alt

সম্পাদকীয়

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

: শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে নানা দাবিতে পথে নামতে দেখা গেছে। দাবি-দাওয়া নিয়ে পথে নামা অনেককে বিক্ষুব্ধ হতে দেখা গেছে। কোনো কোনো বিক্ষোভ-আন্দোলন থেকে হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে।

সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভ হচ্ছে। শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে কোনো কোনো কারখানায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওষুধ কারখানায়ও অস্থিরতা চলছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে ব্যবসায়ী নেতারা শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

কোথাও কোথাও চাকরি স্থায়ীকরণ, ছাঁটাই বন্ধ, নির্দিষ্ট সময়ে বেতন প্রদান, হাজিরা বোনাস, নারী শ্রমিকদের নৈশকালীন ডিউটি বাতিল ও নতুন শ্রমিক নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। কোনো কোনো কারখানার শ্রমিকরা ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি তুলেছেন। আবার অনেকে শ্রমিক নিয়োগে নারী-পুরষ বৈষম্যের অবসান চেয়েছেন। তাদের অভিযোগ, কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকের তুলনায় কমসংখ্যক পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে শ্রমিক বিক্ষোভকে অন্তর্বর্তী সরকার কোন চোখে দেখছে, এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার সচিবালয়ে বৈঠক করেছেন পাঁচ উপদেষ্টা। দায়িত্বশীলদের কেউ কেউ বলছেন, কারখানা ভাঙচুরের পেছনে ‘ভাড়াটে’ ও ‘টোকাইরা’ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘বলপ্রয়োগের বার্তাও’ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছুসংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

অতীতেও দেশে শ্রমিকদের মধ্যে অনেক অসন্তোষ দেখা গেছে। তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পথে নেমেছে, অনেক সময় কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় ক্ষমতাসীন সরকারগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শ্রমিক বিক্ষোভের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। তবে ষড়যন্ত্রটা কী বা কারা এর পেছনে রয়েছে সেটা কখনোই স্পষ্ট করা হয়নি। কথিত সেই ষড়যন্ত্র দমনে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। পদক্ষেপ বলতে শ্রমিকদের ওপর বলপ্রয়োগই করতে দেখা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সংস্কার আনার কথা বলছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছে। তবে চলমান শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে অতীত সরকারগুলোর কথারই প্রতিধ্বনি ফুটে উঠছে। বিক্ষোভ দমনে প্রকাশ্যেই বলপ্রয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এটা কোন ধরনের পরিবর্তন সেটা একটা প্রশ্ন।

সব ধরনের বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শ্রমিকরা বলছেন তারা নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের বক্তব্য শোনা, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। কোনো যৌক্তিক দাবি থাকলে তা আমলে নিতে হবে। কেউ দাবি নিয়ে পথে নামলেই তার মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজা, বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করতে চাওয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়।

এসএসসি পরীক্ষার ফল : বাস্তবতা মেনে, ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে চলতে হবে

বন্যা : কেন নেই টেকসই সমাধান?

জলাবদ্ধ নগরজীবন

ভূমিধসের হুমকি ও প্রস্তুতি

এশিয়া কাপে বাংলাদেশ নারী দল : অভিনন্দন

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক সংকট : দ্রুত সমাধান প্রয়োজন

উপজেলা স্বাস্থ্যসেবায় সংকট

বজ্রপাত মোকাবিলায় চাই বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা ও কার্যকর বাস্তবায়ন

মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি অনেক, ফলাফল প্রশ্নবিদ্ধ

আর্সেনিক দূষণ : জনস্বাস্থ্যের নীরব সংকট

ধর্মীয় অবমাননার অজুহাতে ‘মব জাস্টিস’ : সমাধান কোথায়?

সরকারি গাছ কাটা কঠোরভাবে বন্ধ করুন

এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিতি : বাল্যবিয়ে রোধে ব্যবস্থা নিন

জলাবদ্ধতা : প্রশ্নবিদ্ধ নগর ব্যবস্থাপনা

ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ আমলে নিন

সার বিতরণে অনিয়ম : কৃষকের দুর্ভোগের অবসান হোক

ভারতে বিমান দুর্ঘটনা

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত : যুদ্ধ নয়, শান্তিই টেকসই সমাধান

বাড়ছে করোনার সংক্রমণ : মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি

ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে

ঈদুল আজহা : ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্প্রীতির উৎসব

ঈদযাত্রায় বাড়তি ভাড়া : ব্যবস্থাপনার ফাঁকফোকর ও নজরদারির সীমাবদ্ধতা

নির্বাচন নিয়ে বাদানুবাদ শুভ লক্ষণ নয়

অপরাধের উদ্বেগজনক প্রবণতা ও আইনশৃঙ্খলার বাস্তবতা

রেলের জমি দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বাসে ডাকাতি ও নারী নির্যাতন : সড়কে জনসাধারণের আতঙ্ক

স্মার্টকার্ড জটিলতায় টিসিবির পণ্য সরবরাহ ব্যাহত, ব্যবস্থা নিন

মামলার ন্যায্যতা ও আইনের শাসন: কিসের পরিবর্তন ঘটেছে?

প্যারাবন ধ্বংস ও দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে চাই প্রস্তুতি ও সচেতনতা

নারীর ডাকে ‘মৈত্রী যাত্রা’

খাদ্যে ভেজাল : আইন আছে, প্রয়োগ কোথায়?

চুয়াত্তর পেরিয়ে পঁচাত্তরে সংবাদ: প্রতিজ্ঞায় অবিচল পথচলা

দখলে অস্তিত্ব সংকটে বন

এই যুদ্ধবিরতি হোক স্থায়ী শান্তির সূচনা

তাপপ্রবাহে চাই সতর্কতা, সচেতনতা ও সুরক্ষা পরিকল্পনা

tab

সম্পাদকীয়

শ্রমিক বিক্ষোভ : আলোচনায় সমাধান খুঁজুন

শনিবার, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষকে নানা দাবিতে পথে নামতে দেখা গেছে। দাবি-দাওয়া নিয়ে পথে নামা অনেককে বিক্ষুব্ধ হতে দেখা গেছে। কোনো কোনো বিক্ষোভ-আন্দোলন থেকে হামলা, সংঘাত-সংঘর্ষ হচ্ছে।

সাভার-আশুলিয়া ও গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে গত কয়েকদিন ধরে শ্রমিক বিক্ষোভ হচ্ছে। শ্রমিক বিক্ষোভ থেকে কোনো কোনো কারখানায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অনেক পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওষুধ কারখানায়ও অস্থিরতা চলছে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে ব্যবসায়ী নেতারা শিল্পকারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন।

কোথাও কোথাও চাকরি স্থায়ীকরণ, ছাঁটাই বন্ধ, নির্দিষ্ট সময়ে বেতন প্রদান, হাজিরা বোনাস, নারী শ্রমিকদের নৈশকালীন ডিউটি বাতিল ও নতুন শ্রমিক নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। কোনো কোনো কারখানার শ্রমিকরা ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণের দাবি তুলেছেন। আবার অনেকে শ্রমিক নিয়োগে নারী-পুরষ বৈষম্যের অবসান চেয়েছেন। তাদের অভিযোগ, কারখানাগুলোতে নারী শ্রমিকের তুলনায় কমসংখ্যক পুরুষ শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে শ্রমিক বিক্ষোভকে অন্তর্বর্তী সরকার কোন চোখে দেখছে, এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গত বুধবার সচিবালয়ে বৈঠক করেছেন পাঁচ উপদেষ্টা। দায়িত্বশীলদের কেউ কেউ বলছেন, কারখানা ভাঙচুরের পেছনে ‘ভাড়াটে’ ও ‘টোকাইরা’ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘বলপ্রয়োগের বার্তাও’ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছুসংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’

অতীতেও দেশে শ্রমিকদের মধ্যে অনেক অসন্তোষ দেখা গেছে। তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পথে নেমেছে, অনেক সময় কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। সে সময় ক্ষমতাসীন সরকারগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই শ্রমিক বিক্ষোভের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। তবে ষড়যন্ত্রটা কী বা কারা এর পেছনে রয়েছে সেটা কখনোই স্পষ্ট করা হয়নি। কথিত সেই ষড়যন্ত্র দমনে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। পদক্ষেপ বলতে শ্রমিকদের ওপর বলপ্রয়োগই করতে দেখা গেছে।

অন্তর্বর্তী সরকার দেশে সংস্কার আনার কথা বলছে, নতুন বাংলাদেশ গড়ার কথা বলছে। তবে চলমান শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে তারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে অতীত সরকারগুলোর কথারই প্রতিধ্বনি ফুটে উঠছে। বিক্ষোভ দমনে প্রকাশ্যেই বলপ্রয়োগের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এটা কোন ধরনের পরিবর্তন সেটা একটা প্রশ্ন।

সব ধরনের বৈষম্য দূর করার অঙ্গীকার করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। শ্রমিকরা বলছেন তারা নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। তাদের বক্তব্য শোনা, তাদের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। কোনো যৌক্তিক দাবি থাকলে তা আমলে নিতে হবে। কেউ দাবি নিয়ে পথে নামলেই তার মধ্যে ষড়যন্ত্র খোঁজা, বিক্ষোভ দমনে বলপ্রয়োগ করতে চাওয়া দায়িত্বশীলতার পরিচায়ক নয়।

back to top