অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছেন ১ হাজার ২৪৯ জন শ্রমিক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ইউজিপি প্রকল্পের আওতায় কাজ করেছেন তারা। কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ২ মাস আগে। কিন্তু শ্রমিকরা আজও মজুরি পাননি। মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রমিকদের বিল দেয়ার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই বিল পেয়ে যাবেন।
শুধু ঘোড়াঘাটেই নয়, কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করেও যথাসময়ে মজুরি না পাওয়ার ঘটনা অন্যান্য স্থানেও অতীতে ঘটেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায়, শ্রমিকরা প্রকল্পের কাজ শেষ করেও মজুরি পান না। অতিদরিদ্র মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা যদি যথসময়ে মজুরি না পান তাহলে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। অনেকে শ্রমিককে ধার-কর্জ করে চলতে হয়। ঋণ নিয়ে সুদ পরিশোধ করতে হয়। যারা যথাসময়ে টাকা পান না তারা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন। ঘোড়াঘাটে এমন অনেক শ্রমিক সময়মতো মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে কর্মক্ষম প্রান্তিক দুস্থ পরিবারের মানুষের স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, রাস্তা, ড্রেন, বাজার পরিষ্কারের মতো কার্যক্রম চালানো হয়।
আমরা বলতে চাই, শ্রমিকের মজুরি নিয়ে কালবিলম্ব কাম্য নয়। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। দ্রুত বিল ছাড় করা হবে, শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি পাবেন এটাই আমরা চাই। ভবিষ্যতে কর্মসৃজন প্রকল্পে যেন আর কোনো শ্রমিককে মজুরি-বিড়ম্বনায় না পড়তে হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।
রোববার, ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
অতি দরিদ্রদের জন্য ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচি প্রকল্পের অধীনে কাজ করেছেন ১ হাজার ২৪৯ জন শ্রমিক। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ইউজিপি প্রকল্পের আওতায় কাজ করেছেন তারা। কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ২ মাস আগে। কিন্তু শ্রমিকরা আজও মজুরি পাননি। মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শ্রমিকরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায়। এ নিয়ে গত শনিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলেছেন, শ্রমিকদের বিল দেয়ার প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই বিল পেয়ে যাবেন।
শুধু ঘোড়াঘাটেই নয়, কর্মসৃজন প্রকল্পে কাজ করেও যথাসময়ে মজুরি না পাওয়ার ঘটনা অন্যান্য স্থানেও অতীতে ঘটেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন সময় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। দেখা যায়, শ্রমিকরা প্রকল্পের কাজ শেষ করেও মজুরি পান না। অতিদরিদ্র মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় তারা যদি যথসময়ে মজুরি না পান তাহলে তাদের কষ্টের শেষ থাকে না। অনেকে শ্রমিককে ধার-কর্জ করে চলতে হয়। ঋণ নিয়ে সুদ পরিশোধ করতে হয়। যারা যথাসময়ে টাকা পান না তারা ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বিপাকে পড়েন। ঘোড়াঘাটে এমন অনেক শ্রমিক সময়মতো মজুরি না পেয়ে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
হতদরিদ্র মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। প্রান্তিক মানুষ যেন একটি নির্দিষ্ট সময় কর্মহীন না থাকে সেটা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। কর্মসূচি বাস্তবায়ন হলে কর্মক্ষম প্রান্তিক দুস্থ পরিবারের মানুষের স্বল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়। কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার, রাস্তা, ড্রেন, বাজার পরিষ্কারের মতো কার্যক্রম চালানো হয়।
আমরা বলতে চাই, শ্রমিকের মজুরি নিয়ে কালবিলম্ব কাম্য নয়। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বিল ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সেটা আমাদের আশা। দ্রুত বিল ছাড় করা হবে, শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি পাবেন এটাই আমরা চাই। ভবিষ্যতে কর্মসৃজন প্রকল্পে যেন আর কোনো শ্রমিককে মজুরি-বিড়ম্বনায় না পড়তে হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে।