পাহাড় ধসে কক্সবাজারে মর্মান্তিকভাবে ছয়জন মারা গেছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককূলে তিনজন মারা গেছেন। উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছেন তিনজন।
কক্সবাজারে বৃষ্টি হচ্ছে গত বুধবার থেকে। সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেদিন চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে জেলা শহরসহ অনেক গ্রাম জলাবদ্ধতার শিকার হয়।
পাহাড়ের পাদদেশে অনেক বসতি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে পড়ে। তখন পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে বসবাসরত মানুষ হতাহত হন। ভারী বর্ষণের কারণে গত ১৯ জুন উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ১০ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপর ২১ জুন বাদশাঘোনায় পাহাড় ধসে দুজন মারা যান। গত ৩ জুলাই উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড় ধসে মারা গেছেন দুজন। ১১ জুলাই কক্সবাজার শহরে মারা গেছেন দুজন।
প্রশ্ন হচ্ছে, কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাতের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানত কিনা। ভারী বৃষ্টিপাত হলে যে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটাতে পারে, এতে জানমালের ক্ষতি হতে পারে সেটা জানা কথা। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আগাম কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা।
অবশ্য বৃষ্টির আগাম বার্তা জানা থাকলেও অনেক সময় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা বসতির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলে। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই তাতে মানুষ সাড়া দেয় না। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী মানুষদের বেশির ভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য তাদের নেই। যে কারণে সতর্কবার্তা জানলেও তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে না।
পাহাড়ের পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পাহাড় ধসে কক্সবাজারে মর্মান্তিকভাবে ছয়জন মারা গেছেন। ভারী বৃষ্টির কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের দক্ষিণ ডিককূলে তিনজন মারা গেছেন। উখিয়া উপজেলার ১৪ নম্বর হাকিমপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছেন তিনজন।
কক্সবাজারে বৃষ্টি হচ্ছে গত বুধবার থেকে। সংশ্লিষ্ট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেদিন চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। ভারী বৃষ্টির প্রভাবে জেলা শহরসহ অনেক গ্রাম জলাবদ্ধতার শিকার হয়।
পাহাড়ের পাদদেশে অনেক বসতি রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে পড়ে। তখন পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এর ফলে পাহাড়ের পাদদেশে থাকা বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে বসবাসরত মানুষ হতাহত হন। ভারী বর্ষণের কারণে গত ১৯ জুন উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ১০ জন মারা গিয়েছিলেন। এরপর ২১ জুন বাদশাঘোনায় পাহাড় ধসে দুজন মারা যান। গত ৩ জুলাই উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে পাহাড় ধসে মারা গেছেন দুজন। ১১ জুলাই কক্সবাজার শহরে মারা গেছেন দুজন।
প্রশ্ন হচ্ছে, কক্সবাজারে ভারী বৃষ্টিপাতের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানত কিনা। ভারী বৃষ্টিপাত হলে যে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটাতে পারে, এতে জানমালের ক্ষতি হতে পারে সেটা জানা কথা। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ আগাম কোনো ব্যবস্থা নিয়েছিল কিনা।
অবশ্য বৃষ্টির আগাম বার্তা জানা থাকলেও অনেক সময় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয় না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে পাহাড়ের পাদদেশে গড়ে ওঠা বসতির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলে। তবে প্রায় ক্ষেত্রেই তাতে মানুষ সাড়া দেয় না। পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী মানুষদের বেশির ভাগই নিম্নআয়ের দরিদ্র মানুষ। নিরাপদ বাসস্থানের ব্যবস্থা করার সামর্থ্য তাদের নেই। যে কারণে সতর্কবার্তা জানলেও তাদের যাওয়ার কোনো জায়গা থাকে না।
পাহাড়ের পাদদেশে যারা ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে তাদের টেকসই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা দরকার। দেশের পাহাড়গুলো রক্ষা করতে হবে। নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।