লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামের বেড়িবাঁধে অস্থায়ী ছাউনি বা ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বাস করছে দুই শতাধিক পরিবার। বন্যাদুর্গত এসব পরিবার এখনো ফিরতে পারেনি নিজ ঘরে। কারণ তাদের বসতবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে।
শুধু এই একটি গ্রামই নয়, লক্ষ্মীপুরের আরও অনেক এলাকা এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কমবেশি ২৫টি ইউনিয়নে পানি রয়েছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী হাজারো মানুষ। এসব এলাকা থেকে বন্যার পানি সহজে সরছে না, যে কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। বন্যার পানি কমার অপেক্ষায় আছেন তারা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের ২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। আর ১৩ হাজার ৩৪ মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তারা নিজ ঘরে ফিরতে পারছেন না। অনেক স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি কমছে না কেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, খালে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। জেলার বেশকিছু খাল দখলে-দূষণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে মেঘনা নদীতে বন্যার পানি নামতে পারছে না।
জেলার বিভিন্ন খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। খালের উপর অপরিকল্পিত ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কারণে খালের গভীরতা কমে গেছে।
জেলার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী গণমাধ্যমকে বলেছেন, লক্ষ্মীপুরে এখন যে বন্যা হচ্ছে, তার বেশির ভাগ অংশই জলাবদ্ধতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিশাল জনগোষ্ঠী পানিবন্দী হলেও মেঘনা নদীতে পানি নেই। জলাবদ্ধতার মূল কারণ খাল দখল ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন। এ কারণে বৃষ্টির পানি নদীতে নামতে পারেনি।
আমরা বলতে চাই, লক্ষ্মীপুরের যেসব এলাকায় এখনো বন্যার পানি রয়েছে সেখানে ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব এলাকার মানুষ যেন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত না হন সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। জেলার খালগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করা জরুরি। খালের উপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার দিঘলী ইউনিয়নের পশ্চিম দিঘলী গ্রামের বেড়িবাঁধে অস্থায়ী ছাউনি বা ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বাস করছে দুই শতাধিক পরিবার। বন্যাদুর্গত এসব পরিবার এখনো ফিরতে পারেনি নিজ ঘরে। কারণ তাদের বসতবাড়ি এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে।
শুধু এই একটি গ্রামই নয়, লক্ষ্মীপুরের আরও অনেক এলাকা এখনো বন্যার পানিতে ডুবে আছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কমবেশি ২৫টি ইউনিয়নে পানি রয়েছে। তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পানিবন্দী হাজারো মানুষ। এসব এলাকা থেকে বন্যার পানি সহজে সরছে না, যে কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। বন্যার পানি কমার অপেক্ষায় আছেন তারা।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরের ২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ এখনো পানিবন্দী রয়েছে। আর ১৩ হাজার ৩৪ মানুষ এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন। তারা নিজ ঘরে ফিরতে পারছেন না। অনেক স্কুল-কলেজ, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট এখনো বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, লক্ষ্মীপুরে বন্যার পানি কমছে না কেন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, খালে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। জেলার বেশকিছু খাল দখলে-দূষণে সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে মেঘনা নদীতে বন্যার পানি নামতে পারছে না।
জেলার বিভিন্ন খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। কোনো কোনো খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করা হয়। খালের উপর অপরিকল্পিত ব্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। এসব কারণে খালের গভীরতা কমে গেছে।
জেলার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী গণমাধ্যমকে বলেছেন, লক্ষ্মীপুরে এখন যে বন্যা হচ্ছে, তার বেশির ভাগ অংশই জলাবদ্ধতা থেকে সৃষ্টি হয়েছে। জেলার বিশাল জনগোষ্ঠী পানিবন্দী হলেও মেঘনা নদীতে পানি নেই। জলাবদ্ধতার মূল কারণ খাল দখল ও অপরিকল্পিত উন্নয়ন। এ কারণে বৃষ্টির পানি নদীতে নামতে পারেনি।
আমরা বলতে চাই, লক্ষ্মীপুরের যেসব এলাকায় এখনো বন্যার পানি রয়েছে সেখানে ত্রাণতৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। এসব এলাকার মানুষ যেন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত না হন সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। জেলার খালগুলোকে দখল-দূষণমুক্ত করা জরুরি। খালের উপর নির্মিত সব অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।