alt

সম্পাদকীয়

সরকারি খালে বাঁধ কেন

: রোববার, ০৫ মে ২০২৪

বাগেরহাটের মোংলা-ঘোষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলসংলগ্ন তিনটি সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। বাঁধ দেয়ায় খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, একসময় খালগুলো নাব্য হারিয়ে ফেলবে। এর খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় একটি গোষ্ঠী উপজেলার সাতপুকুরিয়া-আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পৃথক তিনটি খাল দখল করে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করছে। এসব খাল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আগে খনন করেছিল। কিন্তু বাঁধ দেয়ার কারণে মানুষ তার সুফল পাচ্ছে না। খালের দখল উচ্ছেদ করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

খাল বা জলাশয় দখলের করুণ চিত্র দেখা যায় সারাদেশেই। এটা কেবল একটি এলাকার সমস্যা নয়। নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয় ভরাট-দখল-দূষণের মহোসৎব চলছে দেশজুড়েই। সাধারণত দেখা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে।

দেশে নদী-নালা-খাল-বিল-জলাশয় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ভূমিকা পালন করছে সেটা একটা প্রশ্ন। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল হতে পারে না। দখল-দূষণ নিয়ে এত লেখালেখির পরেও তাদের বোধদয় হচ্ছে না।

দখল-দূষণের কারণে দেশের অসংখ্য খাল এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু খাল। খালে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দেয়ার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে জলাশয়-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। ফলে থেমে যাচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি। খালের খনন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।

আমরা বলতে চাই, খাল-জলাশয় দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। দখলমুক্ত করার পর পুনরায় ভরাট বা পুনর্দখল হয়ে যাবে না-আমরা এমনটাই দেখতে। যারা এসব দখল বা ভরাটের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজন কঠোর প্রশাসনিক উদ্যোগ

আইনের শাসন নিশ্চিত না হলে সহিংসতার পুনরাবৃত্তি থামবে না

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

tab

সম্পাদকীয়

সরকারি খালে বাঁধ কেন

রোববার, ০৫ মে ২০২৪

বাগেরহাটের মোংলা-ঘোষিয়াখালী নৌ-চ্যানেলসংলগ্ন তিনটি সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার অভিযোগ উঠেছে। বাঁধ দেয়ায় খালের স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, একসময় খালগুলো নাব্য হারিয়ে ফেলবে। এর খেসারত দিতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

জানা গেছে, স্থানীয় একটি গোষ্ঠী উপজেলার সাতপুকুরিয়া-আড়ুয়াডাঙ্গা গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত পৃথক তিনটি খাল দখল করে দীর্ঘ দিন ধরে মাছ চাষ করছে। এসব খাল পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আগে খনন করেছিল। কিন্তু বাঁধ দেয়ার কারণে মানুষ তার সুফল পাচ্ছে না। খালের দখল উচ্ছেদ করে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

খাল বা জলাশয় দখলের করুণ চিত্র দেখা যায় সারাদেশেই। এটা কেবল একটি এলাকার সমস্যা নয়। নদ-নদী-খাল-বিল-জলাশয় ভরাট-দখল-দূষণের মহোসৎব চলছে দেশজুড়েই। সাধারণত দেখা যায়, স্থানীয় প্রভাবশালীরা যেমন খুশি তেমনভাবে খাল ব্যবহার করছে।

দেশে নদী-নালা-খাল-বিল-জলাশয় রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ভূমিকা পালন করছে সেটা একটা প্রশ্ন। নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা থাকলে খাল কোনভাবেই দখল হতে পারে না। দখল-দূষণ নিয়ে এত লেখালেখির পরেও তাদের বোধদয় হচ্ছে না।

দখল-দূষণের কারণে দেশের অসংখ্য খাল এখন মৃতপ্রায়। হারিয়ে যাওয়ার পথে বহু খাল। খালে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধ দেয়ার খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। যখন যেভাবে প্রয়োজন তখন সেভাবে জলাশয়-খালকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ভরাট করে দখল করার উৎসবে মেতে উঠেছে প্রভাবশালীরা। ফলে থেমে যাচ্ছে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, ধ্বংস হচ্ছে প্রাণ-প্রকৃতি। খালের খনন বা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযান মাঝেমধ্যে চলে; কিন্তু দখলমুক্ত জায়গাগুলো আবার দখল হয়ে যায়।

আমরা বলতে চাই, খাল-জলাশয় দখলের এই দুষ্টচক্রকে ভাঙতে হবে। বাগেরহাটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার খালগুলো দখলমুক্ত করতে হবে। পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। দখলমুক্ত করার পর পুনরায় ভরাট বা পুনর্দখল হয়ে যাবে না-আমরা এমনটাই দেখতে। যারা এসব দখল বা ভরাটের সঙ্গে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।

back to top