জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্তের হিসাবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ‘এইচপিভি’ থেকে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী মারা যান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো অনেকে টিকার আওতায় আসেনি। বিশেষ করে কোনো বিদ্যালয়ে পড়ছে না এমন কিশোরীদের বড় একটি অংশ টিকার আওতায় আসেনি এখনো। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা শহরের ১৩৮টি স্কুলের ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৪১৮ কিশোরী টিকা পেয়েছে। তবে আরও ১০ লাখের বেশি কিশোরী টিকা নেয়নি। যদিও টিকা না নেওয়া এসব কিশোরী নিবন্ধন করেছিল। এসব কিশোরী কেন টিকা নিতে আসেনি সেটা জানা দরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে না বা ঝরেপড়া কিশোরীদেরও টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কিশোরীদের টিকা দেওয়া চ্যালেঞ্জিং। তাদের অভিভাবকদের অনেকেই টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে জানে না। আবার যারা জানেন তারা টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন নন। কাজেই এসব কিশোরীদের অনেকেই টিকা পায়নি বা নেয়নি।
জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় সরকার; কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা এবং প্রান্তিক কিশোরীদের এই কর্মসূচির আওতায় আনা না গেলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। কোনো কারণে এই বয়সের মধ্যে কেউ টিকা না পেলে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করা সম্ভব হবে না। যদিও পরিণত বয়সেও টিকা দেওয়া যায়।
আমরা বলতে চাই, এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে হলে সব কিশোরীকে টিকা দিতে হবে। টিকা নিলে কী উপকার হয় সেটা অভিভাবকদের বোঝাতে হবে। বিশেষকরে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। যথাযথ প্রচার চালালে তাদের মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্তের হিসাবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ‘এইচপিভি’ থেকে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী মারা যান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো অনেকে টিকার আওতায় আসেনি। বিশেষ করে কোনো বিদ্যালয়ে পড়ছে না এমন কিশোরীদের বড় একটি অংশ টিকার আওতায় আসেনি এখনো। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা শহরের ১৩৮টি স্কুলের ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৪১৮ কিশোরী টিকা পেয়েছে। তবে আরও ১০ লাখের বেশি কিশোরী টিকা নেয়নি। যদিও টিকা না নেওয়া এসব কিশোরী নিবন্ধন করেছিল। এসব কিশোরী কেন টিকা নিতে আসেনি সেটা জানা দরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে না বা ঝরেপড়া কিশোরীদেরও টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কিশোরীদের টিকা দেওয়া চ্যালেঞ্জিং। তাদের অভিভাবকদের অনেকেই টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে জানে না। আবার যারা জানেন তারা টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন নন। কাজেই এসব কিশোরীদের অনেকেই টিকা পায়নি বা নেয়নি।
জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় সরকার; কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা এবং প্রান্তিক কিশোরীদের এই কর্মসূচির আওতায় আনা না গেলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। কোনো কারণে এই বয়সের মধ্যে কেউ টিকা না পেলে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করা সম্ভব হবে না। যদিও পরিণত বয়সেও টিকা দেওয়া যায়।
আমরা বলতে চাই, এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে হলে সব কিশোরীকে টিকা দিতে হবে। টিকা নিলে কী উপকার হয় সেটা অভিভাবকদের বোঝাতে হবে। বিশেষকরে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। যথাযথ প্রচার চালালে তাদের মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।