চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ২০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নৌ-পুলিশ বলেছে, জেলেদের কাছ থেকে লাসা জাল, কারেন্ট জাল এবং মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জাটকা সংরক্ষণ করা জরুরি। সরকার জাটকা নিধন রোধে ২০০৬ সালে দেশের অভয়াশ্রমগুলোয় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করে। সরকার বলছে, নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশে ইলিশ রক্ষা হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে। জাটকা সংরক্ষণের সুফলের কথা বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেন।
শুধু চাঁদপুরে নয়, দেশের আরও যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা মাছ ধরে তাদের বিভিন্ন সময় আটক করা হয়। অনেক সময় তাদের জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালায়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এরপরও দেখা যায়, জেলেদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরছেন। জেল-জরিমানার ঝুঁকি আছেÑ এটা জেনেও জেলেরা কেন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে মাছ ধরে সেটা একটা প্রশ্ন।
নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে প্রতিবারই হাজারো জেলেকে সহায়তা দেয়া হয়। আবার হাজারো জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাকে। বঞ্ছিত জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে কীভাবে জীবনযাপন করছে সেটা কি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখেছেন? নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন এলাকায় কতজন জেলে আছে, আর কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছেÑ সেটা জানা দরকার।
জেলেদের যে সরকারি সহযোগিতা দেয়া হয় সেটা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, জেলেদের সহায়তা বরাদ্দের পরিমাণ অপ্রতুল। শুধু চাল দিয়ে কি জেলেদের জীবন চলে সেই প্রশ্ন রয়েছে।
অনেক জেলেকেই স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী, মহাজনসহ এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। এসব ঋণ তাদেরকে সুদসহ নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। কিস্তি দিতে না পারলে জেলেদের বিপাকে পড়তে হয়।
দেশের ইলিশ সম্পদ অবশই রক্ষা করতে হবে। জাটকা সংরক্ষণ করে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আবার জেলেদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তাও দিতে হবে। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনা জরুরি। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।
সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
চাঁদপুরে মেঘনা নদীর অভয়াশ্রমে জাটকা সংরক্ষণের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরায় ২০ জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মৎস্য আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি তিনজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় মুচলেকা রেখে অভিভাবকের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। নৌ-পুলিশ বলেছে, জেলেদের কাছ থেকে লাসা জাল, কারেন্ট জাল এবং মাছ ধরার নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
দেশে ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জাটকা সংরক্ষণ করা জরুরি। সরকার জাটকা নিধন রোধে ২০০৬ সালে দেশের অভয়াশ্রমগুলোয় নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম শুরু করে। সরকার বলছে, নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশে ইলিশ রক্ষা হচ্ছে, উৎপাদন বাড়ছে। জাটকা সংরক্ষণের সুফলের কথা বিশেষজ্ঞরাও স্বীকার করেন।
শুধু চাঁদপুরে নয়, দেশের আরও যেসব এলাকায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা মাছ ধরে তাদের বিভিন্ন সময় আটক করা হয়। অনেক সময় তাদের জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালায়।
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। এরপরও দেখা যায়, জেলেদের অনেকেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরছেন। জেল-জরিমানার ঝুঁকি আছেÑ এটা জেনেও জেলেরা কেন নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে মাছ ধরে সেটা একটা প্রশ্ন।
নিষেধাজ্ঞার মৌসুমে প্রতিবারই হাজারো জেলেকে সহায়তা দেয়া হয়। আবার হাজারো জেলে সরকারি সহায়তার বাইরে থাকে। বঞ্ছিত জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এ দুর্মূল্যের বাজারে কীভাবে জীবনযাপন করছে সেটা কি সংশ্লিষ্টরা ভেবে দেখেছেন? নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন এলাকায় কতজন জেলে আছে, আর কতজনকে সরকারি সহায়তা দেয়া হচ্ছেÑ সেটা জানা দরকার।
জেলেদের যে সরকারি সহযোগিতা দেয়া হয় সেটা নিয়েও অনিয়মের অভিযোগও রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে যে, জেলেদের সহায়তা বরাদ্দের পরিমাণ অপ্রতুল। শুধু চাল দিয়ে কি জেলেদের জীবন চলে সেই প্রশ্ন রয়েছে।
অনেক জেলেকেই স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী, মহাজনসহ এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়। এসব ঋণ তাদেরকে সুদসহ নিয়মিত কিস্তিতে পরিশোধ করতে হয়। কিস্তি দিতে না পারলে জেলেদের বিপাকে পড়তে হয়।
দেশের ইলিশ সম্পদ অবশই রক্ষা করতে হবে। জাটকা সংরক্ষণ করে মাছের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আবার জেলেদের জীবন-জীবিকার নিশ্চয়তাও দিতে হবে। মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন প্রকৃত ও নিবন্ধিত সব জেলেকে সরকারি সহয়তার আওতায় আনা জরুরি। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে হবে।