alt

সম্পাদকীয়

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

: সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ফসলিজমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিনই মাটি কেটে নিচ্ছে। এক্সকেভেটর দিয়ে কোনো কোনো জমির ২০ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত গভীর গর্ত করেও মাটি কাটা হচ্ছে। ফলে গর্তের পাশের কৃষিজমির মাটিও ভেঙে পড়ছে। এসব মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি ফসলিজমিও কমছে।

রাত নামলেই মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়ে যায়। তারা উপজেলার মোক্তারপুর, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, জামালপুর, বাহাদুরসাদী, নাগরী ও তুমলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় লরি ও ট্রাক নিয়ে পৌঁছে যায়। রাতভর ভেকু দিয়ে চলে কৃষিজমির মাটি কাটা। তারপর লরি ও ট্রাক ভর্তি করে চলে যায়।

ফসলিজমির উপরিভাগের ৬ থেকে ৮ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান থাকে। সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। এতে জমি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলে। জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। ফসলিজমির মাটি কাটা আইনত দ-নীয় অপরাধ। কিন্তু এ আইন মানছে না মাটি ব্যবসায়ীরা।

কেউ যদি আইন অমান্য করে ফসলিজমির মাটি কাটে তাহলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করার কথা। এক্ষেত্রে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করছেন, ‘যখনই ফসলিজমির মাটি কাটার খবর পেয়েছি, তখনই অভিযান পরিচালনা করেছি। ভেকু ও লরির ব্যাটারি জব্দ করেছি।’

আমরা বলতে চাই, শুধু মাটি কাটার যন্ত্র জব্দ করলে হবে না, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে। রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু শ্রমিকদের ধরে জরিমানা করলে সমস্যার সমাধান হবে না।

শুধু কালিগঞ্জে নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফসলিজমির মাটি কাটার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। এসব কাজে ইটভাটা মালিকরাই বেশি জড়িত থাকে। দেশের যেসব এলাকায় ফসলিজমির মাটি কাটা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক। ফসলিজমির মাটি কাটা চক্র যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সরকারকে যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু মাটি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

উত্তরা মেইল ট্রেন পুনরায় চালু করুন

হাটবাজারে অবৈধ দখলের অবসান চাই

পশু জবাইয়ে অবকাঠামোর অভাব ও তদারকির ঘাটতি : স্বাস্থ্যঝুঁকিতে মানুষ

খাল রক্ষার সংকট : সমন্বয়হীনতা ও দায়িত্বহীনতা

টাঙ্গাইল পৌরসভার জলাবদ্ধতার সমাধান করুন

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের সংখ্যা, এ সাফল্য ধরে রাখতে হবে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ : ক্রমবর্ধমান হুমকি

বন্যার্তদের ত্রাণ সহায়তা বাড়ান

চশমা পরা ও মুখপোড়া হনুমান রক্ষায় উদ্যোগ চাই

উন্মুক্ত স্থানে মলমূত্র ত্যাগ বন্ধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে

বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়ান

নির্বাচনের সময়সীমা স্পষ্ট করা দরকার

শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ দিন

দ্রব্যমূল্যে স্বস্তি নেই

মৌসুমি জলাবদ্ধতা থেকে ছৈয়ালবাড়ী ও মানিক্যপাড়ার বাসিন্দাদের মুক্তি দিন

হাতি যাবে কোথায়, খাবে কী?

হাওরে নিষিদ্ধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করুন

বেকারত্ব সমস্যা : সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা থাকা জরুরি

ওএমএসের পণ্য বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

পাহাড়ে আবার গণপিটুনিতে হত্যা

আশুলিয়ায় শ্রমিকের মৃত্যু : তদন্ত সুষ্ঠু করা জরুরি

ধর্মীয় গোষ্ঠীর চাপে সমন্বয় কমিটি বাতিল, একটি মন্দ নজির

কারিগরি শিক্ষার পথে বাধা দূর করুন

মধ্যপ্রাচ্য সংকট : বিশ্বনেতাদের শান্তির পথ খুঁজে বের করতে হবে

বন্যার পানি নামেনি অনেক এলাকায়, দুর্ভোগে মানুষ

রামু হামলার বিচারে আর কত অপেক্ষা

আবারও গণপিটুনিতে হত্যা

শিক্ষক পদত্যাগে জোরজবরদস্তি বন্ধ করুন

রাজধানীর জলাভূমি রক্ষা করুন

বন রক্ষায় চাই কঠোর নজরদারি

বায়ুদূষণ রোধে চাই সমন্বিত পরিকল্পনা

জলাবদ্ধতা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে কবে

নির্বাচন কবে, সংস্কার কীভাবে : স্পষ্ট করুন

সড়ক টেকসইভাবে সংস্কার করুন

শ্রমিক অসন্তোষ : সব পক্ষকে খোলা মনে আলোচনা করতে হবে

টিসিবির পণ্য বিক্রিতে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ সুরাহা করুন

tab

সম্পাদকীয়

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় ফসলিজমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি প্রভাবশালী চক্র। তারা প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রতিদিনই মাটি কেটে নিচ্ছে। এক্সকেভেটর দিয়ে কোনো কোনো জমির ২০ থেকে ৩০ ফুট পর্যন্ত গভীর গর্ত করেও মাটি কাটা হচ্ছে। ফলে গর্তের পাশের কৃষিজমির মাটিও ভেঙে পড়ছে। এসব মাটি যাচ্ছে ইটভাটায়। ফলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি ফসলিজমিও কমছে।

রাত নামলেই মাটি ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়ে যায়। তারা উপজেলার মোক্তারপুর, বক্তারপুর, জাঙ্গালিয়া, জামালপুর, বাহাদুরসাদী, নাগরী ও তুমলিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় লরি ও ট্রাক নিয়ে পৌঁছে যায়। রাতভর ভেকু দিয়ে চলে কৃষিজমির মাটি কাটা। তারপর লরি ও ট্রাক ভর্তি করে চলে যায়।

ফসলিজমির উপরিভাগের ৬ থেকে ৮ ইঞ্চির মধ্যে মাটির জৈব উপাদান থাকে। সেই মাটি কাটা হলে জমির জৈব উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। এতে জমি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলে। জমির স্থায়ী ক্ষতি হয়। ফসলিজমির মাটি কাটা আইনত দ-নীয় অপরাধ। কিন্তু এ আইন মানছে না মাটি ব্যবসায়ীরা।

কেউ যদি আইন অমান্য করে ফসলিজমির মাটি কাটে তাহলে তার বিরুদ্ধে জেল-জরিমানা করার কথা। এক্ষেত্রে প্রশাসন কী করছে সেটা একটা প্রশ্ন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করছেন, ‘যখনই ফসলিজমির মাটি কাটার খবর পেয়েছি, তখনই অভিযান পরিচালনা করেছি। ভেকু ও লরির ব্যাটারি জব্দ করেছি।’

আমরা বলতে চাই, শুধু মাটি কাটার যন্ত্র জব্দ করলে হবে না, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ধরতে হবে। রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। শুধু শ্রমিকদের ধরে জরিমানা করলে সমস্যার সমাধান হবে না।

শুধু কালিগঞ্জে নয়, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ফসলিজমির মাটি কাটার খবর গণমাধ্যমে দেখা যায়। এসব কাজে ইটভাটা মালিকরাই বেশি জড়িত থাকে। দেশের যেসব এলাকায় ফসলিজমির মাটি কাটা হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হোক। ফসলিজমির মাটি কাটা চক্র যত ক্ষমতাশালীই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে। সরকারকে যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু মাটি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে।

back to top