পাঁচ আগস্ট দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দুই দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। দেশে এখন কোনো সরকার ব্যবস্থা নেই। অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্তবর্তী সরকার প্রধান কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তিনি এখন দেশে নেই। আজ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
দেশে কোনো বৈধ সরকার না থাকলেও সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে রদবদল হয়েছে ও হচ্ছে। প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাউকে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এই ধরনের পদত্যাগের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশাসনের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কাজ হচ্ছে না কোথাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বললেও কম বলা হবে। পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। থানা, ট্রাফিক এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। সেনাবাহিনীও নেমেছে। এরপরও দেশজুড়ে চলমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো যায়নি। এর আগে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছে, কোথাও কোথাও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করছে। সেটা এক অর্থে ভালো। তবে তাদের প্রশাসন চালানোর কথা নয়।
দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের ক্রান্তিকালে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ অনেক মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এমনকি ভিনদেশী এক ব্যক্তিও মারা গেছেন। যশোরে পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে একজন বিদেশীসহ ২১ জন পুড়ে মারা গেছেন।
গণহারে লুটপাট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, থানা, প্রতিপক্ষের বাড়িঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হচ্ছে। তাদের বাড়িঘর, প্রার্থনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুঠের শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, লুঠ, অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সুযোগে যে যা পারছে করছে। কিছু মানুষ সারা দেশেই যেন লুটপাটের ‘উৎসবে’ মেতে উঠেছে।
সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের ঘুম উড়ে গেছে। তাদের দিনরাত কাটছে হামলার আশঙ্কায়।
সাধারণ মানুষের প্রশ্নÑ দেশে কবে শান্তি ফিরবে। শান্তির জন্য আর কত প্রাণক্ষয় হবে, আর কত সম্পদ ধ্বংস হবে।
মানুষের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তাদের প্রধান কর্তব্য হবে নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আর একটি মানুষেরও জানমালের যেন ক্ষতি না হয়, তারা যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সম্পদ ক্ষয় রোধ করতে হবে। দ্রুততার সাথে প্রশাসনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। আর প্রতিটি হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুঠ, ডাকাতির ঘটনার কঠোর আইনি প্রতিকার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৮ আগস্ট ২০২৪
পাঁচ আগস্ট দুপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর দুই দিনেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। দেশে এখন কোনো সরকার ব্যবস্থা নেই। অন্তবর্তী সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এখনো চলছে। অন্তবর্তী সরকার প্রধান কে হবেন সেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু তিনি এখন দেশে নেই। আজ তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
দেশে কোনো বৈধ সরকার না থাকলেও সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনির গুরুত্বপূর্ণ অনেক পদে রদবদল হয়েছে ও হচ্ছে। প্রশাসনে রদবদল হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কাউকে কাউকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। এই ধরনের পদত্যাগের আইনি ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
প্রশাসনের কোথাও কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কাজ হচ্ছে না কোথাও। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে বললেও কম বলা হবে। পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। থানা, ট্রাফিক এবং বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীকে। সেনাবাহিনীও নেমেছে। এরপরও দেশজুড়ে চলমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো যায়নি। এর আগে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থা সামলেছে, কোথাও কোথাও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ করছে। সেটা এক অর্থে ভালো। তবে তাদের প্রশাসন চালানোর কথা নয়।
দেশে রাজনৈতিক পালাবদলের ক্রান্তিকালে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। পুলিশ, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ অনেক মানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ এমনকি ভিনদেশী এক ব্যক্তিও মারা গেছেন। যশোরে পাঁচ তারকা হোটেল জাবির ইন্টারন্যাশনালে দুর্বৃত্তরা আগুন ধরিয়ে দিলে একজন বিদেশীসহ ২১ জন পুড়ে মারা গেছেন।
গণহারে লুটপাট, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগ গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ, প্রধান বিচারপতির বাসভবন, থানা, প্রতিপক্ষের বাড়িঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলার শিকার হচ্ছে। তাদের বাড়িঘর, প্রার্থনালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুঠের শিকার হয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়িঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতি, লুঠ, অগ্নিসংযোগ করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার সুযোগে যে যা পারছে করছে। কিছু মানুষ সারা দেশেই যেন লুটপাটের ‘উৎসবে’ মেতে উঠেছে।
সাধারণ মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তাদের ঘুম উড়ে গেছে। তাদের দিনরাত কাটছে হামলার আশঙ্কায়।
সাধারণ মানুষের প্রশ্নÑ দেশে কবে শান্তি ফিরবে। শান্তির জন্য আর কত প্রাণক্ষয় হবে, আর কত সম্পদ ধ্বংস হবে।
মানুষের নিরাপত্তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নইলে দেশের পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে তাদের প্রধান কর্তব্য হবে নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আর একটি মানুষেরও জানমালের যেন ক্ষতি না হয়, তারা যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের সম্পদ ক্ষয় রোধ করতে হবে। দ্রুততার সাথে প্রশাসনে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করা দরকার। আর প্রতিটি হত্যা, হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুঠ, ডাকাতির ঘটনার কঠোর আইনি প্রতিকার করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।