alt

সম্পাদকীয়

এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে

: রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্তের হিসাবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ‘এইচপিভি’ থেকে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী মারা যান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো অনেকে টিকার আওতায় আসেনি। বিশেষ করে কোনো বিদ্যালয়ে পড়ছে না এমন কিশোরীদের বড় একটি অংশ টিকার আওতায় আসেনি এখনো। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা শহরের ১৩৮টি স্কুলের ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৪১৮ কিশোরী টিকা পেয়েছে। তবে আরও ১০ লাখের বেশি কিশোরী টিকা নেয়নি। যদিও টিকা না নেওয়া এসব কিশোরী নিবন্ধন করেছিল। এসব কিশোরী কেন টিকা নিতে আসেনি সেটা জানা দরকার।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে না বা ঝরেপড়া কিশোরীদেরও টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কিশোরীদের টিকা দেওয়া চ্যালেঞ্জিং। তাদের অভিভাবকদের অনেকেই টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে জানে না। আবার যারা জানেন তারা টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন নন। কাজেই এসব কিশোরীদের অনেকেই টিকা পায়নি বা নেয়নি।

জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় সরকার; কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা এবং প্রান্তিক কিশোরীদের এই কর্মসূচির আওতায় আনা না গেলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। কোনো কারণে এই বয়সের মধ্যে কেউ টিকা না পেলে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করা সম্ভব হবে না। যদিও পরিণত বয়সেও টিকা দেওয়া যায়।

আমরা বলতে চাই, এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে হলে সব কিশোরীকে টিকা দিতে হবে। টিকা নিলে কী উপকার হয় সেটা অভিভাবকদের বোঝাতে হবে। বিশেষকরে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। যথাযথ প্রচার চালালে তাদের মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

এইচপিভি টিকা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে হবে

রোববার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩

জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্তের হিসাবে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম। হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস ‘এইচপিভি’ থেকে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার হয়। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতি বছর গড়ে ৪ হাজার ৯৭১ জন নারী মারা যান। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গবেষণা থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি) টিকা নিলে জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেককে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো অনেকে টিকার আওতায় আসেনি। বিশেষ করে কোনো বিদ্যালয়ে পড়ছে না এমন কিশোরীদের বড় একটি অংশ টিকার আওতায় আসেনি এখনো। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা শহরের ১৩৮টি স্কুলের ১৪ লাখ ৪০ হাজার ৪১৮ কিশোরী টিকা পেয়েছে। তবে আরও ১০ লাখের বেশি কিশোরী টিকা নেয়নি। যদিও টিকা না নেওয়া এসব কিশোরী নিবন্ধন করেছিল। এসব কিশোরী কেন টিকা নিতে আসেনি সেটা জানা দরকার।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ছে না বা ঝরেপড়া কিশোরীদেরও টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব কিশোরীদের টিকা দেওয়া চ্যালেঞ্জিং। তাদের অভিভাবকদের অনেকেই টিকাদান কর্মসূচি সম্পর্কে জানে না। আবার যারা জানেন তারা টিকার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন নন। কাজেই এসব কিশোরীদের অনেকেই টিকা পায়নি বা নেয়নি।

জরায়ুমুখ ক্যান্সারে মৃত্যু শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চায় সরকার; কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরে থাকা এবং প্রান্তিক কিশোরীদের এই কর্মসূচির আওতায় আনা না গেলে লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন হবে। প্রাথমিকভাবে ১০ থেকে ১৫ বছরের কিশোরীদের টিকা দেওয়ার কথা রয়েছে। কোনো কারণে এই বয়সের মধ্যে কেউ টিকা না পেলে জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করা সম্ভব হবে না। যদিও পরিণত বয়সেও টিকা দেওয়া যায়।

আমরা বলতে চাই, এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচিকে সফল করতে হলে সব কিশোরীকে টিকা দিতে হবে। টিকা নিলে কী উপকার হয় সেটা অভিভাবকদের বোঝাতে হবে। বিশেষকরে প্রান্তিক মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা জরুরি। যথাযথ প্রচার চালালে তাদের মনোভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।

back to top