alt

সম্পাদকীয়

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

: সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ২০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নৌ-পুলিশ বলেছে, জেলেদের কাছ থেকে লাসা জাল, কারেন্ট জাল এবং মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জাটকা সংরক্ষণ করা জরুরি। সরকার জাটকা নিধন রোধে ২০০৬ সালে দেশের অভয়াশ্রমগুলোয় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করে। সরকার বলছে, নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশে ইলিশ রক্ষা হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে। জাটকা সংরক্ষণের সুফলের কথা বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেন।

শুধু চাঁদপুরে নয়, দেশের আরও যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা মাছ ধরে তাদের বিভিন্ন সময় আটক করা হয়। অনেক সময় তাদের জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালায়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এরপরও দেখা যায়, জেলেদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরছেন। জেল-জরিমানার ঝুঁকি আছেÑ এটা জেনেও জেলেরা কেন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে মাছ ধরে সেটা একটা প্রশ্ন।

নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে প্রতিবারই হাজারো জেলেকে সহায়তা দেয়া হয়। আবার হাজারো জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাকে। বঞ্ছিত জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে কীভাবে জীবনযাপন করছে সেটা কি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখেছেন? নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন এলাকায় কতজন জেলে আছে, আর কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছেÑ সেটা জানা দরকার।

জেলেদের যে সরকারি সহযোগিতা দেয়া হয় সেটা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, জেলেদের সহায়তা বরাদ্দের পরিমাণ অপ্রতুল। শুধু চাল দিয়ে কি জেলেদের জীবন চলে সেই প্রশ্ন রয়েছে।

অনেক জেলেকেই স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী, মহাজনসহ এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। এসব ঋণ তাদেরকে সুদসহ নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। কিস্তি দিতে না পারলে জেলেদের বিপাকে পড়তে হয়।

দেশের ইলিশ সম্পদ অবশই রক্ষা করতে হবে। জাটকা সংরক্ষণ করে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আবার জেলেদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তাও দিতে হবে। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনা জরুরি। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

tab

সম্পাদকীয়

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ২০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নৌ-পুলিশ বলেছে, জেলেদের কাছ থেকে লাসা জাল, কারেন্ট জাল এবং মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে।

দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জাটকা সংরক্ষণ করা জরুরি। সরকার জাটকা নিধন রোধে ২০০৬ সালে দেশের অভয়াশ্রমগুলোয় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করে। সরকার বলছে, নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশে ইলিশ রক্ষা হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে। জাটকা সংরক্ষণের সুফলের কথা বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেন।

শুধু চাঁদপুরে নয়, দেশের আরও যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা মাছ ধরে তাদের বিভিন্ন সময় আটক করা হয়। অনেক সময় তাদের জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালায়।

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এরপরও দেখা যায়, জেলেদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরছেন। জেল-জরিমানার ঝুঁকি আছেÑ এটা জেনেও জেলেরা কেন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে মাছ ধরে সেটা একটা প্রশ্ন।

নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে প্রতিবারই হাজারো জেলেকে সহায়তা দেয়া হয়। আবার হাজারো জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাকে। বঞ্ছিত জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে কীভাবে জীবনযাপন করছে সেটা কি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখেছেন? নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন এলাকায় কতজন জেলে আছে, আর কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছেÑ সেটা জানা দরকার।

জেলেদের যে সরকারি সহযোগিতা দেয়া হয় সেটা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, জেলেদের সহায়তা বরাদ্দের পরিমাণ অপ্রতুল। শুধু চাল দিয়ে কি জেলেদের জীবন চলে সেই প্রশ্ন রয়েছে।

অনেক জেলেকেই স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী, মহাজনসহ এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। এসব ঋণ তাদেরকে সুদসহ নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। কিস্তি দিতে না পারলে জেলেদের বিপাকে পড়তে হয়।

দেশের ইলিশ সম্পদ অবশই রক্ষা করতে হবে। জাটকা সংরক্ষণ করে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আবার জেলেদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তাও দিতে হবে। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনা জরুরি। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।

back to top