alt

সম্পাদকীয়

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

: বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

দেশে এখনও ইভটিজিং চলছে। একটা সবসময় ছিল, কখনো লোকচক্ষুর আড়ালে, কখনো প্রকাশ্যে, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারীরা এর শিকার হন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেও মেয়ে শিক্ষার্থীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়।

শ্রেণীকক্ষে ঢুকে ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইভটিজাররা শ্রেণীকক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। তাদের ভয়ে ওই শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চের নিচে লুকাতে বাধ্য হয়। ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর সহপাঠীরা সেসময় দুর্বৃত্তদের বাধা দেয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা মাদ্রাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। ঘটনার দিন বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিক্ষকের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তখন তার দুই হাত ভেঙে যায়।

অতীতেও ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলা, মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। এমনকি হত্যার শিকারও হয়েছেন ভুক্তভোগী কোন কোন পরিবারের স্বজনরা। ইভটিজিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব শুধু ভুক্তভোগী নারীর ওপরই নয় বরং তা তার পুরো পরিবারের ওপরই পড়ে।

ইভটিজিংয়ের শিকার নারী শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে পারে। এমনকি অ্যাসিড সন্ত্রাস বা হত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইভটিজিং নারীজীবনে ভয়ানক অভিজ্ঞতা। নারীজীবনে এর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

দেখা যায় যে, ইভটিজিং অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছলে অনেকেই লেখাপড়া বাদ দিয়ে ঘরবন্দী জীবনযাপন করে। অনেকে আবার বাল্যবিয়ের শিকার হয়। কেউ কেউ ইভটিজিংয়ের কারণে নিরূপায় হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।

ইভটিজিং ভয়াবহ এক ‘সামাজিক ব্যাধি’। এটা থেকে নারীকে, সমাজকে মুক্তি দিতে হবে। এজন্য প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। ইভটিজাররা অপরাধ করেও প্রায়। পার পেয়ে যাওয়ার কারণে আবারও ইভটিজিংয়ে জড়িয়ে পড়ে। ইভটিজারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নোয়াখালীতে ইভটিজিংয়ের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

ধনাগোদা নদী সংস্কার করুন

স্কুলের খেলার মাঠ রক্ষা করুন

চাটখিলের ‘জাতীয় তথ্য বাতায়ন’ হালনাগাদ করুন

মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন, যারা ভালো করেনি তাদের পাশে থাকতে হবে

মিঠাপুকুরে ফসলি জমির টপসয়েল কাটা বন্ধের উদ্যোগ নিন

সড়কে নসিমন, করিমন ও ভটভটি চলাচল বন্ধ করুন

কালীহাতির খরশীলা সেতুর সংযোগ সড়ক সংস্কারে আর কত অপেক্ষা

গতিসীমা মেনে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে

সাটুরিয়ার সমিতির গ্রাহকদের টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিন

ধোবাউড়ায় ঋণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আমলে নিন

বজ্রপাত থেকে বাঁচতে চাই সচেতনতা

ডুমুরিয়ার বেড়িবাঁধের দখল হওয়া জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নিন

পুড়ছে সুন্দরবন

কাজ না করে প্রকল্পের টাকা তুলে নেয়ার অভিযোগ সুরাহা করুন

সরকারি খালে বাঁধ কেন

কৃষকদের ভুট্টার ন্যায্য দাম পেতে ব্যবস্থা নিন

সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিন

কালীগঞ্জে ফসলিজমির মাটি কাটায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

নির্বিচারে বালু তোলা বন্ধ করুন

খাবার পানির সংকট দূর করুন

গরম কমছে না কেন

মধুপুর বন রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

সড়ক দুর্ঘটনার হতাশাজনক চিত্র

সখীপুরে বংশাই নদীতে সেতু চাই

ইটভাটায় ফসলের ক্ষতি : এর দায় কার

টাঙ্গাইলে জলাশয় দখলের অভিযোগের সুরাহা করুন

অবৈধ বালু তোলা বন্ধে ব্যবস্থা নিন

টিসিবির পণ্য : ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ আমলে নিন

ভৈরব নদে সেতু নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

ডায়রিয়া প্রতিরোধে চাই জনসচেতনতা

ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়কে চলছে কীভাবে

গোবিন্দগঞ্জে নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গাছ কাটার অভিযোগ আমলে নিন

নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি

অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ব্যবহারে চাই সচেতনতা

অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

ভোলাডুবা হাওরের বোরো খেতের পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা নিন

tab

সম্পাদকীয়

ইভটিজারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিন

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪

দেশে এখনও ইভটিজিং চলছে। একটা সবসময় ছিল, কখনো লোকচক্ষুর আড়ালে, কখনো প্রকাশ্যে, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার নারীরা এর শিকার হন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরেও মেয়ে শিক্ষার্থীরা ইভটিজিংয়ের শিকার হয়।

শ্রেণীকক্ষে ঢুকে ছাত্রীকে ইভটিজিং করার প্রতিবাদ করায় এক শিক্ষককে পিটিয়ে দুই হাত ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত রোববার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গতকাল সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইভটিজাররা শ্রেণীকক্ষে ঢুকে এক ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। তাদের ভয়ে ওই শিক্ষার্থী শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চের নিচে লুকাতে বাধ্য হয়। ইভটিজিংয়ের শিকার ছাত্রীর সহপাঠীরা সেসময় দুর্বৃত্তদের বাধা দেয়। খবর পেয়ে মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষক মো. সোহেল এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা মাদ্রাসার ভেতরে ওই শিক্ষককে মারধর করে। ঘটনার দিন বিকেলে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ওই শিক্ষকের ওপর দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। তখন তার দুই হাত ভেঙে যায়।

অতীতেও ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে হামলা, মারধরের শিকার হয়ে আহত হয়েছেন অনেকে। এমনকি হত্যার শিকারও হয়েছেন ভুক্তভোগী কোন কোন পরিবারের স্বজনরা। ইভটিজিংয়ের নেতিবাচক প্রভাব শুধু ভুক্তভোগী নারীর ওপরই নয় বরং তা তার পুরো পরিবারের ওপরই পড়ে।

ইভটিজিংয়ের শিকার নারী শারীরিক লাঞ্ছনার শিকার হতে পারে। এমনকি অ্যাসিড সন্ত্রাস বা হত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। পাশাপাশি মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইভটিজিং নারীজীবনে ভয়ানক অভিজ্ঞতা। নারীজীবনে এর ভয়াবহ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

দেখা যায় যে, ইভটিজিং অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছলে অনেকেই লেখাপড়া বাদ দিয়ে ঘরবন্দী জীবনযাপন করে। অনেকে আবার বাল্যবিয়ের শিকার হয়। কেউ কেউ ইভটিজিংয়ের কারণে নিরূপায় হয়ে আত্মহত্যার পথও বেছে নেয়।

ইভটিজিং ভয়াবহ এক ‘সামাজিক ব্যাধি’। এটা থেকে নারীকে, সমাজকে মুক্তি দিতে হবে। এজন্য প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। ইভটিজাররা অপরাধ করেও প্রায়। পার পেয়ে যাওয়ার কারণে আবারও ইভটিজিংয়ে জড়িয়ে পড়ে। ইভটিজারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। নোয়াখালীতে ইভটিজিংয়ের যে অভিযোগ পাওয়া গেছে তা আমলে নিতে হবে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

back to top