alt

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

: শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদীর ১৩টি স্থানে স্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বালু ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী জড়িত। বালু তোলা বা নদী দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু করতোয়ায় নয়, দেশের প্রায় সব নদ-নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। নির্বিচারে বালু তোলার ফলে নদ-নদীসংলগ্ন অনেক স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা লাভবান হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা ও নদীর ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যায়। এর প্রভাবে নদী ভাঙে। মাটি ক্ষয় হয়। নষ্ট হয় উর্বরতা।

বালুর প্রয়োজন রয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণসহ নানান কাজে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই বালুর ব্যবহারও যে বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। নদ-নদী থেকে বালু তোলাও হয়। কিন্তু যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যায় না। নদ-নদী থেকে বালু তোলার নিয়ম রয়েছে। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না।

আমরা বলতে চাই, নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এই নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর সাজা দিতে হবে।

করতোয়া নদীর বালু তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। অবৈধভাবে বালু তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যারা অন্যায়ভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আইনের চোখে সবাই সমান। আর অবৈধ বালু তোলার প্রশ্নে স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা দরকার। প্রশাসনের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্যায় কাজে মদত দেয় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে।

একটি পাকা সেতুর জন্য অপেক্ষা

নদী থেকে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করুন

ইছামতী নদীকে রক্ষা করুন

সন্দেহবশত পিটিয়ে হত্যা: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

জয়দেবপুর রেলক্রসিংয়ে দুর্ভোগের অবসান হোক

বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কেন থামছে না?

সারের সংকট আর কত

সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

কক্সবাজার সৈকত রক্ষা করুন

ঐকমত্য কমিশনের উদ্দেশ্য কী?

সড়ক দখলমুক্ত করা জরুরি

কৃষকদের পাশে থাকুন

প্রাথমিক শিক্ষায় সংকট

অ্যানথ্রাক্স নিয়ন্ত্রণে ধীরগতি: ঝুঁকিতে মানুষ ও গবাদিপশু

রাজধানীর যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ফিরেছে সিগন্যাল বাতি: বাস্তবায়ন জরুরি

দুস্থদের জন্য নিম্নমানের চাল: দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

নিরাপদ সড়কের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতা

কটিয়াদীতে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে অভিযোগ আমলে নিন

ধানখেতে পোকার আক্রমণ: কৃষকের পাশে দাঁড়ান

কৃষিজমির পাশে ইউক্যালিপটাস: লাভ সাময়িক, ক্ষতি দীর্ঘমেয়াদী

খুলনা বিভাগীয় শিশু হাসপাতাল চালু হতে আর কত অপেক্ষা

সদরপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি জমি দখল: ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে

রংপুর সিটি করপোরেশনে অটোরিকশার লাইসেন্স প্রসঙ্গে

বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড প্রশ্ন অনেক, উত্তর মিলবে কি

দেবীদ্বার কলেজ মাঠ: অবহেলায় হারাতে বসেছে ঐতিহ্য

সিইপিজেডের আগুন: অবহেলা আর দায়িত্বহীনতার নজির

বায়ুদূষণ রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিন

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা : ফল বিপর্যয় নাকি বাস্তবতা

কুমারভোগের বাসিন্দাদের জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দিন

বেহাল রাজবাড়ী বিসিক শিল্পনগরী: ব্যবস্থা নিন

শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি: যৌক্তিক পদক্ষেপ নিন

গার্মেন্টস কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: প্রশ্নবিদ্ধ নিরাপত্তা ব্যবস্থা

ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ করুন

টিআরএম প্রকল্পের ক্ষতিপূরণ পেতে আর কত অপেক্ষা

জয়পুরহাটে ডায়রিয়ার প্রকোপ

tab

মতামত » সম্পাদকীয়

নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধ করুন

শনিবার, ৩০ মার্চ ২০২৪

রংপুরের পীরগঞ্জে করতোয়া নদীর ১৩টি স্থানে স্যালো মেশিন বসিয়ে বালু তুলে বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, বালু ব্যবসার সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের একশ্রেণীর নেতাকর্মী জড়িত। বালু তোলা বা নদী দখলের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অবৈধভাবে বালু তোলার এ চিত্র শুধু করতোয়ায় নয়, দেশের প্রায় সব নদ-নদীতেই দৃশ্যমান হচ্ছে। নির্বিচারে বালু তোলার ফলে নদ-নদীসংলগ্ন অনেক স্থাপনা ও সড়ক-মহাসড়ক হুমকির মুখে পড়ছে। অবৈধ বালু উত্তোলনের মাধ্যমে স্থানীয় প্রভাবশালীরা লাভবান হয়। তবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা ও নদীর ওপর নির্ভরশীল সাধারণ মানুষ। বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা হলে নদীগর্ভের গঠনপ্রক্রিয়া বদলে যায়। এর প্রভাবে নদী ভাঙে। মাটি ক্ষয় হয়। নষ্ট হয় উর্বরতা।

বালুর প্রয়োজন রয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণসহ নানান কাজে বালু একটি অপরিহার্য সামগ্রী। দেশে শিল্প-কারখানাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনের সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই বালুর ব্যবহারও যে বাড়বে সেটাই স্বাভাবিক। নদ-নদী থেকে বালু তোলাও হয়। কিন্তু যেখানে-সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলা যায় না। নদ-নদী থেকে বালু তোলার নিয়ম রয়েছে। সমীক্ষা ও নকশা ছাড়া খননযন্ত্র বসিয়ে বালু কাটা যাবে না।

আমরা বলতে চাই, নিয়ম মেনে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় বালু তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। বালু তোলার ক্ষেত্রে স্থান, সময়, সংশ্লিষ্ট এলাকার জীববৈচিত্র্য ও উত্তোলনের প্রাযুক্তিক ব্যবস্থা বিবেচনায় নিতে হবে। যারা এই নিয়ম ভাঙবে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর সাজা দিতে হবে।

করতোয়া নদীর বালু তোলার যে অভিযোগ পাওয়া গেছে সেটা আমলে নিতে হবে। অবৈধভাবে বালু তোলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। যারা অন্যায়ভাবে বালু তুলছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে এমনটাই আমরা দেখতে চাই। অপরাধী যত প্রভাবশালীই হোক না কেন তাকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। আইনের চোখে সবাই সমান। আর অবৈধ বালু তোলার প্রশ্নে স্থানীয় প্রশাসন কী ভূমিকা রাখছে সেটা জানা দরকার। প্রশাসনের ভেতর থেকে যদি কেউ অন্যায় কাজে মদত দেয় তাহলে ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top