কৃষকরা যাতে অল্প খরচে ফসল আবাদ করতে পারেন তার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএ’ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একটি গভীর ও একটি এলএলপি নলকূপ স্থাপন করেছে।
বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে; কিন্তু নলকূপের সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কোনো ব্যবস্থা করছেন না গাইবান্ধায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএর’ এক নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে না বলে সেচ সংযোগ দিতে নানান টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার কৃষকরা।
ফলে সাঘাটা উপজেলার রামনগর এলাকার ২৫০ বিঘা জমির বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গত পাঁচ মাস ধরে বিএমডিএর দুটি নলকূপে সেচ সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে গত আমন মৌসুমে শত শত বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন; কিন্তু বোরো মৌসুমে এখনও তারা ধান লাগাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তোলার জন্য ‘বিএমডিএ’ দপ্তরে ঘুরছেন কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী ঘুষ ছাড়া পাত্তাই দিচ্ছেন না। ফলে বরেন্দ্র সেচ পাম্পটি বন্ধ রয়েছেÑ এমন অভিযোগ তুলেছেন বরেন্দ্র এলএলপি অপারেটর। কৃষকরা পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না, বিষয়টি স্বীকারও করেছেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ; কিন্তু বিএমডিএ কর্মকর্তা ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বিএমডিএর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। কার কারণে কৃষকের বোরো আবাদ বিঘিœত হচ্ছে, সেটা খুঁজে দেখতে হবে। এর পেছনে কারও দায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের কোনো সমস্যা হলে সেটা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশে এসে দাঁড়ানোর কথা; কিন্তু সাঘাটায় সমস্যা নিরসন তো দূরে থাক, উল্টো তাদের সমস্যাকে পুঁজি করে কেউ কেউ নিজেদের পকেট ভারি করার অভিযোগ উঠছে। এটা কাম্য নয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।
বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
কৃষকরা যাতে অল্প খরচে ফসল আবাদ করতে পারেন তার জন্য বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএ’ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় একটি গভীর ও একটি এলএলপি নলকূপ স্থাপন করেছে।
বোরো ধান লাগানোর মৌসুম চলছে; কিন্তু নলকূপের সেচপাম্পে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কোনো ব্যবস্থা করছেন না গাইবান্ধায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ‘বিএমডিএর’ এক নির্বাহী প্রকৌশলী। তাকে আর্থিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে না বলে সেচ সংযোগ দিতে নানান টালবাহানা করছেন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার কৃষকরা।
ফলে সাঘাটা উপজেলার রামনগর এলাকার ২৫০ বিঘা জমির বোরো আবাদে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন এলাকার কৃষকরা। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
গত পাঁচ মাস ধরে বিএমডিএর দুটি নলকূপে সেচ সংযোগ দেয়া হচ্ছে না। এ কারণে গত আমন মৌসুমে শত শত বিঘা জমির ধান ও অন্যান্য ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কৃষকরা আর্থিকভাবে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন; কিন্তু বোরো মৌসুমে এখনও তারা ধান লাগাতে না পেরে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ট্রান্সফরমার তোলার জন্য ‘বিএমডিএ’ দপ্তরে ঘুরছেন কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী ঘুষ ছাড়া পাত্তাই দিচ্ছেন না। ফলে বরেন্দ্র সেচ পাম্পটি বন্ধ রয়েছেÑ এমন অভিযোগ তুলেছেন বরেন্দ্র এলএলপি অপারেটর। কৃষকরা পানির অভাবে ধান রোপণ করতে পারছেন না, বিষয়টি স্বীকারও করেছেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ; কিন্তু বিএমডিএ কর্মকর্তা ঘুষ চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
বিএমডিএর প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে, সেটার সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। কার কারণে কৃষকের বোরো আবাদ বিঘিœত হচ্ছে, সেটা খুঁজে দেখতে হবে। এর পেছনে কারও দায় থাকলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কৃষকদের কোনো সমস্যা হলে সেটা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পাশে এসে দাঁড়ানোর কথা; কিন্তু সাঘাটায় সমস্যা নিরসন তো দূরে থাক, উল্টো তাদের সমস্যাকে পুঁজি করে কেউ কেউ নিজেদের পকেট ভারি করার অভিযোগ উঠছে। এটা কাম্য নয়। এর একটা বিহিত হওয়া দরকার বলে আমরা মনে করি।