alt

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

: মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাথল্যাব মেশিন স্থাপন করা হয় ২০১৭ সালে। গত প্রায় সাত বছরে মেশিনটি একদিনের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। কারণ প্রয়োজনীয় জনবল নেই। হাসপাতালটির আরও ৫৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে রয়েছে। রেডিওথেরাপি যন্ত্র আছে কিন্তু সেটা সাত বছর ধরে বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে আছে। এমন আরও অনেক সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের রোগ নির্ণয়ের বা চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়। রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা দেওয়ার কাজ কোনো কারণে ব্যাহত হলে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাই ব্যাহত হয়। কেবল এই একটি হাসপতালেই নয়, দেশের আরও অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম লোকবলের অভাবে পড়ে আছে বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

যেসব হাসপাতালে সরঞ্জামগুলো পড়ে আছে সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে অনেক রোগীর রোগ নির্ণয় করা যেত, তাদের সুচিকিৎসা দেওয়া যেত। চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার না করলে সংশ্লিষ্ট রোগীরা যেমন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি রাষ্ট্রের সম্পদেরও অপচয় হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম পড়ে থাকার বড় কারণ হচ্ছে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকা, কারিগরি সহায়তার অভাব, রাসায়নিকের সরবরাহ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের সুযোগ-সুবিধা না থাকা ইত্যাদি। প্রশ্ন হচ্ছেÑ এসব সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়। যন্ত্রপাতি কেনা হয় কিন্তু বছরের পর বছর ধরে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয় না। এর মানে কী! চিকিৎসা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কি যন্ত্রপাতি কেনা হয়, নাকি এই কেনাকাটার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছেÑ সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন করবেÑ এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা পাক এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার হোক। চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন না করার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। বছরের পর বছর চিকিৎসা সরঞ্জাম ফেলে রাখার জন্য তাদের জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে।

স্বাস্থ্য খাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিচ্ছবি দুমকি হাসপাতাল

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যাথল্যাব মেশিন স্থাপন করা হয় ২০১৭ সালে। গত প্রায় সাত বছরে মেশিনটি একদিনের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি। কারণ প্রয়োজনীয় জনবল নেই। হাসপাতালটির আরও ৫৫ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি অকেজো হয়ে রয়েছে। রেডিওথেরাপি যন্ত্র আছে কিন্তু সেটা সাত বছর ধরে বাক্সবন্দি হয়ে পড়ে আছে। এমন আরও অনেক সমস্যায় জর্জরিত হাসপাতালটি। এ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীদের রোগ নির্ণয়ের বা চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনা হয়। রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসা দেওয়ার কাজ কোনো কারণে ব্যাহত হলে সামগ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থাই ব্যাহত হয়। কেবল এই একটি হাসপতালেই নয়, দেশের আরও অনেক হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম লোকবলের অভাবে পড়ে আছে বলে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

যেসব হাসপাতালে সরঞ্জামগুলো পড়ে আছে সেগুলো যথাযথভাবে ব্যবহার করা গেলে অনেক রোগীর রোগ নির্ণয় করা যেত, তাদের সুচিকিৎসা দেওয়া যেত। চিকিৎসা সরঞ্জাম ব্যবহার না করলে সংশ্লিষ্ট রোগীরা যেমন স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়, তেমনি রাষ্ট্রের সম্পদেরও অপচয় হয়।

হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জাম পড়ে থাকার বড় কারণ হচ্ছে প্রয়োজনীয় লোকবল না থাকা, কারিগরি সহায়তার অভাব, রাসায়নিকের সরবরাহ এবং যন্ত্রপাতি স্থাপনের সুযোগ-সুবিধা না থাকা ইত্যাদি। প্রশ্ন হচ্ছেÑ এসব সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেয়। যন্ত্রপাতি কেনা হয় কিন্তু বছরের পর বছর ধরে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয় না। এর মানে কী! চিকিৎসা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কি যন্ত্রপাতি কেনা হয়, নাকি এই কেনাকাটার পেছনে অন্য কোনো উদ্দেশ্য আছেÑ সেটা একটা প্রশ্ন।

আমরা বলতে চাই, হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জামের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে দ্রুত প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দ্রুত এ কাজ সম্পন্ন করবেÑ এটা আমাদের প্রত্যাশা। আমরা চাই সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের রোগীরা পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যসেবা পাক এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের সদ্ব্যবহার হোক। চিকিৎসা সরঞ্জাম স্থাপন না করার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। বছরের পর বছর চিকিৎসা সরঞ্জাম ফেলে রাখার জন্য তাদের জবাবদিহিতা আদায় করতে হবে।

back to top