জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কারণে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ উপকূলীয় বনাঞ্চল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। ফলদ ও ওষুধি গাছও এখন শূন্যের কোটায়। কমে গেছে লবণাক্ততা সহিষ্ণু গাছের সংখ্যা।
বন কাটাও থেমে নেই। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে উপকূলীয় বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বনবিভাগ কী ভূমিকা পালন করছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দুর্বৃত্তরা বনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বন কর্তৃপক্ষকে।
বনভূমি কমে যাওয়ায় পাখিদের অভয়ারণ্য কমে এসেছে। কমে গেছে বন্যপ্রাণীদের চারণ ও বাসভূমি। খাদ্য ও পানির সংকটের হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। আগে এখানকার পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনে বিভিন্ন প্রজাতির বন মোরগ, হরিণ, বাঘ, হনুমান, শুকর, মহিষ, ছাগল, সাপ, গুঁইসাপ, কচ্ছপ, বনবিড়াল ও বন্য হাতির দেখা যেত। কিন্তু এখন সচরাচর এসব প্রাণী আর দেখা যায় না।
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বনভূমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গাছের চারা লাগানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে বন বিভাগ সেটা পারছে না বলে জানিয়েছে মীরসরাই উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ। তারা আরও বলেছে তাদের জনবল সংকট রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ‘বেজা’র ভূমিকা বড়। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের শরণাপন্ন হয়েও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃত্রিম বনভূমি গড়ে তোলার কথা থাকলেও সেটা চোখে পড়ার মতো নয়। ফলে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন কৃত্রিম বনায়ন সৃষ্টিতে ‘বেজা’র ভূমিকা বেশি। আবার ‘বেজা’ও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, এভাবে চলতে পারে না। উন্নয়নের দরকার আছে। উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশকে রক্ষা করে। পরিবেশ টিকে থাকলে উন্নয়নও টেকসই হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।
সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৪
জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কারণে চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ উপকূলীয় বনাঞ্চল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মূল্যবান গাছ। ফলদ ও ওষুধি গাছও এখন শূন্যের কোটায়। কমে গেছে লবণাক্ততা সহিষ্ণু গাছের সংখ্যা।
বন কাটাও থেমে নেই। দুর্বৃত্তরা প্রকাশ্যে উপকূলীয় বনাঞ্চলের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বনবিভাগ কী ভূমিকা পালন করছে সেই প্রশ্ন উঠেছে। দুর্বৃত্তরা বনের গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা আমলে নিতে হবে। অভিযোগের সত্যতা মিললে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে বন কর্তৃপক্ষকে।
বনভূমি কমে যাওয়ায় পাখিদের অভয়ারণ্য কমে এসেছে। কমে গেছে বন্যপ্রাণীদের চারণ ও বাসভূমি। খাদ্য ও পানির সংকটের হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। আগে এখানকার পাহাড়ি ও উপকূলীয় বনে বিভিন্ন প্রজাতির বন মোরগ, হরিণ, বাঘ, হনুমান, শুকর, মহিষ, ছাগল, সাপ, গুঁইসাপ, কচ্ছপ, বনবিড়াল ও বন্য হাতির দেখা যেত। কিন্তু এখন সচরাচর এসব প্রাণী আর দেখা যায় না।
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলায় বনভূমির পরিমাণ বাড়ানোর জন্য প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে গাছের চারা লাগানোর কথা থাকলেও তা করা হয়নি। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাবের কারণে বন বিভাগ সেটা পারছে না বলে জানিয়েছে মীরসরাই উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ। তারা আরও বলেছে তাদের জনবল সংকট রয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ ‘বেজা’র ভূমিকা বড়। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাদের শরণাপন্ন হয়েও সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
কৃত্রিম বনভূমি গড়ে তোলার কথা থাকলেও সেটা চোখে পড়ার মতো নয়। ফলে ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে পরিবেশ বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। উপকূলীয় বন কর্তৃপক্ষ বলছে নতুন কৃত্রিম বনায়ন সৃষ্টিতে ‘বেজা’র ভূমিকা বেশি। আবার ‘বেজা’ও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আমরা বলতে চাই, এভাবে চলতে পারে না। উন্নয়নের দরকার আছে। উন্নয়ন করতে হবে পরিবেশকে রক্ষা করে। পরিবেশ টিকে থাকলে উন্নয়নও টেকসই হবে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সংশ্লিষ্টদের সমন্বয় করে কাজ করতে হবে।