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর অসংখ্য নাগরিক জন্ম নিবন্ধনের অভাবে জাতীয় পরিচয়পত্রের ত্রুটি সংশোধনীসহ ভিসা আবেদনও করতে পারছেন না।
জন্ম নিবন্ধন করতে না পেরে শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম থমকে গেছে। নিবন্ধনের কাজ কবে নাগাদ চালু হবে তাও কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছে না। যদি আরও বিলম্ব হয়, তাহলে এ শিক্ষার্থীরা আসন্ন বছরে ভর্তি সমস্যায় পড়বে। তখন এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে।
নিয়ম হলো সিটি করপোরেশনের ৩০ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ১০ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলদের দপ্তর সচিবরা স্থানীয় সরকার শাখা থেকে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করবেন; কিন্তু ১৫ দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করেননি। এ ব্যাপারে নগর ভবনের প্রশাসনিক শাখা থেকে সচিবদের বেশ কয়েকবার তাগাদাও দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা দায়িত্ব পালনে অবহেলাই করেছেন। যার জন্য নগরীর জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ওয়ার্ড সচিবরা যদি কাজের প্রতি দায়িত্ববান হয়ে সময়মতো পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতেন, তাহলে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সচল থাকত এবং নগরীর মানুষদের এমন ভোগান্তি ও দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হতো না। যতদূর জানা যাচ্ছে, শুধু পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করলেই কাজটা হয়ে যায়। তাহলে পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করতে সচিবদের এত অনীহা কেন- এ প্রশ্ন এসে যায়।
দ্রুত পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হোক। সেখানকার নাগরিকদের ভোগান্তি দূর করতে হবে, এটা আমরা চাই। ইতোমধ্যে সেখানকার মানুষদের বহুরকমের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এটা যেন আরও দীর্ঘায়িত না হয়, সেদিকটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে মাথায় রাখতে হবে।