alt

সম্পাদকীয়

নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপ নিন

: শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ‘আত্রাই নদী’র দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এ নদীতে। প্রতিনিয়ত বর্জ্য ফেলার কারণে নদীটি দূষিত হয়ে পড়েছে।

এছাড়া নদীর কোনো কোনো অংশ ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র সেসব জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। কিন্তু নদী দূষণ ও দখল রোধে স্থানীয় প্রশাসন নীরব। অভিযোগ উঠেছে, নদীটি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন বরাবরই নীরব থেকেছে। ফলে যে যার মতো করে নদীর দু’পাড় দখল করেছে। নদীটিকে দখল ও দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নদীর গুরুত্ব কম নয়। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যও নদী দূষণমুক্ত রাখা জরুরি। কিন্তু সেই নদী ব্যবসায়ীদের ফেলা বর্জ্যে দিনে দিনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমছে নদীর পাড়ে। সেসব ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে। এতে এলাকার জনসাধারণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।

শুধু যে আত্রাই নদী দখল ও দূষণের শিকার হচ্ছে তা নয়; সারাদেশেই নদ-নদী দখল হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলেছে দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি। ৬৪ জেলায় নদী দখলদারের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার ৩৯৬ জন। দেশে নদী দখল-দূষণের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই বেশি জড়িত থাকেন। তারা কখনও নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেন। আবার কখনও বালু উত্তোলন করেন। তবে গত দেড় দশক ধরে নদী দখল ও নদী দূষণ অনেক বেড়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের এসব দখলদাদের নদী দখলে সহায়তা করে একশ্রেণীর অসাধু সরকারি কর্মকর্তারা। এ কারণে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না প্রশাসন।

নদী দূষণ হলে মাছের প্রজনন বিঘ্নিত হয়। ময়লা-আবর্জনা নদীর পানিতে মিশে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়ায়। এতে মানুষ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়। পাশাপাশি পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন পড়ে। তাই নদীর বর্জ্য অপসারণ করা জরুরি। এজন্য জনসাধারণ ও প্রশাসনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

বাজারের বর্জ্য ফেলার জন্য আত্রাই নদী দূষণ হচ্ছে এবং নদী বেখল হচ্ছে এ কথা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা বলতে চাই, নদী দূষণ ও দখলের জন্য দায়ী বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব নদ-নদী দখল-দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে আইনানুগ উদ্যোগ নিতে হবে।

ডিএনডি এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই পদক্ষেপ নিন

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি : সমাধান কোন পথে

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

tab

সম্পাদকীয়

নদী দখল-দূষণমুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপ নিন

শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩

নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ‘আত্রাই নদী’র দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাট। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে এ নদীতে। প্রতিনিয়ত বর্জ্য ফেলার কারণে নদীটি দূষিত হয়ে পড়েছে।

এছাড়া নদীর কোনো কোনো অংশ ভরাট করে স্থানীয় প্রভাবশালী চক্র সেসব জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে। কিন্তু নদী দূষণ ও দখল রোধে স্থানীয় প্রশাসন নীরব। অভিযোগ উঠেছে, নদীটি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন বরাবরই নীরব থেকেছে। ফলে যে যার মতো করে নদীর দু’পাড় দখল করেছে। নদীটিকে দখল ও দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। এ নিয়ে গত শুক্রবার সংবাদ-এ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য নদীর গুরুত্ব কম নয়। পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্যও নদী দূষণমুক্ত রাখা জরুরি। কিন্তু সেই নদী ব্যবসায়ীদের ফেলা বর্জ্যে দিনে দিনে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ময়লা আবর্জনার স্তূপ জমছে নদীর পাড়ে। সেসব ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ বায়ুদূষণ বাড়াচ্ছে। এতে এলাকার জনসাধারণ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছে।

শুধু যে আত্রাই নদী দখল ও দূষণের শিকার হচ্ছে তা নয়; সারাদেশেই নদ-নদী দখল হচ্ছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বলেছে দেশে বর্তমানে নদ-নদীর সংখ্যা ১ হাজার ৮টি। ৬৪ জেলায় নদী দখলদারের সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার ৩৯৬ জন। দেশে নদী দখল-দূষণের সঙ্গে রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাই বেশি জড়িত থাকেন। তারা কখনও নদী ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেন। আবার কখনও বালু উত্তোলন করেন। তবে গত দেড় দশক ধরে নদী দখল ও নদী দূষণ অনেক বেড়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের এসব দখলদাদের নদী দখলে সহায়তা করে একশ্রেণীর অসাধু সরকারি কর্মকর্তারা। এ কারণে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে না প্রশাসন।

নদী দূষণ হলে মাছের প্রজনন বিঘ্নিত হয়। ময়লা-আবর্জনা নদীর পানিতে মিশে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়ায়। এতে মানুষ পানিবাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়। পাশাপাশি পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারণে জীববৈচিত্র্যের টিকে থাকা কঠিন পড়ে। তাই নদীর বর্জ্য অপসারণ করা জরুরি। এজন্য জনসাধারণ ও প্রশাসনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।

বাজারের বর্জ্য ফেলার জন্য আত্রাই নদী দূষণ হচ্ছে এবং নদী বেখল হচ্ছে এ কথা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। আমরা বলতে চাই, নদী দূষণ ও দখলের জন্য দায়ী বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। দেশের সব নদ-নদী দখল-দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে আইনানুগ উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top