alt

সম্পাদকীয়

ফের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি

: রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে লড়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। অন্তহীন এই লড়াইয়ে অনেকের পকেট খালি হয়ে গেছে। কারও কারও মাথায় চেপেছে ঋণের বোঝা। গত বছরের শেষের দুই মাস মূল্যস্ফীতির গতি কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। আশা করা হচ্ছিল, জিনিসপত্রের দামের এই গতি নিম্নমুখীই হয়তো থাকবে। কারণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানাকে প্রধানতম কাজ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। অবশ্য খাদ্য মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে কিছুটা কমেছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে, আর ডিসেম্বরে সেটা ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ডিসেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।

চলতি মাসেও জিনিসপত্রের দাম নিয়ে হতাশার কথাই শোনা যাচ্ছে। গতকাল প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিত্যপণ্য চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। অবশ্য অনেক সবজির দাম এখন পড়তির মুখে। বাজারে একটি পণ্যের দাম কমে তো আরেকটির দাম বাড়ে। যে গতিতে দাম বাড়ে বা যত বাড়ে সেই গতিতে বা তত দাম কমে না।

দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতির ভার সওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি।

জিনিসপত্রের দামের লাগাম আর কবে টেনে ধরা হবে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নানা পরিকল্পনার কথা বলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছে। এর ফল দৃশ্যমান হতে হয়তো সময় লাগবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এতে আশাবাদী হতে পারছেন না। তারা মনে করছেন, ডলার সংকট, অর্থ পাচার, খেলাপি ঋণের মতো অর্থনীতির গভীর সংকট দূর করা না গেলে মূল্যস্ফীতির মুখে টেকসইভাবে লাগাম পরানো কঠিন হবে। বিষয়গুলো সরকারের অজানা নয়। অর্থনীতির বড় বড় সমস্যা নিয়েও নানা পরিকল্পনার কথা জানা যাচ্ছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পাবে, তার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি টেকসইভাবে কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে- এটাই আমাদের চাওয়া।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

ফের ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতি

রোববার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে লড়ে যাচ্ছে দেশের মানুষ। অন্তহীন এই লড়াইয়ে অনেকের পকেট খালি হয়ে গেছে। কারও কারও মাথায় চেপেছে ঋণের বোঝা। গত বছরের শেষের দুই মাস মূল্যস্ফীতির গতি কিছুটা নিম্নমুখী ছিল। আশা করা হচ্ছিল, জিনিসপত্রের দামের এই গতি নিম্নমুখীই হয়তো থাকবে। কারণ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন সরকার মূল্যস্ফীতির লাগাম টানাকে প্রধানতম কাজ হিসেবে ঘোষণা করেছে। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। অবশ্য খাদ্য মূল্যস্ফীতি জানুয়ারিতে কিছুটা কমেছে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে, আর ডিসেম্বরে সেটা ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। গত মাসে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। ডিসেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ।

চলতি মাসেও জিনিসপত্রের দাম নিয়ে হতাশার কথাই শোনা যাচ্ছে। গতকাল প্রকাশিত সংবাদ-এর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নিত্যপণ্য চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে। পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। অবশ্য অনেক সবজির দাম এখন পড়তির মুখে। বাজারে একটি পণ্যের দাম কমে তো আরেকটির দাম বাড়ে। যে গতিতে দাম বাড়ে বা যত বাড়ে সেই গতিতে বা তত দাম কমে না।

দীর্ঘ সময় ধরে মূল্যস্ফীতির ভার সওয়া সাধারণ মানুষের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের বাধ্য হয়ে কেনাকাটায় করতে হচ্ছে কাটছাঁট। এতে দেখা দিয়েছে পুষ্টির ঘাটতি।

জিনিসপত্রের দামের লাগাম আর কবে টেনে ধরা হবে সেটা একটা প্রশ্ন। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো নানা পরিকল্পনার কথা বলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করছে। এর ফল দৃশ্যমান হতে হয়তো সময় লাগবে। তবে অনেক বিশেষজ্ঞই এতে আশাবাদী হতে পারছেন না। তারা মনে করছেন, ডলার সংকট, অর্থ পাচার, খেলাপি ঋণের মতো অর্থনীতির গভীর সংকট দূর করা না গেলে মূল্যস্ফীতির মুখে টেকসইভাবে লাগাম পরানো কঠিন হবে। বিষয়গুলো সরকারের অজানা নয়। অর্থনীতির বড় বড় সমস্যা নিয়েও নানা পরিকল্পনার কথা জানা যাচ্ছে। এসব পরিকল্পনা বাস্তব রূপ পাবে, তার প্রভাবে মূল্যস্ফীতি টেকসইভাবে কমবে, মানুষ স্বস্তি পাবে- এটাই আমাদের চাওয়া।

back to top