কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র রোগীরা বহির্বিভাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ওষুধ পাচ্ছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে ওষুধ সংকট রয়েছে; কিন্তু হাসাপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাইরের প্রভাবশালীরা ঠিকই ওষুধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রোগীদের ওষুধ দিতে পারছেন না। তারা বলছেন রোগীদের চাহিদামতো ওষুধ নেই। লোসারটিন, গ্লিকাজাইড, মেটফরমিন ও লোসারটিম ওষুধগুলো নেই। এসব ওষুধের চাহিদার রোগী বেশি থাকলেও তারা পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা কেন করেনি তা কেউ জানে না। ফলে রোগীরা হতাশ হয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন, চাহিদার তুলনায় রোগী বেশি। কিছু ওষুধ ফুরিয়ে গেছে। যারা প্রভাব খাটিয়ে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মচারী ও বাইরের কেউ প্রভাব বিস্তার করে যাতে ওষুধ নিতে না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করব আশ্বাস অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওষুধের ব্যবস্থা করবে।
শুধু যে কটিয়াদী সদর হাসপাতালে রোগীরা ওষুধ সংকটে ভুগছেন তা না। এরকম ঘটনা দেশের আরও অনেক হাসপাতালে ঘটে। যাদের ওষুধ দেয়ার কথা তারা পান না। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষকে শেষ পর্যন্ত ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। ফলে তাদের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এমনিতেই আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বেশি। ফলে স্বাস্থ্যসেবার পেছনে খরচ করতে গিয়ে দেশের বহু মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। যদি সরকারি ওষুধগুলো দরিদ্র রোগীরা পেতেন, তাহলে তাদের স্বাস্থসেবা ব্যয়ের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হতো। শুধু অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ না হওয়ার কারণে তাদের বোঝা আর লাঘব হচ্ছে না।
কটিয়াদী সদর হাসপাতালসহ দেশের আরও যেসব হাসাপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এসব অপকর্মের জন্য দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দরিদ্র রোগীদের কাছে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ ভবিষ্যতে যাতে নয়ছয় না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ নেই। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র রোগীরা বহির্বিভাগে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও ওষুধ পাচ্ছেন না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে ওষুধ সংকট রয়েছে; কিন্তু হাসাপাতালের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে বাইরের প্রভাবশালীরা ঠিকই ওষুধ পাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের ওষুধ বিতরণ কেন্দ্র সংশ্লিষ্টরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রোগীদের ওষুধ দিতে পারছেন না। তারা বলছেন রোগীদের চাহিদামতো ওষুধ নেই। লোসারটিন, গ্লিকাজাইড, মেটফরমিন ও লোসারটিম ওষুধগুলো নেই। এসব ওষুধের চাহিদার রোগী বেশি থাকলেও তারা পর্যাপ্ত ওষুধের ব্যবস্থা কেন করেনি তা কেউ জানে না। ফলে রোগীরা হতাশ হয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বলছেন, চাহিদার তুলনায় রোগী বেশি। কিছু ওষুধ ফুরিয়ে গেছে। যারা প্রভাব খাটিয়ে ওষুধ নিয়ে যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের কর্মচারী ও বাইরের কেউ প্রভাব বিস্তার করে যাতে ওষুধ নিতে না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করব আশ্বাস অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওষুধের ব্যবস্থা করবে।
শুধু যে কটিয়াদী সদর হাসপাতালে রোগীরা ওষুধ সংকটে ভুগছেন তা না। এরকম ঘটনা দেশের আরও অনেক হাসপাতালে ঘটে। যাদের ওষুধ দেয়ার কথা তারা পান না। প্রান্তিক দরিদ্র মানুষকে শেষ পর্যন্ত ওষুধ কিনে খেতে হচ্ছে। ফলে তাদের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। এমনিতেই আমাদের দেশে স্বাস্থ্যসেবার ব্যয় বেশি। ফলে স্বাস্থ্যসেবার পেছনে খরচ করতে গিয়ে দেশের বহু মানুষ নিঃস্ব হচ্ছে। যদি সরকারি ওষুধগুলো দরিদ্র রোগীরা পেতেন, তাহলে তাদের স্বাস্থসেবা ব্যয়ের বোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হতো। শুধু অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ না হওয়ার কারণে তাদের বোঝা আর লাঘব হচ্ছে না।
কটিয়াদী সদর হাসপাতালসহ দেশের আরও যেসব হাসাপাতালে বিনামূল্যের ওষুধ বিতরণে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তা কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখতে হবে। যারা এসব অপকর্মের জন্য দায়ী তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। দরিদ্র রোগীদের কাছে বিনামূল্যে বিতরণ করা ওষুধ ভবিষ্যতে যাতে নয়ছয় না হয়, তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে উদ্যোগ নিতে হবে।