তিন দিন ধরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে বুধবার থেকে সপ্তাহে একবার কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করানো হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন শতাধিক কিডনি রোগী।
কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা ২০০ টাকা ফি দিয়ে ডায়ালাইসিস সেবা পেতেন। প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য অনেক রোগীরই নেই। দ্রুত ডায়ালাইসিস সেবা চালু করার দাবি জানিয়েছেন রোগীরা। জানা গেছে, সমস্যাটির ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন।
ডায়ালাইসিস ইউনিট ইনচার্জ জানান, বুধবার থেকে সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে একটি ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। হাসপাতালে মেশিন রয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে মাত্র দুটি মেশিন জোড়াতালি চালানো হচ্ছে। দুটি মেশিন দিয়ে এত সংখ্যক রোগীকে দুই-তিনবার ডায়ালাইসিস দেয়া সম্ভব না। তবে নষ্ট মেশিনগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডায়ালাইলিস মেশিন ছিল কিন্তু সেগুলো অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালনা করার কারণে খুব দ্রুতই সব মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের মতে, কিডনি যদি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থ কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে আর বের করতে পারে না। তখন কিডনি সংযোজন করাতে হয়। কিন্তু সব রোগীর ক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে না। চিকিৎসকরা তখন রোগীর জীবন বাঁচাতে ডায়ালাইসিস দেন। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রোগীর রক্ত পরিশোধন করে দূষিত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া হয়। তাই কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা কমিয়ে দিলে তারা মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন বলে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
কিন্তু গত তিন দিন ধরে সাতক্ষীরার শতাধিক কিডনি রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। একটি দুটি নয়, ১৯টি মেশিনের মধ্যে ১৭টি মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। আর এসব মেশিন নষ্ট হয়েছে অদক্ষ টেকনেশিয়ান দিয়ে পরিচালনার জন্য, চিকিৎসকরা এ অভিযোগ তুলেছেন। তাই কর্তৃপক্ষ যদি মেশিনের ব্যবস্থা করে তাহলে দক্ষ টেকনেশিয়ান নিয়োগেরও ব্যবস্থা করতে হবে। মেশিন যত ভালোই হোক না কেন, টেকনেশিয়ান দক্ষ না হলে সে মেশিন বেশিদিন টেকসই হয় না। হাসপাতালে আগত রোগীরা যেন কম খরচে ডায়ালাইসিস সেবা পায় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ দ্রুত সব ধরনের উদ্যোগ নেবে, এটা আমরা চাই।
রোববার, ২৪ মার্চ ২০২৪
তিন দিন ধরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস মেশিন নষ্ট। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গত মঙ্গলবার জানিয়ে দিয়েছে বুধবার থেকে সপ্তাহে একবার কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস করানো হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়েছেন শতাধিক কিডনি রোগী।
কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীরা ২০০ টাকা ফি দিয়ে ডায়ালাইসিস সেবা পেতেন। প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো সামর্থ্য অনেক রোগীরই নেই। দ্রুত ডায়ালাইসিস সেবা চালু করার দাবি জানিয়েছেন রোগীরা। জানা গেছে, সমস্যাটির ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্যরা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সমস্যার সমাধানে আশ্বাস দিয়েছেন।
ডায়ালাইসিস ইউনিট ইনচার্জ জানান, বুধবার থেকে সপ্তাহে দুটির পরিবর্তে একটি ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। হাসপাতালে মেশিন রয়েছে ১৯টি। এর মধ্যে মাত্র দুটি মেশিন জোড়াতালি চালানো হচ্ছে। দুটি মেশিন দিয়ে এত সংখ্যক রোগীকে দুই-তিনবার ডায়ালাইসিস দেয়া সম্ভব না। তবে নষ্ট মেশিনগুলো মেরামতের চেষ্টা চলছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক ডায়ালাইলিস মেশিন ছিল কিন্তু সেগুলো অদক্ষ ব্যক্তি দ্বারা পরিচালনা করার কারণে খুব দ্রুতই সব মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকদের মতে, কিডনি যদি ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ কর্মক্ষমতা হারায় তাহলে শরীরের অতিরিক্ত পানি ও বর্জ্য পদার্থ কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে আর বের করতে পারে না। তখন কিডনি সংযোজন করাতে হয়। কিন্তু সব রোগীর ক্ষেত্রে সম্ভব হয়ে ওঠে না। চিকিৎসকরা তখন রোগীর জীবন বাঁচাতে ডায়ালাইসিস দেন। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে রোগীর রক্ত পরিশোধন করে দূষিত ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন ও শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়া হয়। তাই কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবা কমিয়ে দিলে তারা মৃত্যু ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন বলে কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
কিন্তু গত তিন দিন ধরে সাতক্ষীরার শতাধিক কিডনি রোগী এ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। একটি দুটি নয়, ১৯টি মেশিনের মধ্যে ১৭টি মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। আর এসব মেশিন নষ্ট হয়েছে অদক্ষ টেকনেশিয়ান দিয়ে পরিচালনার জন্য, চিকিৎসকরা এ অভিযোগ তুলেছেন। তাই কর্তৃপক্ষ যদি মেশিনের ব্যবস্থা করে তাহলে দক্ষ টেকনেশিয়ান নিয়োগেরও ব্যবস্থা করতে হবে। মেশিন যত ভালোই হোক না কেন, টেকনেশিয়ান দক্ষ না হলে সে মেশিন বেশিদিন টেকসই হয় না। হাসপাতালে আগত রোগীরা যেন কম খরচে ডায়ালাইসিস সেবা পায় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ দ্রুত সব ধরনের উদ্যোগ নেবে, এটা আমরা চাই।