alt

সম্পাদকীয়

বিচার বিভাগে রদবদল

: সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

আপিল বিভাগের সব বিচারকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করেছিল।

তারা স্লোগান দিয়ে বলেছে- “এক দুই তিন চার, বিচারপতি গদি ছাড়।” বিচারপতিদের পদত্যাগের

জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে দাবি মানা না হলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন

ঘেরাওয়েরও হুঁশিয়ারি দেয় আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতিসহ সাত বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। এরপর প্রধান বিচারপতি

নিয়োগ নিয়েও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, আন্দোলকারীদেরকে নানান বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। প্রধান

বিচারপতির পদত্যাগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা কথা বলেছেন। এই কথা

বলার ধরন, সুর ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দায়িত্বশীল পদে থেকে বিচারবিভাগ বা বিচারপতিদের

নিয়ে এমন কোনো কথা বলা সঙ্গত নয় যা থেকে মানুষের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। আমরা আশা

করব, এখন যারা দায়িত্বে আছেন তারা ভেবেচিন্তে কথা বলবেন, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবেন।

সেটা না হলে মানুষের মনে হয়তো এমন প্রশ্নের উদয় হবে যে- হচ্ছেটা কী!

পাঁচ জুলাইয়ের পর দেশে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে কেউ বিচারবিভাগে রদবদল

চাইতেই পারেন। তবে সেই রদবদল হতে হবে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বিচারপতি নিয়োগ বা

পদত্যাগের সুনির্দ্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। এখানে জোরজবরদস্তির সুযোগ আছে কিনা সেটা ভেবে

দেখতে হবে।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগে যোগ্যতার চাইতে প্রশ্নহীন দলীয় বা ব্যক্তিগত আনুগত্যের

অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিচারবিভাগ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে এখন রদবদল হচ্ছে। এতে কতটুকু

আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে আর কতটুকু জোরজবরদস্তি হচ্ছে সেটা নিয়ে অনেকের মনে

সংশয় রয়েছে। আদালত ঘেরাও করে, স্লোগান দিয়ে, আলটিমেটাম দিয়ে বিচারপতিদের পদ ছাড়তে

বাধ্য করা কতটা নিয়ম-নীতি প্রতিষ্ঠার নজির সৃষ্টি করলো সেই প্রশ্ন উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকার

হয়তো এর সুদত্তর দিতে পারবে।

বিচারপতিদের নিয়োগ, পদায়ন বা পদত্যাগ হতে হবে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এসবের ক্ষেত্রে কোনো

অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বিচার বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হতে

পারে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে অতীতের সব সরকার আমলেই কমবেশি প্রশ্ন উঠেছে।

‘নিয়ম-নীতি’ প্রতিষ্ঠা ও ‘সংস্কারের‘ আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও যদি একই

প্রশ্নের উদয় হয় তবে সেটাকে দুর্ভাগ্যজনকই মানতে হবে।

কৃষিজমিতে কারখানা: ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

ওরস বন্ধ রাখাই কি একমাত্র সমাধান?

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে শিশুদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা করুন

নদী তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে গাফিলতি

ফসল রক্ষা বাঁধে অনিয়ম কাম্য নয়

রিওভাইরাস: আতঙ্ক নয়, চাই সতর্কতা

শুল্ক-কর এখন বাড়ানো কি জরুরি ছিল

নওগাঁর বর্জ্য পরিশোধনাগার প্রসঙ্গে

সড়ক দুর্ঘটনা : বেপরোয়া গতি আর অব্যবস্থাপনার মাশুল

সংরক্ষিত বনের গাছ রক্ষায় উদাসীনতার অভিযোগ আমলে নিন

চালের দাম বাড়ছে: সংকট আরও বাড়ার আগেই ব্যবস্থা নিন

বারইখালী ও বহরবুনিয়ার মানুষের দুর্ভোগ কবে দূর হবে

রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি : সমাধান কোথায়?

সময়ের সমীকরণে বেকারত্বের নতুন চিত্র

বরুড়ায় খালের দুর্দশা

টেকনাফে অপহরণ: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও সমাধানের প্রয়োজনীয়তা

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

কিশোর গ্যাং : আইনশৃঙ্খলার ব্যর্থতা ও সামাজিক সংকট

বই বিতরণে স্বচ্ছতা প্রয়োজন

পরিবেশ রক্ষায় আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করুন

হাসপাতালের লোকবল সংকট দূর করুন

প্রাথমিক শিক্ষা : উন্নত জাতি গঠনে অপরিহার্য ভিত্তি

খেলার মাঠে কারখানা : পরিবেশ দূষণ ও জনস্বাস্থ্যের বিপদ

শীতের তীব্রতা : বিপন্ন মানুষ এবং সরকারের কর্তব্য

বনে কেন করাতকল

গণপিটুনির দুঃসহ চিত্র

কর্মক্ষেত্রে শ্রমিক নিরাপত্তা

নববর্ষে মানবিক ও সমতার বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার

পরিযায়ী পাখি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

প্রবাসী কর্মীদের স্বাস্থ্য সমস্যা : সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে

অবৈধ ইটভাটার কারণে পরিবেশ ও কৃষির বিপর্যয়

পরিবেশ রক্ষায় প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন জরুরি

নরসিংদী-মদনগঞ্জ সড়কে ময়লার ভাগাড়

ভরা মৌসুমে বেড়েছে চালের দাম : বাজারে অস্থিরতা, গ্রাহকরা বিপাকে

ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের বসতিতে আগুন : দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা?

সচিবালয়ে আগুন : সুষ্ঠু তদন্ত হোক

tab

সম্পাদকীয়

বিচার বিভাগে রদবদল

সোমবার, ১২ আগস্ট ২০২৪

আপিল বিভাগের সব বিচারকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্ট ঘেরাও করেছিল।

তারা স্লোগান দিয়ে বলেছে- “এক দুই তিন চার, বিচারপতি গদি ছাড়।” বিচারপতিদের পদত্যাগের

জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে দাবি মানা না হলে প্রধান বিচারপতির বাসভবন

ঘেরাওয়েরও হুঁশিয়ারি দেয় আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনের মুখে প্রধান বিচারপতিসহ সাত বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। এরপর প্রধান বিচারপতি

নিয়োগ নিয়েও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে, আন্দোলকারীদেরকে নানান বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। প্রধান

বিচারপতির পদত্যাগ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো কোনো উপদেষ্টা কথা বলেছেন। এই কথা

বলার ধরন, সুর ও যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আমরা বলতে চাই, অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো দায়িত্বশীল পদে থেকে বিচারবিভাগ বা বিচারপতিদের

নিয়ে এমন কোনো কথা বলা সঙ্গত নয় যা থেকে মানুষের মনে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তৈরি হয়। আমরা আশা

করব, এখন যারা দায়িত্বে আছেন তারা ভেবেচিন্তে কথা বলবেন, দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবেন।

সেটা না হলে মানুষের মনে হয়তো এমন প্রশ্নের উদয় হবে যে- হচ্ছেটা কী!

পাঁচ জুলাইয়ের পর দেশে রাজনৈতিক পালাবদল হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে কেউ বিচারবিভাগে রদবদল

চাইতেই পারেন। তবে সেই রদবদল হতে হবে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। বিচারপতি নিয়োগ বা

পদত্যাগের সুনির্দ্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। এখানে জোরজবরদস্তির সুযোগ আছে কিনা সেটা ভেবে

দেখতে হবে।

রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগে যোগ্যতার চাইতে প্রশ্নহীন দলীয় বা ব্যক্তিগত আনুগত্যের

অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিচারবিভাগ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে এখন রদবদল হচ্ছে। এতে কতটুকু

আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে আর কতটুকু জোরজবরদস্তি হচ্ছে সেটা নিয়ে অনেকের মনে

সংশয় রয়েছে। আদালত ঘেরাও করে, স্লোগান দিয়ে, আলটিমেটাম দিয়ে বিচারপতিদের পদ ছাড়তে

বাধ্য করা কতটা নিয়ম-নীতি প্রতিষ্ঠার নজির সৃষ্টি করলো সেই প্রশ্ন উঠেছে। অন্তর্বর্তী সরকার

হয়তো এর সুদত্তর দিতে পারবে।

বিচারপতিদের নিয়োগ, পদায়ন বা পদত্যাগ হতে হবে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এসবের ক্ষেত্রে কোনো

অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হলে বিচার বিভাগের কার্যকারিতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হতে

পারে। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে অতীতের সব সরকার আমলেই কমবেশি প্রশ্ন উঠেছে।

‘নিয়ম-নীতি’ প্রতিষ্ঠা ও ‘সংস্কারের‘ আকাক্সক্ষা ব্যক্ত করা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়েও যদি একই

প্রশ্নের উদয় হয় তবে সেটাকে দুর্ভাগ্যজনকই মানতে হবে।

back to top