alt

সম্পাদকীয়

অমর একুশে

: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একুশ মানে মাথা নত না করা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর ‘মাথা নত না করার’ আদর্শ অনুসরণ করেই এ অঞ্চলে বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মবিকাশের আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জন করেছি স্বাধীনতা, প্রতিষ্ঠা পেয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ।

আজ অমর একুশে পালিত হচ্ছে সারা দেশে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও বাংলাদেশেসহ জাতিসংঘভুক্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশও দিনটি পালন করছে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। নির্বাচন শেষ হয়েছে। গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। তবে অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নই রয়ে গেছে অমীমাংসিত। মূল্যস্ফীতির চাপ এখনো সইতে হচ্ছে মানুষকে। গত বছরের শেষের দুই মাস মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী ছিল। তবে নতুন বছরের শুরুতেই মূল্যস্ফীতি আবার উর্ধ্বমুখী হয়েছে। মানুষ এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অধীর হয়ে আছে। নতুন সরকার নানা পরিকল্পনার কথা বলছে। আমরা আশা করব, মানুষ মূল্যস্ফীতির খাঁড়া থেকে দ্রুতই মুক্তি পাবে।

বহু ত্যাগ ও অশ্রুর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে বাংলা ভাষা কাক্সিক্ষত স্থানে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। কথা ছিল সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হবেÑকিন্তু ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরও সর্বস্তরে বাংলা চালু হয়নি। ১৯৮৭ সালে দেশে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন হয়েছে; কিন্তু সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন হয়নি।

উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডে বাংলা লেখা নিশ্চিত করা যায়নি। বাংলা চালু হয়নি উচ্চ আদালতে। এটি ভাষা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বলা হয়, আইনি পরিভাষার কারণে বাংলায় রায় লেখা কঠিন। তবে একাধিক বিচারপতি বাংলা ভাষায় রায় দিয়ে এই ভ্রান্তির অবসান ঘটিয়েছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও বাংলা অবহেলিত হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।

একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমরা সভা-সমাবেশে যতটা সোচ্চার, ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে এর চেতনা ধারণ করতে ততটাই সক্রিয় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে একুশের চেতনা সমুন্নত রাখা সম্ভব হবে না। বাংলাভাষাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে, সর্বস্তরে অবশ্যই বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

অমর একুশে

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

একুশ মানে মাথা নত না করা। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের পর ‘মাথা নত না করার’ আদর্শ অনুসরণ করেই এ অঞ্চলে বাঙালির আত্মপরিচয় ও আত্মবিকাশের আন্দোলন-সংগ্রাম সংঘটিত হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে লাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জন করেছি স্বাধীনতা, প্রতিষ্ঠা পেয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ।

আজ অমর একুশে পালিত হচ্ছে সারা দেশে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও বাংলাদেশেসহ জাতিসংঘভুক্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশও দিনটি পালন করছে। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছিল। নির্বাচন শেষ হয়েছে। গঠিত হয়েছে নতুন সরকার। তবে অনেক রাজনৈতিক প্রশ্নই রয়ে গেছে অমীমাংসিত। মূল্যস্ফীতির চাপ এখনো সইতে হচ্ছে মানুষকে। গত বছরের শেষের দুই মাস মূল্যস্ফীতি নিম্নমুখী ছিল। তবে নতুন বছরের শুরুতেই মূল্যস্ফীতি আবার উর্ধ্বমুখী হয়েছে। মানুষ এ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অধীর হয়ে আছে। নতুন সরকার নানা পরিকল্পনার কথা বলছে। আমরা আশা করব, মানুষ মূল্যস্ফীতির খাঁড়া থেকে দ্রুতই মুক্তি পাবে।

বহু ত্যাগ ও অশ্রুর বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশে বাংলা ভাষা কাক্সিক্ষত স্থানে অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে কিনা সেই প্রশ্ন রয়েছে। কথা ছিল সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন হবেÑকিন্তু ভাষা আন্দোলনের এত বছর পরও সর্বস্তরে বাংলা চালু হয়নি। ১৯৮৭ সালে দেশে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন হয়েছে; কিন্তু সর্বস্তরে বাংলার প্রচলন হয়নি।

উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও সাইনবোর্ড ও বিলবোর্ডে বাংলা লেখা নিশ্চিত করা যায়নি। বাংলা চালু হয়নি উচ্চ আদালতে। এটি ভাষা আন্দোলনের চেতনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বলা হয়, আইনি পরিভাষার কারণে বাংলায় রায় লেখা কঠিন। তবে একাধিক বিচারপতি বাংলা ভাষায় রায় দিয়ে এই ভ্রান্তির অবসান ঘটিয়েছেন। জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা ও উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রেও বাংলা অবহেলিত হচ্ছে। এটা কাম্য নয়।

একুশে ফেব্রুয়ারি নিয়ে আমরা সভা-সমাবেশে যতটা সোচ্চার, ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে এর চেতনা ধারণ করতে ততটাই সক্রিয় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে। শুধু আনুষ্ঠানিকতা দিয়ে একুশের চেতনা সমুন্নত রাখা সম্ভব হবে না। বাংলাভাষাকে তার প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে, সর্বস্তরে অবশ্যই বাংলা ভাষার প্রচলন করতে হবে।

back to top