alt

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ কেন মিলছে না

: শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র রোগীরা বহির্বিভাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ওষুধ পাচ্ছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে ওষুধ সংকট রয়েছে; কিন্তু হাসাপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাইরের প্রভাবশালীরা ঠিকই ওষুধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতালের বহির্বিভাগের ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রোগীদের ওষুধ দিতে পারছেন না। তারা বলছেন রোগীদের চাহিদামতো ওষুধ নেই। লোসারটিন, গ্লিকাজাইড, মেটফরমিন ও লোসারটিম ওষুধগুলো নেই। এসব ওষুধের চাহিদার রোগী বেশি থাকলেও তারা পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা কেন করেনি তা কেউ জানে না। ফলে রোগীরা হতাশ হয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন, চাহিদার তুলনায় রোগী বেশি। কিছু ওষুধ ফুরিয়ে গেছে। যারা প্রভাব খাটিয়ে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মচারী ও বাইরের কেউ প্রভাব বিস্তার করে যাতে ওষুধ নিতে না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করব আশ্বাস অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওষুধের ব্যবস্থা করবে।

শুধু যে কটিয়াদী সদর হাসপাতালে রোগীরা ওষুধ সংকটে ভুগছেন তা না। এরকম ঘটনা দেশের আরও অনেক হাসপাতালে ঘটে। যাদের ওষুধ দেয়ার কথা তারা পান না। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষকে শেষ পর্যন্ত ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। ফলে তাদের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এমনিতেই আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বেশি। ফলে স্বাস্থ্যসেবার পেছনে খরচ করতে গিয়ে দেশের বহু মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। যদি সরকারি ওষুধগুলো দরিদ্র রোগীরা পেতেন, তাহলে তাদের স্বাস্থসেবা ব্যয়ের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হতো। শুধু অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ না হওয়ার কারণে তাদের বোঝা আর লাঘব হচ্ছে না।

কটিয়াদী সদর হাসপাতালসহ দেশের আরও যেসব হাসাপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এসব অপকর্মের জন্য দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দরিদ্র রোগীদের কাছে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ ভবিষ্যতে যাতে নয়ছয় না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ কেন মিলছে না

শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র রোগীরা বহির্বিভাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ওষুধ পাচ্ছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে ওষুধ সংকট রয়েছে; কিন্তু হাসাপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাইরের প্রভাবশালীরা ঠিকই ওষুধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতালের বহির্বিভাগের ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রোগীদের ওষুধ দিতে পারছেন না। তারা বলছেন রোগীদের চাহিদামতো ওষুধ নেই। লোসারটিন, গ্লিকাজাইড, মেটফরমিন ও লোসারটিম ওষুধগুলো নেই। এসব ওষুধের চাহিদার রোগী বেশি থাকলেও তারা পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা কেন করেনি তা কেউ জানে না। ফলে রোগীরা হতাশ হয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন, চাহিদার তুলনায় রোগী বেশি। কিছু ওষুধ ফুরিয়ে গেছে। যারা প্রভাব খাটিয়ে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মচারী ও বাইরের কেউ প্রভাব বিস্তার করে যাতে ওষুধ নিতে না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করব আশ্বাস অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওষুধের ব্যবস্থা করবে।

শুধু যে কটিয়াদী সদর হাসপাতালে রোগীরা ওষুধ সংকটে ভুগছেন তা না। এরকম ঘটনা দেশের আরও অনেক হাসপাতালে ঘটে। যাদের ওষুধ দেয়ার কথা তারা পান না। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষকে শেষ পর্যন্ত ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। ফলে তাদের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এমনিতেই আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বেশি। ফলে স্বাস্থ্যসেবার পেছনে খরচ করতে গিয়ে দেশের বহু মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। যদি সরকারি ওষুধগুলো দরিদ্র রোগীরা পেতেন, তাহলে তাদের স্বাস্থসেবা ব্যয়ের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হতো। শুধু অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ না হওয়ার কারণে তাদের বোঝা আর লাঘব হচ্ছে না।

কটিয়াদী সদর হাসপাতালসহ দেশের আরও যেসব হাসাপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এসব অপকর্মের জন্য দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দরিদ্র রোগীদের কাছে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ ভবিষ্যতে যাতে নয়ছয় না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।

back to top