স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে। বন্যা কেন এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নানানজন নানানভাবে বন্যার ভয়াবহতার কারণ বিশ্লেষণ করছেন। বিশেষজ্ঞরা কারণ বিশ্লেষণ করছেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। তবে সাধারণ মানুষ তথ্য-উপাত্তের ধার ধারছেন না, ধারণার বশর্বতী হয়ে তারা মনগড়া কারণ বিশ্লেষণ করছেন। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা প্রকাশও করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কোনো উপদেষ্টাকে বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, “বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
আগাম সতর্কতা ছাড়াই ড্যাম খুলে দেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি দাবি করেছেন, “জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো গেট খুলে দেয়া হয়নি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। পানির স্তরের বেশি উঠলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। পানির স্তর আবার নিচে নেমে গেলে সেটা আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।”
বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ আর ড্যাম দুটো ভিন্ন বিষয়। পানির স্তর বেড়ে গেলে ড্যামের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গেইট খুলে দেয়া অস্ব^াভাবিক নয়। বরং গেট খোলা না হলে ড্যামে বড় ধরনের ক্ষতি হলে সেটা আরও বড় বিপরর্যায় ডেকে আনতে পারে।
বন্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি যথাযথ ছিল কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এ মাসে যে বন্যা হতে পারে সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত জুলাইয়ের শুরুতেই তৎকালীন সরকার প্রধান বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেয়ার কথাও বলেছিলেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর গণমাধ্যমে দাবি করেছে, তাদের কাছে থাকা বন্যা সংক্রান্ত আগাম তথ্য তারা বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দাবি সত্য হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল সেটা আমরা জানতে চাইব। বন্যা ভয়াবহ আঁকার ধারণ করলো কেন সেটার প্রকৃত কারণ বের করে মানুষকে জানানো জরুরি। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের কাজটি ঠিকঠাক করতে পেরেছেন কি না সেটাও জানা দরকার। কেউ যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সেটা আমরা জানতে চাইব। কারণ এই বন্যায় লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পাশাপাশি আমরা আশা করব যে, সরকারের দায়িত্বশীলরা তাদের বক্তব্যে ও কাজ দায়িত্ববান হবেন। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলা ও কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। সেটা না হলে মানুষ একইসঙ্গে বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধারণার বশর্বতী হয়ে কথা বলা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। এটা সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।
রোববার, ২৫ আগস্ট ২০২৪
স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা হয়েছে দেশের উত্তর-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলে। বন্যা কেন এতো ভয়াবহ রূপ ধারণ করলো সেটা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। নানানজন নানানভাবে বন্যার ভয়াবহতার কারণ বিশ্লেষণ করছেন। বিশেষজ্ঞরা কারণ বিশ্লেষণ করছেন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে। তবে সাধারণ মানুষ তথ্য-উপাত্তের ধার ধারছেন না, ধারণার বশর্বতী হয়ে তারা মনগড়া কারণ বিশ্লেষণ করছেন। সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা প্রকাশও করছেন। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্বশীল কোনো কোনো উপদেষ্টাকে বন্যার ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলতে দেখা গেছে। তারা অভিযোগ করেছেন, “বাংলাদেশকে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেয়ার সুযোগ না দিয়ে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ডাম্বুর বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।”
আগাম সতর্কতা ছাড়াই ড্যাম খুলে দেয়ার অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎমন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি দাবি করেছেন, “জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কোনো গেট খুলে দেয়া হয়নি। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলাধারের সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৯৪ মিটার। পানির স্তরের বেশি উঠলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে পানি গেট দিয়ে বেড়িয়ে যাবে। পানির স্তর আবার নিচে নেমে গেলে সেটা আবার স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।”
বাংলাদেশের পানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাঁধ আর ড্যাম দুটো ভিন্ন বিষয়। পানির স্তর বেড়ে গেলে ড্যামের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য গেইট খুলে দেয়া অস্ব^াভাবিক নয়। বরং গেট খোলা না হলে ড্যামে বড় ধরনের ক্ষতি হলে সেটা আরও বড় বিপরর্যায় ডেকে আনতে পারে।
বন্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি যথাযথ ছিল কি না সেই প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এ মাসে যে বন্যা হতে পারে সেটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত জুলাইয়ের শুরুতেই তৎকালীন সরকার প্রধান বন্যা মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেয়ার কথাও বলেছিলেন। আবহাওয়া অধিদপ্তর গণমাধ্যমে দাবি করেছে, তাদের কাছে থাকা বন্যা সংক্রান্ত আগাম তথ্য তারা বর্তমান সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর দাবি সত্য হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছিল সেটা আমরা জানতে চাইব। বন্যা ভয়াবহ আঁকার ধারণ করলো কেন সেটার প্রকৃত কারণ বের করে মানুষকে জানানো জরুরি। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তাদের কাজটি ঠিকঠাক করতে পেরেছেন কি না সেটাও জানা দরকার। কেউ যদি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না সেটা আমরা জানতে চাইব। কারণ এই বন্যায় লাখো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
পাশাপাশি আমরা আশা করব যে, সরকারের দায়িত্বশীলরা তাদের বক্তব্যে ও কাজ দায়িত্ববান হবেন। তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে কথা বলা ও কাজ করা অত্যন্ত জরুরি। সেটা না হলে মানুষ একইসঙ্গে বিভ্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ধারণার বশর্বতী হয়ে কথা বলা দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়। এটা সমূহ ক্ষতির কারণ হতে পারে।