বরিশাল অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপমাত্রা যত বাড়ছে, তত বাড়ছে ডায়রিয়া ও পেটেরে পীড়ার রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন পাঁচশ থেকে সাতশ রোগী ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পেটের পীড়া নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় করছেন।
চলতি এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ২১ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসেন। গত চার দিনে চার হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। অপরদিকে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর নিউমোনিয়া রোগী কমে গেলেও চলতি তাপদাহে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ দেখা যাচ্ছে।
বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২০২৩ সালে ৭২ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নেন। ২০২২ সালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি। আর ২০২১ সালে ছিল ৮০ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। গত তিন মাসে চিকিৎসাসেবা নেন ২৫ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। অপর দিকে গত শীতে নিউমোনিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি।
বরিশালের মানুষের মাঝে কেন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়া বেশি হয়Ñ এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বরিশাল মহানগরী ও এ অঞ্চলের বেশির ভাগ পথঘাটজুড়ে ‘পথখাবার’র দোকান গড়ে উঠেছে। আর এগুলো কোনোমতেই স্বাস্থ্যকর নয়। পথের ধারে গড়ে ওঠা এসব দোকানের পচা-বাসি খাবার খেয়েই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। তাহলেই ডায়রিয়া আক্রান্ত থেকে রেহাই মিলবে। কী কী কারণে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, সে বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
দেশে ডায়রিয়া চিকিৎসা এখন সহজলভ্য। এমনকি ঘরে বসেও এর চিকিৎসা নেয়া যায়। খাবার স্যালাইন ঘরেই বানানো যায়। তবে সেটা নিয়মমাফিকভাবে বানাতে হবে। কারো ডায়রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। এক্ষেত্রে বিলম্ব করা হলে সমস্যা বড় আকার ধারণ করতে পারে। আর যদি কারো অবস্থা সংকটাপন্ন হয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই শ্রেয়।
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
বরিশাল অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ছে। তাপমাত্রা যত বাড়ছে, তত বাড়ছে ডায়রিয়া ও পেটেরে পীড়ার রোগীর সংখ্যা। প্রতিদিন পাঁচশ থেকে সাতশ রোগী ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন পেটের পীড়া নিয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাসেবা নিতে ভিড় করছেন।
চলতি এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ২১ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিতে আসেন। গত চার দিনে চার হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসার জন্য এসেছেন। অপরদিকে, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের পর নিউমোনিয়া রোগী কমে গেলেও চলতি তাপদাহে শিশুদের নিউমোনিয়া রোগ দেখা যাচ্ছে।
বরিশাল অঞ্চলের সরকারি হাসপাতালগুলোতে ২০২৩ সালে ৭২ হাজার ডায়রিয়া রোগী চিকিৎসা নেন। ২০২২ সালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি। আর ২০২১ সালে ছিল ৮০ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। গত তিন মাসে চিকিৎসাসেবা নেন ২৫ হাজার নারী, পুরুষ ও শিশু। অপর দিকে গত শীতে নিউমোনিয়াসহ ঠা-াজনিত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭৭ হাজারেরও বেশি।
বরিশালের মানুষের মাঝে কেন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়া বেশি হয়Ñ এমন প্রশ্নের জবাব দিয়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, বরিশাল মহানগরী ও এ অঞ্চলের বেশির ভাগ পথঘাটজুড়ে ‘পথখাবার’র দোকান গড়ে উঠেছে। আর এগুলো কোনোমতেই স্বাস্থ্যকর নয়। পথের ধারে গড়ে ওঠা এসব দোকানের পচা-বাসি খাবার খেয়েই মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পেতে হলে পচা-বাসি খাবার পরিহার করতে হবে। পরিষ্কার পানি পান করতে হবে। তাহলেই ডায়রিয়া আক্রান্ত থেকে রেহাই মিলবে। কী কী কারণে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে, সে বিষয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে।
দেশে ডায়রিয়া চিকিৎসা এখন সহজলভ্য। এমনকি ঘরে বসেও এর চিকিৎসা নেয়া যায়। খাবার স্যালাইন ঘরেই বানানো যায়। তবে সেটা নিয়মমাফিকভাবে বানাতে হবে। কারো ডায়রিয়া দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। এক্ষেত্রে বিলম্ব করা হলে সমস্যা বড় আকার ধারণ করতে পারে। আর যদি কারো অবস্থা সংকটাপন্ন হয়, তাহলে দেরি না করে বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াটাই শ্রেয়।