alt

সম্পাদকীয়

নদ-নদীর নাব্য সংকট দূর করতে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

: শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

পাবনায় নৌপথ ছিল ৬২৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে কোনোরকমে টিকে আছে মাত্র ১০৮ কিলোমিটার নৌপথ। জেলার ১৬টি নদীর মধ্যে ১২টি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এসব নদী মৎস্য খামার ও ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। বাকি চার নদী ভুগছে নাব্য সংকটে। নৌপথে পণ্যসামগ্রী আমদানি-রপ্তানি দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্ষাকাল ছাড়া নদীপথ সারা বছর সচল রাখাই চ্যালেঞ্জ। অভ্যন্তরীণ নদীপথের নাব্য রক্ষা ও উন্নয়নে কাজীরহাট ঘাট, বাঘাবাড়ীর ভাটিতে হুড়াসাগর ও যমুনা নদী ভিন্ন আর কোথাও ড্রেজিং করা হয় না। এ অঞ্চলের সিংহভাগ মানুষ নদীর ওপর নির্ভরশীল ছিল একসময়। নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমার কারণে কৃষি, মৎস্য ও গবাদিপশুনির্ভর মানুষের জীবন-জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবেশ-প্রতিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পরিবহন ও যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম নদী। দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় প্রাচীনকাল থেকে নদ-নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কেবল পাবনা নয়, দেশের অনেক এলাকার নৌপথ নাব্য সংকটে ভুগছে। প্রাকৃতিক নিয়মে পলি পড়ে যেমন, তেমনই দখল-দূষণেও নদ-নদীর গভীরতা কমছে।

সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্য রক্ষায় ড্রেজিং মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাধ্যমে ১৭৮টি নদী পুনর্খনন করা হবে। এতে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্য ফিরে আসবে; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে প্রায়ই যথাযথভাবে ড্রেজিং করা হয় না। ড্রেজিংয়ে খামখেয়ালির কারণে নদীর জমা পলি নদীতেই রয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

নদ-নদী আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। এই সম্পদ বাঁচাতে হলে খনন করতে হবে। পাবনার নদ-নদীর পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। শুধু খনন করলেই হবে না। এটা যেন পরিকল্পনামাফিক চলে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য নজরদারি করতে হবে। তা না হলে নদীর পলি অপসারণের নামে শুধু অর্থ গচ্চা যাবে রাষ্ট্রের। নদী প্রাণ ফিরে পাবে না। ড্রেজিং করা হয় নদীতে জমে থাকা পলি অপসারণ করার জন্য। নদী খননে অবস্থাপনা দূর করা জরুরি। ড্রেজিং করা মাটি যেন আবার নদীতেই না পড়ে সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

নদ-নদীর নাব্য সংকট দূর করতে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪

পাবনায় নৌপথ ছিল ৬২৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে কোনোরকমে টিকে আছে মাত্র ১০৮ কিলোমিটার নৌপথ। জেলার ১৬টি নদীর মধ্যে ১২টি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। এসব নদী মৎস্য খামার ও ফসলি জমিতে পরিণত হয়েছে। বাকি চার নদী ভুগছে নাব্য সংকটে। নৌপথে পণ্যসামগ্রী আমদানি-রপ্তানি দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বর্ষাকাল ছাড়া নদীপথ সারা বছর সচল রাখাই চ্যালেঞ্জ। অভ্যন্তরীণ নদীপথের নাব্য রক্ষা ও উন্নয়নে কাজীরহাট ঘাট, বাঘাবাড়ীর ভাটিতে হুড়াসাগর ও যমুনা নদী ভিন্ন আর কোথাও ড্রেজিং করা হয় না। এ অঞ্চলের সিংহভাগ মানুষ নদীর ওপর নির্ভরশীল ছিল একসময়। নদ-নদীতে পানিপ্রবাহ কমার কারণে কৃষি, মৎস্য ও গবাদিপশুনির্ভর মানুষের জীবন-জীবিকা ব্যাহত হচ্ছে। অনেকেই পেশা বদলাতে বাধ্য হচ্ছেন। পরিবেশ-প্রতিবেশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

পরিবহন ও যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম নদী। দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় প্রাচীনকাল থেকে নদ-নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কেবল পাবনা নয়, দেশের অনেক এলাকার নৌপথ নাব্য সংকটে ভুগছে। প্রাকৃতিক নিয়মে পলি পড়ে যেমন, তেমনই দখল-দূষণেও নদ-নদীর গভীরতা কমছে।

সরকার দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথের নাব্য রক্ষায় ড্রেজিং মাস্টারপ্ল্যান প্রকল্প গ্রহণ করেছে। সেই মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাধ্যমে ১৭৮টি নদী পুনর্খনন করা হবে। এতে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথের নাব্য ফিরে আসবে; কিন্তু সমস্যা হচ্ছে প্রায়ই যথাযথভাবে ড্রেজিং করা হয় না। ড্রেজিংয়ে খামখেয়ালির কারণে নদীর জমা পলি নদীতেই রয়ে যায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

নদ-নদী আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ। এই সম্পদ বাঁচাতে হলে খনন করতে হবে। পাবনার নদ-নদীর পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে হবে। শুধু খনন করলেই হবে না। এটা যেন পরিকল্পনামাফিক চলে সেটা নিশ্চিত করা জরুরি। এজন্য নজরদারি করতে হবে। তা না হলে নদীর পলি অপসারণের নামে শুধু অর্থ গচ্চা যাবে রাষ্ট্রের। নদী প্রাণ ফিরে পাবে না। ড্রেজিং করা হয় নদীতে জমে থাকা পলি অপসারণ করার জন্য। নদী খননে অবস্থাপনা দূর করা জরুরি। ড্রেজিং করা মাটি যেন আবার নদীতেই না পড়ে সেজন্য সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top