গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় তিনটি আশ্রয়শিবিরে সাত ঘণ্টার ব্যবধানে চারজন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় এসব রোহিঙ্গা মারা গেছেন। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন রোহিঙ্গা। গত দুই সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে তৈরি হয়েছে ৩৪টি আশ্রয় শিবির। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয় শিবির এটি। আশ্রয় শিবিরে হত্যা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ছয় বছরে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ১৭০ জনের মতো খুন হয়েছে। রাতের আঁধারে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের বিবাদে তটস্থ থাকে আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দারা। তাদের কথামতো না চললে ক্যাম্পে আশ্রিত মানুষদের বরণ করতে হয় করুণ পরিণতি। অভিযোগ রয়েছে, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর অনেকেই চায় না যে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক।
শুধু যে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই ক্যাম্পে রক্ত ঝরছে তা নয়। সেখানে বহুমাত্রিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। পারিবারিক বিরোধের কারণে যেমন হত্যাকান্ড ঘটছে, তেমনি ঘটছে রাজনৈতিক কারণেও। গুম, মাদক চোরাচালান ও অপহরণসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। তার বিপরীতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কম। যে হারে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে তাতে সীমিতসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য দিয়ে এতসংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। চালাতে হবে কঠোর নজরদারি। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো দুর্বলতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। ক্যাম্পগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা হলে রাতের বেলায় সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা দ্রুত করতে হবে। ক্যাম্পে চলাচলের রাস্তা সরু হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা যায় কিনা- সেটা ভেবে দেখতে হবে।
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
গত মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় তিনটি আশ্রয়শিবিরে সাত ঘণ্টার ব্যবধানে চারজন রোহিঙ্গা খুন হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) হামলায় এসব রোহিঙ্গা মারা গেছেন। হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন রোহিঙ্গা। গত দুই সপ্তাহে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৯ জন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে তৈরি হয়েছে ৩৪টি আশ্রয় শিবির। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয় শিবির এটি। আশ্রয় শিবিরে হত্যা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ছয় বছরে রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের জেরে ১৭০ জনের মতো খুন হয়েছে। রাতের আঁধারে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী। তাদের বিবাদে তটস্থ থাকে আশ্রয় শিবিরের বাসিন্দারা। তাদের কথামতো না চললে ক্যাম্পে আশ্রিত মানুষদের বরণ করতে হয় করুণ পরিণতি। অভিযোগ রয়েছে, এসব সশস্ত্র গোষ্ঠীর অনেকেই চায় না যে রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যাক।
শুধু যে আধিপত্য বিস্তারের জন্যই ক্যাম্পে রক্ত ঝরছে তা নয়। সেখানে বহুমাত্রিক অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। পারিবারিক বিরোধের কারণে যেমন হত্যাকান্ড ঘটছে, তেমনি ঘটছে রাজনৈতিক কারণেও। গুম, মাদক চোরাচালান ও অপহরণসহ নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এসব অপরাধমূলক কর্মকান্ড ক্যাম্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকছে না। এর প্রভাব পড়ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। শরণার্থী শিবিরে অবস্থানরত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখেরও বেশি। তার বিপরীতে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কম। যে হারে অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে তাতে সীমিতসংখ্যক নিরাপত্তা সদস্য দিয়ে এতসংখ্যক রোহিঙ্গাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
ক্যাম্পে নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। চালাতে হবে কঠোর নজরদারি। সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো দুর্বলতা আছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে হবে। ক্যাম্পগুলোতে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা জরুরি। সেটা হলে রাতের বেলায় সশস্ত্র বাহিনীগুলোর কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হতে পারে। ক্যাম্পের নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয় তা দ্রুত করতে হবে। ক্যাম্পে চলাচলের রাস্তা সরু হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ কঠিন হয়ে পড়েছে। রাস্তাগুলো প্রশস্ত করা যায় কিনা- সেটা ভেবে দেখতে হবে।