alt

সম্পাদকীয়

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

: শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দূষণ-দখলে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। পলি পড়ে নদীর অনেক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে চর। সেখানে নেই পানির স্বাভাবিক প্রবাহ। দূষিত পানি জনসাধারণের ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একই দিনে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিশখালী নদীর মোহনায় পানগুছি নদীর প্রশাখা খাল নাব্য হারিয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট খাদ্যগুদামে জেটি ঘাটে পণ্য লোড-আনলোডে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।

প্রাচীনকাল থেকেই নদী পরিবহন ও যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর নাব্য উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। সঙ্গত কারণে কমে গেছে নদীর গভীরতা এবং পানির ধারণক্ষমতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিনিয়ত দখল, ভরাট, নদীর গতিপথের পরিবর্তনের কারণেই নৌপথ দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে নদ-নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটাওে নৌযান চলাচল করতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে তা আরও কমে ৪ হাজার ৩৪৭ কিলোমিটার হয়। অথচ ১৯৬০ সালেও দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার।

নদ-নদীর ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের নদ-নদীগুলো খনন করা জরুরি। বন্যা, খরার মতো দুর্যোগগুলো থেকে বাঁচতে দেশের নদীগুলোর নিয়মিত খনন দরকার। পাশাপাশি নদীগুলোকে পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে।

নদ-নদী দূষণে শিল্প-কলকারখানার যেমন দায় আছে, তেমন নাগরিকদেরও দায় রয়েছে। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে দেশের অনেক নদ-নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে।

দেশের আদালতে ২০১৯ সালে নদীকে আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নদী রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। নদী রক্ষার দায়িত্বটা সবাইকেই নিতে হবে। এককভাবে কোন কর্তৃপক্ষের নদী দূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। শিল্প-কলকারখানাকে যেমন দূষণ বন্ধ করতে হবে তেমনি নাগরিকদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

নতুন বছররে শুভচ্ছো

বিষ ঢেলে মাছ নিধনের অভিযোগ আমলে নিন

ঈদের আনন্দ স্পর্শ করুক সবার জীবন

মীরসরাইয়ের বন রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগ নেয়া জরুরি

স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো জরুরি

কৃষকরা কেন তামাক চাষে ঝুঁকছে

রেলক্রসিংয়ে প্রাণহানির দায় কার

আর কত অপেক্ষার পর সেতু পাবে রানিশংকৈলের মানুষ^

tab

সম্পাদকীয়

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

দূষণ-দখলে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। পলি পড়ে নদীর অনেক স্থানে সৃষ্টি হয়েছে চর। সেখানে নেই পানির স্বাভাবিক প্রবাহ। দূষিত পানি জনসাধারণের ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

একই দিনে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বিশখালী নদীর মোহনায় পানগুছি নদীর প্রশাখা খাল নাব্য হারিয়েছে। এ কারণে সংশ্লিষ্ট খাদ্যগুদামে জেটি ঘাটে পণ্য লোড-আনলোডে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।

প্রাচীনকাল থেকেই নদী পরিবহন ও যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ মাধ্যম। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নদী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, বর্তমানে দেশের অধিকাংশ নদ-নদীর নাব্য উল্লেখযোগ্যহারে কমে গেছে। সঙ্গত কারণে কমে গেছে নদীর গভীরতা এবং পানির ধারণক্ষমতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিনিয়ত দখল, ভরাট, নদীর গতিপথের পরিবর্তনের কারণেই নৌপথ দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক হিসাব অনুযায়ী, দেশে নদ-নদীর মোট দৈর্ঘ্য ২৪ হাজার কিলোমিটার। এর মধ্যে মাত্র ৬ হাজার কিলোমিটাওে নৌযান চলাচল করতে পারে। শুষ্ক মৌসুমে তা আরও কমে ৪ হাজার ৩৪৭ কিলোমিটার হয়। অথচ ১৯৬০ সালেও দেশে নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ১২ হাজার কিলোমিটার।

নদ-নদীর ইকোসিস্টেমের ভারসাম্য রক্ষায় দেশের নদ-নদীগুলো খনন করা জরুরি। বন্যা, খরার মতো দুর্যোগগুলো থেকে বাঁচতে দেশের নদীগুলোর নিয়মিত খনন দরকার। পাশাপাশি নদীগুলোকে পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত রাখতে হবে।

নদ-নদী দূষণে শিল্প-কলকারখানার যেমন দায় আছে, তেমন নাগরিকদেরও দায় রয়েছে। মানুষের অবিবেচনাপ্রসূত কার্যকলাপের কারণে দেশের অনেক নদ-নদী অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। অনেকে প্রত্যক্ষ দখলের মাধ্যমে নদীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত করছে। কেউবা নদীতে নানাবিধ বর্জ্য ফেলে দূষণের মাধ্যমে নদীকে ভাগাড়ে পরিণত করছে। এ কারণে নদী তার স্বাভাবিক জীবন হারিয়ে ফেলছে।

দেশের আদালতে ২০১৯ সালে নদীকে আইনি সত্তা বা জীবন্ত সত্তা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু নদী রক্ষায় দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। নদী রক্ষার দায়িত্বটা সবাইকেই নিতে হবে। এককভাবে কোন কর্তৃপক্ষের নদী দূষণ ও দখল দূর করা সম্ভব নয়। শিল্প-কলকারখানাকে যেমন দূষণ বন্ধ করতে হবে তেমনি নাগরিকদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

back to top