প্রাথমিকে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার জন্য ‘আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন’ নামে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তাবায়নের সঙ্গে জড়িত আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। কোনো কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাগেরহাটে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য ‘সুখী মানুষ’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিড এনজিও হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা প্রকল্পের প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সহযোগী এনজিওদের পাওনা অর্থ বুঝিয়ে না দেয়া, স্কুল শিক্ষক, উপজেলা ম্যানেজার, সুপারভাইজার নিয়োগে নগদ অর্থ গ্রহণ, বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যাংক থেকে ক্যাশ টাকা তুলে আত্মসাৎ করা, শিক্ষকদের বেতন না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস, বই, খাতা, পেন্সিল ও শ্লেটসহ বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা উপকরণও যথাযথভাবে দেয়া হয়নি। শিখন কেন্দ্রের ভাড়া বকেয়া রেখে শিক্ষকদের হয়রানি করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও উঠেছে উক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কেবল বাগেরহাটেই নয়, এর আগে দেশের আরও অনেক স্থান থেকেই আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্পের টাকা নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
নানা কারণেই দেশে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। তার ওপর মহামারী করোনার কারণে দেশের শিক্ষা খাতে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। সেসময় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা ২০২১ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি (এপিএসসি) থেকে জানা গেছে, মহামারীকালে এক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিকে মোট সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে আট লাখের বেশি শিশু শিক্ষার্থী কমেছে। কমেছে সারাদেশে প্রাথমিক স্তরে বেসরকারি খাতের বিদ্যালয়ের সংখ্যাও।
ঝরে পড়া শিশুদের আবার শিক্ষামুখী করার জন্য ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রশংসার যোগ্য। এর জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু এতে যে হরিলুট চলতে দেখা গেছে তাতে আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। প্রাথমিকে ঝরে পড়া রোধের যে উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না, অথচ রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট হচ্ছে ঠিকই। আমরা বলতে চাই, বাগেরহাটে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রাথমিকে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমুখী করার জন্য ‘আউট অব চিলড্রেন এডুকেশন’ নামে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে সরকার। এ সংক্রান্ত প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো। মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি বাস্তাবায়নের সঙ্গে জড়িত আছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা। কোনো কোনো সংস্থার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাগেরহাটে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য ‘সুখী মানুষ’ নামক একটি বেসরকারি সংস্থাকে লিড এনজিও হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। সংস্থাটির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তারা প্রকল্পের প্রায় ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। সহযোগী এনজিওদের পাওনা অর্থ বুঝিয়ে না দেয়া, স্কুল শিক্ষক, উপজেলা ম্যানেজার, সুপারভাইজার নিয়োগে নগদ অর্থ গ্রহণ, বিধি বহির্ভূতভাবে ব্যাংক থেকে ক্যাশ টাকা তুলে আত্মসাৎ করা, শিক্ষকদের বেতন না দেয়ার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের স্কুল ড্রেস, বই, খাতা, পেন্সিল ও শ্লেটসহ বিভিন্ন প্রকার শিক্ষা উপকরণও যথাযথভাবে দেয়া হয়নি। শিখন কেন্দ্রের ভাড়া বকেয়া রেখে শিক্ষকদের হয়রানি করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগও উঠেছে উক্ত সংস্থার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত বুধবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
কেবল বাগেরহাটেই নয়, এর আগে দেশের আরও অনেক স্থান থেকেই আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্পের টাকা নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে।
নানা কারণেই দেশে অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ে। তার ওপর মহামারী করোনার কারণে দেশের শিক্ষা খাতে বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। সেসময় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের করা ২০২১ সালের বার্ষিক প্রাথমিক বিদ্যালয় শুমারি (এপিএসসি) থেকে জানা গেছে, মহামারীকালে এক বছরের ব্যবধানে প্রাথমিকে মোট সাড়ে ১৪ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। এর মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক স্তরে আট লাখের বেশি শিশু শিক্ষার্থী কমেছে। কমেছে সারাদেশে প্রাথমিক স্তরে বেসরকারি খাতের বিদ্যালয়ের সংখ্যাও।
ঝরে পড়া শিশুদের আবার শিক্ষামুখী করার জন্য ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রশংসার যোগ্য। এর জন্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। কিন্তু এতে যে হরিলুট চলতে দেখা গেছে তাতে আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাই বেশি। প্রাথমিকে ঝরে পড়া রোধের যে উদ্দেশ্য তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না, অথচ রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুটপাট হচ্ছে ঠিকই। আমরা বলতে চাই, বাগেরহাটে ‘আউট অব স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন প্রকল্প’ বাস্তবায়নে যে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তা আমলে নিতে হবে। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।