alt

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

: শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে ৩৬৭ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি। এই সময়ের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৫৮টি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে এই তথ্য। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, উল্লিখিত সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৫৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

অবশ্য যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামক আরেকটি সংগঠন বলছে, এবারের রোজার ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মারা গেছে, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন মারা গেছে। সংগঠনটি বলছে, গতবারের তুলনায় এবার ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ বেড়েছে। হতাহতের ঘটনাও বেড়েছে।

মানুষ আশা করে, সড়ক দুর্ঘটনা কমবে, যাত্রাপথ আগের চেয়ে নিরাপদ হবে। বাস্তবে হতাশজনক চিত্রই মেলে কেবল। নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটিগুলো সুপারিশ করেছে। আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। কিন্তু কোনো টোটকাই কাজে লাগেনি।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো বদলায়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। সড়কের এসব ব্যাধির কোনো নিরাময় মিলছে না।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কে যত হতাহতের ঘটনা ঘটছে, তার ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে হচ্ছে। মোটরসাইকেল চলাচলে অনেক ক্ষেত্রে হেলমেটসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার না করা, অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, নিয়ম না জানা বা নিয়ম না মানা ইত্যাদি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হেলমেট পরলে মৃত্যুঝুঁকি ৭০ শতাংশ আর আহত হওয়ার হার ৪০ শতাংশ কমে যায়।

সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গোটা পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

কিশোর গ্যাংয়ের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

আদমজী ইপিজেড সড়ক মেরামতে আর কত কালক্ষেপণ

নদ-নদীর নাব্য রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিন

চকরিয়ায় পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

গরমে দুর্বিষহ জনজীবন

ভালুকায় খাবার পানির সংকট নিরসনে ব্যবস্থা নিন

সড়কে চাই সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা

লঞ্চ চালাতে হবে নিয়ম মেনে

tab

সম্পাদকীয়

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় দেশে ৩৬৭ জন মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি। এই সময়ের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ৩৫৮টি। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়েছে এই তথ্য। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, উল্লিখিত সময়ে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৫৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ।

অবশ্য যাত্রী কল্যাণ সমিতি নামক আরেকটি সংগঠন বলছে, এবারের রোজার ঈদের আগে-পরে মিলিয়ে ১৫ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন মারা গেছে, আহত হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৮ জন। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন মারা গেছে। সংগঠনটি বলছে, গতবারের তুলনায় এবার ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ বেড়েছে। হতাহতের ঘটনাও বেড়েছে।

মানুষ আশা করে, সড়ক দুর্ঘটনা কমবে, যাত্রাপথ আগের চেয়ে নিরাপদ হবে। বাস্তবে হতাশজনক চিত্রই মেলে কেবল। নিরাপদ সড়কের স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেছে।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকার অনেক সিদ্ধান্তই এ পর্যন্ত নিয়েছে। তবে এসব সিদ্ধান্ত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বাস্তবায়ন করা হয় না। বিভিন্ন সময়ে দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত কমিটিগুলো সুপারিশ করেছে। আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা দিতে দেখা গেছে। নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত। কিন্তু কোনো টোটকাই কাজে লাগেনি।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো বদলায়নি। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা প্রভৃতি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। সড়কের এসব ব্যাধির কোনো নিরাময় মিলছে না।

দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। এর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এআরআই) এক গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানে সড়কে যত হতাহতের ঘটনা ঘটছে, তার ৪০ শতাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে হচ্ছে। মোটরসাইকেল চলাচলে অনেক ক্ষেত্রে হেলমেটসহ নিরাপত্তা সরঞ্জামাদি ব্যবহার না করা, অতিরিক্ত গতি, ওভারটেকিং, নিয়ম না জানা বা নিয়ম না মানা ইত্যাদি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার অন্যতম প্রধান কারণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, হেলমেট পরলে মৃত্যুঝুঁকি ৭০ শতাংশ আর আহত হওয়ার হার ৪০ শতাংশ কমে যায়।

সড়ক নিরাপদ করতে হলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করতে হবে। গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিকরা যেন সড়ক পরিবহন আইন মেনে চলে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিচার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। গোটা পরিবহন খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। এজন্য নিয়মিত মনিটর করা জরুরি।

back to top