উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার হাজারো পরিবার খাবার পানির তীব্র সংকটকে ভুগছে। সেখানকার বেশির ভাগ গ্রামে ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির উৎস নেই। সরকার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য তিন হাজার লিটারের পানির ট্যাংক দিচ্ছে। এতে খরচ লাগছে ১৫শ টাকা। কিন্তু যারা দরিদ্র তাদের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
এই অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের দাবি যেসব জায়গায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো যায় সেখানে বসানো হোক। এসব ডিপ-টিউবওয়েল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে খাবার পানি সরবরাহ করলে তারা বেশি উপকৃত হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাবার পানিও পান করতে পারবে।
বৃষ্টির সময় ছয় মাস জলাবদ্ধতা থাকে। পানিও থাকে লবণাক্ত। নারীদের তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলস খাবার পানি আনতে হয়। এক ড্রাম পানির জন্য খরচ করতে হয় ৩০ টাকা। স্বল্পআয়ের মানুষ লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে উচ্চরক্ত চাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটেরপীড়াসহ নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।
যেসব এলকায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে নিরাপদ পানির সুব্যবস্থার জন্য বৃষ্টির পানির ট্যাংকি প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তেরর প্রকৌশলীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র মানুষের পক্ষে ১৫শ টাকা জোগাড় করাটাও কঠিন। সাতক্ষীরার উকূলীয় অঞ্চলের এসব হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পানির ট্যাংক বিতরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় আনবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
শুধু উপকূলীয় সাতক্ষীরা জেলায় তীব্র খাবার পানি সংকটে ভুগছে তা না। নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসীরাও খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। সুপেয় পানি ছাড়াই তারা নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। এতে সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। দেখা দিচ্ছে নানান রোগব্যাধি।
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আদিবাসিরা দাবি করেছে গভীর কুয়া খনন করে দিলে তাদের খাবার পানির সংকট নিরসন হবে। সরকারি উদ্যোগে পাহাড়ি এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক কুয়া খনন করে দেয়ার দাবি কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, এটা আমরা আশা করব।
রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার হাজারো পরিবার খাবার পানির তীব্র সংকটকে ভুগছে। সেখানকার বেশির ভাগ গ্রামে ভূগর্ভস্থ সুপেয় পানির উৎস নেই। সরকার বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ করে রাখার জন্য তিন হাজার লিটারের পানির ট্যাংক দিচ্ছে। এতে খরচ লাগছে ১৫শ টাকা। কিন্তু যারা দরিদ্র তাদের পক্ষে তা কেনা সম্ভব হচ্ছে না।
এই অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের দাবি যেসব জায়গায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো যায় সেখানে বসানো হোক। এসব ডিপ-টিউবওয়েল থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে খাবার পানি সরবরাহ করলে তারা বেশি উপকৃত হবে। পাশাপাশি নিরাপদ খাবার পানিও পান করতে পারবে।
বৃষ্টির সময় ছয় মাস জলাবদ্ধতা থাকে। পানিও থাকে লবণাক্ত। নারীদের তিন কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এক কলস খাবার পানি আনতে হয়। এক ড্রাম পানির জন্য খরচ করতে হয় ৩০ টাকা। স্বল্পআয়ের মানুষ লবণাক্ত পানি ব্যবহার করে উচ্চরক্ত চাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটেরপীড়াসহ নানা রোগবালাইয়ে আক্রান্ত হচ্ছে।
যেসব এলকায় ডিপ-টিউবওয়েল বসানো সম্ভব হচ্ছে না, সেখানে নিরাপদ পানির সুব্যবস্থার জন্য বৃষ্টির পানির ট্যাংকি প্রদান করা হচ্ছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তেরর প্রকৌশলীরা এ তথ্য জানিয়েছেন। কিন্তু দরিদ্র মানুষের পক্ষে ১৫শ টাকা জোগাড় করাটাও কঠিন। সাতক্ষীরার উকূলীয় অঞ্চলের এসব হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিনামূল্যে বৃষ্টির পানি ধরে রাখার পানির ট্যাংক বিতরণের ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় আনবে বলে আমরা আশা করতে চাই।
শুধু উপকূলীয় সাতক্ষীরা জেলায় তীব্র খাবার পানি সংকটে ভুগছে তা না। নেত্রকোনার কলমাকান্দায় পাহাড়ি অঞ্চলে আদিবাসীরাও খাবার পানির তীব্র সংকটে ভুগছে। সুপেয় পানি ছাড়াই তারা নিত্যদিনের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। এতে সেখানকার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। দেখা দিচ্ছে নানান রোগব্যাধি।
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আদিবাসিরা দাবি করেছে গভীর কুয়া খনন করে দিলে তাদের খাবার পানির সংকট নিরসন হবে। সরকারি উদ্যোগে পাহাড়ি এলাকায় পর্যাপ্তসংখ্যক কুয়া খনন করে দেয়ার দাবি কর্তৃপক্ষ আমলে নেবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে, এটা আমরা আশা করব।