বাগেরহাটের মোংলা-ঘোষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলসংলগ্ন তিনটি সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। বাঁধ দেয়ায় খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, একসময় খালগুলো নাব্য হারিয়ে ফেলবে। এর খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় একটি গোষ্ঠী উপজেলার সাতপুকুরিয়া-আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পৃথক তিনটি খাল দখল করে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করছে। এসব খাল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আগে খনন করেছিল। কিন্তু বাঁধ দেয়ার কারণে মানুষ তার সুফল পাচ্ছে না। খালের দখল উচ্ছেদ করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খাল বা জলাশয় দখলের করুণ চিত্র দেখা যায় সারাদেশেই। এটা কেবল একটি এলাকার সমস্যা নয়। নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয় ভরাট-দখল-দূষণের মহোসৎব চলছে দেশজুড়েই। সাধারণত দেখা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে।
দেশে নদী-নালা-খাল-বিল-জলাশয় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ভূমিকা পালন করছে সেটা একটা প্রশ্ন। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল হতে পারে না। দখল-দূষণ নিয়ে এত লেখালেখির পরেও তাদের বোধদয় হচ্ছে না।
দখল-দূষণের কারণে দেশের অসংখ্য খাল এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু খাল। খালে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দেয়ার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে জলাশয়-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। ফলে থেমে যাচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি। খালের খনন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।
আমরা বলতে চাই, খাল-জলাশয় দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। দখলমুক্ত করার পর পুনরায় ভরাট বা পুনর্দখল হয়ে যাবে না-আমরা এমনটাই দেখতে। যারা এসব দখল বা ভরাটের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
রোববার, ০৫ মে ২০২৪
বাগেরহাটের মোংলা-ঘোষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলসংলগ্ন তিনটি সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। বাঁধ দেয়ায় খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, একসময় খালগুলো নাব্য হারিয়ে ফেলবে। এর খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
জানা গেছে, স্থানীয় একটি গোষ্ঠী উপজেলার সাতপুকুরিয়া-আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পৃথক তিনটি খাল দখল করে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করছে। এসব খাল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আগে খনন করেছিল। কিন্তু বাঁধ দেয়ার কারণে মানুষ তার সুফল পাচ্ছে না। খালের দখল উচ্ছেদ করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
খাল বা জলাশয় দখলের করুণ চিত্র দেখা যায় সারাদেশেই। এটা কেবল একটি এলাকার সমস্যা নয়। নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয় ভরাট-দখল-দূষণের মহোসৎব চলছে দেশজুড়েই। সাধারণত দেখা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে।
দেশে নদী-নালা-খাল-বিল-জলাশয় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ভূমিকা পালন করছে সেটা একটা প্রশ্ন। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল হতে পারে না। দখল-দূষণ নিয়ে এত লেখালেখির পরেও তাদের বোধদয় হচ্ছে না।
দখল-দূষণের কারণে দেশের অসংখ্য খাল এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু খাল। খালে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দেয়ার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে জলাশয়-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। ফলে থেমে যাচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি। খালের খনন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।
আমরা বলতে চাই, খাল-জলাশয় দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। দখলমুক্ত করার পর পুনরায় ভরাট বা পুনর্দখল হয়ে যাবে না-আমরা এমনটাই দেখতে। যারা এসব দখল বা ভরাটের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।