alt

সম্পাদকীয়

এত উদ্যোগের পরও অর্থপাচার বাড়ল কীভাবে

: বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন ও সন্দেহজনক কার্যক্রম গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচারের পরিমাণও বাড়ছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্য। দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ বলছে, অর্থপাচারের ৮০ শতাংশই আমদানি-রপ্তানিকেন্দ্রিক।

অর্থপাচার রোধে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে শোনা যায়। তারপরও বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে এবং তা দিন দিন বাড়ছে কীভাবে সেটা আমরা জানতে চাইব। অর্থপাচার রোধ করা যাচ্ছে না, পাচার হওয়া অর্থ ফেরতও আনা যাচ্ছে না। অর্থপাচারের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। বিএফআইইউ জানাচ্ছে, কেবল একটি মাত্র ঘটনায় পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনা গেছে। সিঙ্গাপুরে পাচার হওয়া ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনার কথা বলেছেন বিএফআইইউ প্রদান। সেটা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরফাত রহমান কোকোর টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার পাচার হওয়ার পর টাকা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন। কাজেই টাকা যেন পাচার না হয় সেদিকে জোর দিতে হবে। টাকা পাচার রোধে সাফল্য মিলছে না কেন সেটা এক রহস্য। অর্থপাচারের জন্য ব্যাংকগুলোকেই মোটা দাগে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। এলসি খোলার সময়ে পণ্যর দাম যথাযথভাবে দেখানো হচ্ছে না। আন্ডার-ওভার ইনভয়েসিং করা হচ্ছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের অপব্যবহার হচ্ছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা করেছে এসব অভিযোগ।

প্রশ্ন হচ্ছে এই অনৈতিক চর্চা থেকে ব্যাংকগুলোকে বিরত রাখতে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর ব্যাংকগুলো চালান কারা। অনেকে মনে করেন, রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া অর্থপাচার সম্ভব নয়। অর্থপাচারের ঘটনা সব দেশেই কমবেশি ঘটে। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অর্থপাচারের লাগাম টানা যায়।

অর্থপাচার রোধে ব্যাংকারদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমন ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করেন তাদের নীতি-নৈতিকার প্রশ্নও রয়েছে। তারা যদি দেশের অর্থ বিদেশে নিয়ে যেতে আগ্রহী না হন তাহলে ওভার ইনভেয়েসিং-আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কোনো সুযোগই তৈরি হবে না।

অর্থপাচার রোধে অনেক নিয়ম-নীতিই রয়েছে। এর বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটা দেখা জরুরি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে তার ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

এত উদ্যোগের পরও অর্থপাচার বাড়ল কীভাবে

বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

দেশের আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন ও সন্দেহজনক কার্যক্রম গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। দেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচারের পরিমাণও বাড়ছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এই তথ্য। দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বিএফআইইউ বলছে, অর্থপাচারের ৮০ শতাংশই আমদানি-রপ্তানিকেন্দ্রিক।

অর্থপাচার রোধে নানামুখী উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে শোনা যায়। তারপরও বাংলাদেশ থেকে বিদেশে অর্থপাচার হচ্ছে এবং তা দিন দিন বাড়ছে কীভাবে সেটা আমরা জানতে চাইব। অর্থপাচার রোধ করা যাচ্ছে না, পাচার হওয়া অর্থ ফেরতও আনা যাচ্ছে না। অর্থপাচারের অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। বিএফআইইউ জানাচ্ছে, কেবল একটি মাত্র ঘটনায় পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরত আনা গেছে। সিঙ্গাপুরে পাচার হওয়া ২০ লাখ ৪১ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার ফেরত আনার কথা বলেছেন বিএফআইইউ প্রদান। সেটা ছিল সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরফাত রহমান কোকোর টাকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একবার পাচার হওয়ার পর টাকা ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত কঠিন। কাজেই টাকা যেন পাচার না হয় সেদিকে জোর দিতে হবে। টাকা পাচার রোধে সাফল্য মিলছে না কেন সেটা এক রহস্য। অর্থপাচারের জন্য ব্যাংকগুলোকেই মোটা দাগে দায়ী করা হচ্ছে। কারণ ব্যাংকের মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য সম্পন্ন হয়। এলসি খোলার সময়ে পণ্যর দাম যথাযথভাবে দেখানো হচ্ছে না। আন্ডার-ওভার ইনভয়েসিং করা হচ্ছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের অপব্যবহার হচ্ছে। আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা করেছে এসব অভিযোগ।

প্রশ্ন হচ্ছে এই অনৈতিক চর্চা থেকে ব্যাংকগুলোকে বিরত রাখতে কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর ব্যাংকগুলো চালান কারা। অনেকে মনে করেন, রাজনৈতিক প্রভাব ছাড়া অর্থপাচার সম্ভব নয়। অর্থপাচারের ঘটনা সব দেশেই কমবেশি ঘটে। তবে রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে অর্থপাচারের লাগাম টানা যায়।

অর্থপাচার রোধে ব্যাংকারদের যেমন দায়িত্ব রয়েছে, তেমন ব্যবসা-বাণিজ্য যারা করেন তাদের নীতি-নৈতিকার প্রশ্নও রয়েছে। তারা যদি দেশের অর্থ বিদেশে নিয়ে যেতে আগ্রহী না হন তাহলে ওভার ইনভেয়েসিং-আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের কোনো সুযোগই তৈরি হবে না।

অর্থপাচার রোধে অনেক নিয়ম-নীতিই রয়েছে। এর বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা সেটা দেখা জরুরি। নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে তার ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।

back to top