alt

সম্পাদকীয়

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

: বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

তালিকায় নাম ছিল কিন্তু চাল পাননি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জাটকা শিকার হতে বিরত জেলেদের বরাদ্দের চাল চাল নিয়ে গেছে জনপ্রতিনিধিদের কাছের লোকজন। গত শনিবার কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জে এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন কমবেশি পাঁচশ জেলে। বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, জেলে কার্ড আছে, বরাদ্দকৃত চালের সিøপও রয়েছে এমন অনেকেই চাল পাননি। এর পরিবর্তে মোটরসাইকেল চালক, অটোচালক ও চেয়ারম্যান-মেম্বারের লোক বলে পরিচিত ব্যক্তিরা চাল পেয়েছেন। আবার যেসব জেলে চাল পেয়েছেন তাদের বরাদ্দের চেয়ে কম দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ ছিল ৮০ কেজি, কিন্তু পাওয়া গেছে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি। সেলাই করা বস্তা খুলে আগেই চাল সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।

জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরতে বাধ্য হন। এ কারণে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলে মাছ ধরতে পারেন না। বিকল্প কোনো কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোনো আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি তারা না পান, তাহলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচবেন কীভাবে।

আমরা মনে করি, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে। পটুয়াখালিতে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বোয়ালখালী রেললাইন বাজার : জীবন ও নিরাপত্তার চরম সংকট

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্নীতি

আঠারোবাড়ী হাওরের সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

পাঠ্যবই বিতরণে বিলম্ব : শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আঘাত

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

tab

সম্পাদকীয়

জেলেরা কেন বরাদ্দকৃত চাল পাচ্ছে না

বুধবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৪

তালিকায় নাম ছিল কিন্তু চাল পাননি। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জাটকা শিকার হতে বিরত জেলেদের বরাদ্দের চাল চাল নিয়ে গেছে জনপ্রতিনিধিদের কাছের লোকজন। গত শনিবার কলাপাড়ার ডালবুগঞ্জে এই অনিয়মের শিকার হয়েছেন কমবেশি পাঁচশ জেলে। বরাদ্দকৃত চাল না পেয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন। এ নিয়ে গত সোমবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, জেলে কার্ড আছে, বরাদ্দকৃত চালের সিøপও রয়েছে এমন অনেকেই চাল পাননি। এর পরিবর্তে মোটরসাইকেল চালক, অটোচালক ও চেয়ারম্যান-মেম্বারের লোক বলে পরিচিত ব্যক্তিরা চাল পেয়েছেন। আবার যেসব জেলে চাল পেয়েছেন তাদের বরাদ্দের চেয়ে কম দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বরাদ্দ ছিল ৮০ কেজি, কিন্তু পাওয়া গেছে ৬৫ থেকে ৭০ কেজি। সেলাই করা বস্তা খুলে আগেই চাল সরানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জেলেরা।

জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি সহায়তা না পেয়ে এবং বিকল্প কাজ খুঁজে না পেয়ে জেলেরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ধরতে বাধ্য হন। এ কারণে তারা জেল-জরিমানার মুখে পড়েন।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলে মাছ ধরতে পারেন না। বিকল্প কোনো কাজের সংস্থান করা হয় না তাদের জন্য। ফলে এ সময় কোনো আয়-রোজগার না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা কষ্টে দিনাতিপাত করেন। তখন সরকারের বরাদ্দ করা চাল তাদের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব করে। কিন্তু সেই চালই যদি তারা না পান, তাহলে তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে বাঁচবেন কীভাবে।

আমরা মনে করি, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের জীবিকা নিশ্চিত করা না গেলে জাটকা ধরা থেকে তাদের নিবৃত্ত করা কঠিন হবে। পটুয়াখালিতে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণে অনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা উচিত। এক্ষেত্রে কারও অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা আশা করব, এক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

back to top