alt

সম্পাদকীয়

খাবার পানির সংকট দূর করুন

: রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার হাজারো পরিবার খাবার পানির তীব্র সংকটকে ভুগছে। সেখানকার বেশির ভাগ গ্রামে ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির উৎস নেই। সরকার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য তিন হাজার লিটারের পানির ট্যাংক দিচ্ছে। এতে খরচ লাগছে ১৫শ টাকা। কিন্তু যারা দরিদ্র তাদের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

এই অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের দাবি যেসব জায়গায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো যায় সেখানে বসানো হোক। এসব ডিপ-টিউবওয়েল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে খাবার পানি সরবরাহ করলে তারা বেশি উপকৃত হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাবার পানিও পান করতে পারবে।

বৃষ্টির সময় ছয় মাস জলাবদ্ধতা থাকে। পানিও থাকে লবণাক্ত। নারীদের তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলস খাবার পানি আনতে হয়। এক ড্রাম পানির জন্য খরচ করতে হয় ৩০ টাকা। স্বল্পআয়ের মানুষ লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে উচ্চরক্ত চাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটেরপীড়াসহ নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।

যেসব এলকায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে নিরাপদ পানির সুব্যবস্থার জন্য বৃষ্টির পানির ট্যাংকি প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তেরর প্রকৌশলীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র মানুষের পক্ষে ১৫শ টাকা জোগাড় করাটাও কঠিন। সাতক্ষীরার উকূলীয় অঞ্চলের এসব হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পানির ট্যাংক বিতরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় আনবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

শুধু উপকূলীয় সাতক্ষীরা জেলায় তীব্র খাবার পানি সংকটে ভুগছে তা না। নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসীরাও খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। সুপেয় পানি ছাড়াই তারা নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। এতে সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। দেখা দিচ্ছে নানান রোগব্যাধি।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আদিবাসিরা দাবি করেছে গভীর কুয়া খনন করে দিলে তাদের খাবার পানির সংকট নিরসন হবে। সরকারি উদ্যোগে পাহাড়ি এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক কুয়া খনন করে দেয়ার দাবি কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, এটা আমরা আশা করব।

স্টিয়ারিং নয়, এসব শিশু-কিশোরে হাতে বই-খাতা দেখতে চাই

শান্তিপূর্ণ উপায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিক অসন্তোষ দূর হোক

নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করুন

পাহাড় ধসে মর্মান্তিক মৃত্যু

লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি ধীরে নামছে কেন

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ : দালাল চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা

গুমের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত ও বিচার করা জরুরি

লুটপাট-অগ্নিকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

সচিবালয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

ভয়াবহ বন্যা : বিভ্রান্তি নয়, মানুষকে প্রকৃত তথ্য জানান

পাট জাগ দিতে ‘রিবন রেটিং’ পদ্ধতির প্রসার বাড়াতে হবে

মানুষ হিসেবে অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান

দখল-লুটপাটের অপসংস্কৃতি

বিচার বিভাগে রদবদল

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: শুভকামনা, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিন, প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরান

এই অরাজকতা চলতে দেওয়া যায় না, সবাইকে সংযত হতে হবে

অরাজকতা বন্ধ হোক, শান্তি ফিরুক

সিংগাইরে নূরালীগঙ্গা খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করুন

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসন করুন

কৃষক কেন ন্যায্যমূল্য পান না

শিশুটির বিদ্যালয়ে ভর্তির স্বপ্ন কি অপূর্ণ রয়ে যাবে

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

tab

সম্পাদকীয়

খাবার পানির সংকট দূর করুন

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার হাজারো পরিবার খাবার পানির তীব্র সংকটকে ভুগছে। সেখানকার বেশির ভাগ গ্রামে ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির উৎস নেই। সরকার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য তিন হাজার লিটারের পানির ট্যাংক দিচ্ছে। এতে খরচ লাগছে ১৫শ টাকা। কিন্তু যারা দরিদ্র তাদের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হচ্ছে না।

এই অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের দাবি যেসব জায়গায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো যায় সেখানে বসানো হোক। এসব ডিপ-টিউবওয়েল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে খাবার পানি সরবরাহ করলে তারা বেশি উপকৃত হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাবার পানিও পান করতে পারবে।

বৃষ্টির সময় ছয় মাস জলাবদ্ধতা থাকে। পানিও থাকে লবণাক্ত। নারীদের তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলস খাবার পানি আনতে হয়। এক ড্রাম পানির জন্য খরচ করতে হয় ৩০ টাকা। স্বল্পআয়ের মানুষ লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে উচ্চরক্ত চাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটেরপীড়াসহ নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।

যেসব এলকায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে নিরাপদ পানির সুব্যবস্থার জন্য বৃষ্টির পানির ট্যাংকি প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তেরর প্রকৌশলীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র মানুষের পক্ষে ১৫শ টাকা জোগাড় করাটাও কঠিন। সাতক্ষীরার উকূলীয় অঞ্চলের এসব হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পানির ট্যাংক বিতরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় আনবে বলে আমরা আশা করতে চাই।

শুধু উপকূলীয় সাতক্ষীরা জেলায় তীব্র খাবার পানি সংকটে ভুগছে তা না। নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসীরাও খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। সুপেয় পানি ছাড়াই তারা নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। এতে সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। দেখা দিচ্ছে নানান রোগব্যাধি।

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আদিবাসিরা দাবি করেছে গভীর কুয়া খনন করে দিলে তাদের খাবার পানির সংকট নিরসন হবে। সরকারি উদ্যোগে পাহাড়ি এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক কুয়া খনন করে দেয়ার দাবি কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, এটা আমরা আশা করব।

back to top